গাস্ট, রোনাল্ড জোসেফ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৯ নং লাইন: | ৯ নং লাইন: | ||
শেরে-বাংলানগরের পঙ্গু হাসপাতাল এখন ৫০০ শয্যায় উন্নীত। এর বর্তমান নাম জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে অর্থোপেডিক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদানে অদ্যাবধি এটি মুখ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। এর প্রতিষ্ঠাতা ডা. গাস্ট ২০০৯ সালের ১৫ আগস্ট আমেরিকার টেনেসি স্টেটের মেরিভিল শহরে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। [এম.কে.আই কাইয়ুম চৌধুরী] | শেরে-বাংলানগরের পঙ্গু হাসপাতাল এখন ৫০০ শয্যায় উন্নীত। এর বর্তমান নাম জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে অর্থোপেডিক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদানে অদ্যাবধি এটি মুখ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। এর প্রতিষ্ঠাতা ডা. গাস্ট ২০০৯ সালের ১৫ আগস্ট আমেরিকার টেনেসি স্টেটের মেরিভিল শহরে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। [এম.কে.আই কাইয়ুম চৌধুরী] | ||
[[ | [[en: Garst, Ronald Joseph]] |
০৮:৪৪, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
গাস্ট, রোনাল্ড জোসেফ (১৯১৮-২০০৯) অর্থোপেডিক সার্জন, শিক্ষক ও সমাজসেবী। জন্ম আমেরিকার ওকলাহমা স্টেটে। ১৯৫৪ সাল থেকে তিনি ভারতের পাঞ্জাবের লুধিয়ানা শহরে ইউনিয়ন মেথডিস্ট মিশনারী কাজে নিয়োজিত ছিলেন। সেখানে তিনি খ্রিস্টীয়ান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও আহত জনগণের চিকিৎসা সেবার নিমিত্তে মাত্র একজন অর্থোপেডিক সার্জন রয়েছেন, এ ব্যাপারটি তাঁকে ভাবিয়ে তোলে। ১৯৭২ সালের জুন মাসে ডা. গাস্ট সস্ত্রীক লুধিয়ানা থেকে ঢাকায় চলে আসেন।
বাংলাদেশ সরকার বন্ধুপ্রতিম দেশ হতে আগত স্বেচ্ছায় শ্রম প্রদানে আগ্রহী স্টাফদের সহযোগিতায় শেরে-বাংলানগরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বারান্দায় ১০০ শয্যার একটি অর্থোপেডিক ইউনিট চালু করেন। পরবর্তী সময়ে এই ইউনিটটি ২৫০ এবং তারও পরে ৩৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। দেশী চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ নিমিত্তে ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর অনুষদের আওতাধীন প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অর্থোপেডিক্সে এম.এস ও ডিপ্লোমা কোর্স চালু হয়। অর্থোপেডিক্সের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপির স্নাতক কোর্স, অর্থোপেডিক নার্সিং কোর্স ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি ও কৃত্রিম পা তৈরি কেন্দ্র এবং প্লাস্টিক সার্জারি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও দেশ সহযোগিতার হাত বাড়ায়। মিসেস মেরী গাস্ট হাসপাতালের লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকা রাখেন।
বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ১৯৭৮ সালে ৪০০ শয্যার পঙ্গু হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ভবন তৈরি হলে সকল রোগী ওই হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয় এবং ডা. গাস্ট প্রকল্প পারিচালক পদে যোগ দেন। এ ছাড়া ডা. গাস্ট চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রায়শ ঢাকার বাহিরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোতে যেতেন। ১৯৮০ সালের শেষদিকে অবসর গ্রহণের পরও বাংলাদেশের প্রতি তাঁর ভালোবাসার টানে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি নিয়মিত প্রতিবছর কয়েক মাসের জন্য বাংলাদেশে অর্থোপেডিক শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা প্রদানে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। বাংলাদেশ সরকার তাঁর অবদানের জন্য ১৯৮৮ সালে তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করেন।
শেরে-বাংলানগরের পঙ্গু হাসপাতাল এখন ৫০০ শয্যায় উন্নীত। এর বর্তমান নাম জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে অর্থোপেডিক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদানে অদ্যাবধি এটি মুখ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। এর প্রতিষ্ঠাতা ডা. গাস্ট ২০০৯ সালের ১৫ আগস্ট আমেরিকার টেনেসি স্টেটের মেরিভিল শহরে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। [এম.কে.আই কাইয়ুম চৌধুরী]