পোস্টার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৪ নং লাইন: | ৪ নং লাইন: | ||
ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূত্র ধরে রাজনৈতিক কারণে দেয়ালে হাতে লেখা পোস্টার লাগানোর রীতি চালু হয় এবং পোস্টারের ব্যাপকতা বেড়ে যায়। ১৯৪৭ সালের দেশবিভাগের পর তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার বিরুদ্ধে পরিচালিত ভাষা আন্দোলনে হাতে লেখা পোস্টার গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পোস্টার লেখার জন্য এ সময় অনেককে জেলজুলুম সহ্য করতে হয়। | ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূত্র ধরে রাজনৈতিক কারণে দেয়ালে হাতে লেখা পোস্টার লাগানোর রীতি চালু হয় এবং পোস্টারের ব্যাপকতা বেড়ে যায়। ১৯৪৭ সালের দেশবিভাগের পর তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার বিরুদ্ধে পরিচালিত ভাষা আন্দোলনে হাতে লেখা পোস্টার গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পোস্টার লেখার জন্য এ সময় অনেককে জেলজুলুম সহ্য করতে হয়। | ||
পঞ্চাশের দশকে লিথো প্রেসে, কাঠ খোদাই করে পোস্টার ছাপা হতো। ষাটের দশকের শুরুতে এক রঙের অফসেট প্রিন্টিং প্রেসের প্রচলন হলে পোস্টারের মান বাড়তে থাকে। এ সময়ে পাকিস্তান কোঅপারেটিভ বুক সোসাইটি প্রেস, রিগ্যাল প্রেস, আর্ট প্রেস প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান পোস্টার ছাপার ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। | [[Image:Poster.jpg|thumb|400px|right|কামরুল হাসানের পোস্টার, দেশ আজ বিশ্ববেহায়াদের খপ্পরে]] | ||
পঞ্চাশের দশকে লিথো প্রেসে, কাঠ খোদাই করে পোস্টার ছাপা হতো। ষাটের দশকের শুরুতে এক রঙের অফসেট প্রিন্টিং প্রেসের প্রচলন হলে পোস্টারের মান বাড়তে থাকে। এ সময়ে পাকিস্তান কোঅপারেটিভ বুক সোসাইটি প্রেস, রিগ্যাল প্রেস, আর্ট প্রেস প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান পোস্টার ছাপার ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক পোস্টারে প্রকাশিত হতো জাতির দাবি-দাওয়া। ‘বলিষ্ঠ হাত ওপরে উঠানো’, ‘শেকল ভেঙে মানুষের বেরিয়ে যাওয়া’, ‘পতাকা হাতে অসংখ্য মানুষের ধাবমান দৃশ্য’, ‘বিশ্বনন্দিত প্রতিবাদের ভাস্কর্যের প্রতিরূপ’ প্রভৃতি পোস্টার তার উদাহরণ। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে বহু রাজনৈতিক পোস্টার তৈরি হয়, যা উক্ত আন্দোলনকে জীবন্ত করে রাখে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে নিরীহ বাঙালির উপর পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর নৃশংস হামলাকে কেন্দ্র করে কামরুল হাসানের ইয়াহিয়ার মুখচ্ছবি দিয়ে অাঁকা পোস্টার ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ দেশেবিদেশে বিপুলভাবে সাড়া জাগায় এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে সাধারণ মানুষকেও উদ্বুদ্ধ করে। মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণামূলক পোস্টার অাঁকায় নিতুন কুন্ডু (১৯৩৬-২০০৭), প্রাণেশ মন্ডল প্রমুখ শিল্পী বিশেষ অবদান রাখেন। স্বাধীনতার পরও অব্যাহত ছিল রাজনৈতিক পোস্টার শিল্পের বিকাশ।কামরুল হাসান-এর দেশ আজ বিশ্ববেহায়ার খপ্পরে, কাজী হাসান হাবীব (১৯৪৮-১৯৮৮)-এর বাংলাদেশ বনপোড়া হরিণীর মতো আর্তনাদ করে, কাউয়ুম চৌধুরীর আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি প্রভৃতি পোস্টার বাংলাদেশের কতকগুলি রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের সাক্ষী হয়ে আছে। | |||
১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময়ে নূর হোসেন ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ শ্লোগান শরীরে লিখে রাস্তায় যেভাবে প্রদর্শন করেছেন, সেটাকে ‘মানবপোস্টার’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। | ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময়ে নূর হোসেন ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ শ্লোগান শরীরে লিখে রাস্তায় যেভাবে প্রদর্শন করেছেন, সেটাকে ‘মানবপোস্টার’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। |
০৬:০৭, ১২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
পোস্টার একটি জনপ্রিয় প্রচার মাধ্যম। রাজনৈতিক প্রচারণায়, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে, নাটক ও চলচ্চিত্র প্রচারণায় পোস্টার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিবাদের ভাষা হিসেবেও পোস্টারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। প্রাক-আধুনিক যুগে নতুন আইন প্রণয়ন, কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন বা রাষ্ট্র ও সমাজ বিরোধী পলাতক কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারের প্রয়োজন হলে শাসকবর্গ প্রজাদের উদ্দেশ্যে ঢোল বাজিয়ে বা চোঙার মাধ্যমে উদ্দিষ্ট সংবাদটি জানিয়ে দিতেন। কোনো স্থায়ী আইন প্রণয়ণের ক্ষেত্রে অবশ্য অনেক সময় শিলালিপি ব্যবহার হতো। পাথরে খোদাই করে লিখে এসব নির্দেশনা টানিয়ে দেয়া হতো দেয়ালে। সম্রাট অশোক থেকে পাল, সেন, মুসলিম শাসনামল পর্যন্ত পোস্টারের ব্যবহার এভাবে অব্যাহত ছিল। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কাপড় বা কাগজের ওপর সরকারি ফরমানও জারি হতো। এরকম প্রচার প্রক্রিয়ার মধ্যে পোস্টার একটি ধারাবাহিক মাধ্যম। ১৭৫৭ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ক্ষমতা দখলের পরই এ দেশে লন্ডনে ছাপানো প্রকাশনার দরজা খুলে যায়। এ সময় সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি ধর্মীয় কারণে ছোট ছোট আকারের দেবদেবীর পোস্টারও প্রকাশ হতে থাকে। ১৮৬৪ সালে কলকাতায় সরকারি আর্ট স্কুল প্রতিষ্ঠিত হলে সেখান থেকে লিথো পদ্ধতিতে ছাপানো পোস্টার জনপ্রিয় হয়। এসব পোস্টারের বিষয় ছিল দেবদেবী, বিভিন্ন মণিষী ও পৌরাণিক কাহিনী।
ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূত্র ধরে রাজনৈতিক কারণে দেয়ালে হাতে লেখা পোস্টার লাগানোর রীতি চালু হয় এবং পোস্টারের ব্যাপকতা বেড়ে যায়। ১৯৪৭ সালের দেশবিভাগের পর তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার বিরুদ্ধে পরিচালিত ভাষা আন্দোলনে হাতে লেখা পোস্টার গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পোস্টার লেখার জন্য এ সময় অনেককে জেলজুলুম সহ্য করতে হয়।
পঞ্চাশের দশকে লিথো প্রেসে, কাঠ খোদাই করে পোস্টার ছাপা হতো। ষাটের দশকের শুরুতে এক রঙের অফসেট প্রিন্টিং প্রেসের প্রচলন হলে পোস্টারের মান বাড়তে থাকে। এ সময়ে পাকিস্তান কোঅপারেটিভ বুক সোসাইটি প্রেস, রিগ্যাল প্রেস, আর্ট প্রেস প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান পোস্টার ছাপার ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক পোস্টারে প্রকাশিত হতো জাতির দাবি-দাওয়া। ‘বলিষ্ঠ হাত ওপরে উঠানো’, ‘শেকল ভেঙে মানুষের বেরিয়ে যাওয়া’, ‘পতাকা হাতে অসংখ্য মানুষের ধাবমান দৃশ্য’, ‘বিশ্বনন্দিত প্রতিবাদের ভাস্কর্যের প্রতিরূপ’ প্রভৃতি পোস্টার তার উদাহরণ। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে বহু রাজনৈতিক পোস্টার তৈরি হয়, যা উক্ত আন্দোলনকে জীবন্ত করে রাখে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে নিরীহ বাঙালির উপর পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর নৃশংস হামলাকে কেন্দ্র করে কামরুল হাসানের ইয়াহিয়ার মুখচ্ছবি দিয়ে অাঁকা পোস্টার ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ দেশেবিদেশে বিপুলভাবে সাড়া জাগায় এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে সাধারণ মানুষকেও উদ্বুদ্ধ করে। মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণামূলক পোস্টার অাঁকায় নিতুন কুন্ডু (১৯৩৬-২০০৭), প্রাণেশ মন্ডল প্রমুখ শিল্পী বিশেষ অবদান রাখেন। স্বাধীনতার পরও অব্যাহত ছিল রাজনৈতিক পোস্টার শিল্পের বিকাশ।কামরুল হাসান-এর দেশ আজ বিশ্ববেহায়ার খপ্পরে, কাজী হাসান হাবীব (১৯৪৮-১৯৮৮)-এর বাংলাদেশ বনপোড়া হরিণীর মতো আর্তনাদ করে, কাউয়ুম চৌধুরীর আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি প্রভৃতি পোস্টার বাংলাদেশের কতকগুলি রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের সাক্ষী হয়ে আছে।
১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময়ে নূর হোসেন ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ শ্লোগান শরীরে লিখে রাস্তায় যেভাবে প্রদর্শন করেছেন, সেটাকে ‘মানবপোস্টার’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
পূর্ব পাকিস্তানে পোস্টারের বিকাশে চলচ্চিত্রের প্রচারণাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। লাইন ড্রইং করে নায়কনায়িকার ছবি অাঁকা হতো সিনেমার পোস্টারে। ১৯৫৬ সালে মুক্তি পায় প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি মুখ ও মুখোশ। এর জন্য ছাপানো পোস্টার ছিল পূর্ব পাকিস্তানের চলচ্চিত্রের প্রথম পোস্টার। মুখ ও মুখোশ-এর পরে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ২০৪টি ছবি মুক্তি পায়। এসব ছবির প্রধান প্রচার মাধ্যম ছিল পোস্টার। এসময়ে চলচ্চিত্রের পোস্টার অাঁকেন সুভাষ দত্ত, আবদুল মালেক, মুর্তজা বশীর, কাইয়ুম চৌধুরী, হাশেম খান প্রমুখ শিল্পী। সত্তরের দশকের শেষে ছাপাখানার প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণে চলচ্চিত্রের জন্য ব্যবহূত পোস্টারের মানও উন্নত হয়। আশির দশকে লক্ষ করা যায় এক রং থেকে বহু রঙে উত্তরণ এবং গ্রাফিক্স ও ডিজাইনে আসে ব্যাপক পরিবর্তন।
আশি ও নববইয়ের দশকে লক্ষ করা যায় বিকল্প ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রয়াস। ‘আগামী’ (১৯৮৪) ও ‘হুলিয়া’ (১৯৮৫) চলচ্চিত্র দুটি বিকল্প ধারার দৃষ্টান্ত। এ চলচ্চিত্রের বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিষয় ও শৈলী নির্বাচনে স্বাধীনতা অন্বেষণ এবং বাণিজ্যিক বিধানকে উপেক্ষা করে এক ধরনের মুক্ত দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ। তারেক মাসুদ, মোর্শেদুল ইসলাম, তানভির মোকাম্মেল, মানজারে হাসিন মুরাদসহ আরো অনেকে এ ধারায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এসব ছবির পোস্টার অঙ্কন ও ডিজাইন করেন শিশির ভট্টাচার্য, ঢালী আল মামুন, তরুণ ঘোষ, শাওন আকন্দ প্রমুখ।
বাংলাদেশের পোস্টার শিল্পের বিকাশের আরেকটি প্রভাবক ছিল নাটকের পোস্টার। নাটক প্রচারণায় এরকম পোস্টার অঙ্কন শুরু হয় আশির দশক থেকে। নান্দনিক, শিল্পীত পোস্টারের এই ধারাকে গতি দান করেন কামরুল হাসান (১৯২১-১৯৮৮), কাইয়ুম চৌধুরী, হাশেম খান, রফিকুন নবী প্রমুখ শিল্পী।
রাজনীতি, চলচ্চিত্র ও নাটকের প্রচারের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে পোস্টারের বিকাশ ঘটেছে। ‘বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন’, ‘সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট’, ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ’, ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী’, ‘আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ’, ‘নবান্নোৎসব উদ্যাপন পর্ষদ’ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত পোস্টার এ দেশে পোস্টারের শৈল্পিক মান বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পোস্টারের কথাও উল্লেখযোগ্য। স্কয়ার, বাটা, ইউনিলিভার, ইলেক্ট্রা, সিঙ্গার, গ্রামীণ ফোন, বাংলা লিংক, প্রভৃতি কোম্পানি প্রচারের উদ্দেশ্যে পোস্টার তৈরি করে। এ ধরণের পোস্টারে নারী বা পুরুষ মডেল ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে ফ্যাশন শো, ব্যান্ড শো ইত্যাদি অনুষ্ঠানের পোস্টারও ব্যাপক আকারে বের হয়। বাংলাদেশে নববইয়ের দশক থেকে পোস্টারে এবং অন্যান্য বিজ্ঞাপনে মানুষের আলোকচিত্র বহুল ব্যবহূত হচ্ছে।
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনও পোস্টার প্রকাশ করে। দেশ ও দেশের বাইরে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রকাশিত এসব পোস্টারে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য নৈসর্গিকদৃশ্য, প্রত্নতাত্ত্বিকস্থান, প্রাণিকুল এবং বাংলার মানুষের জীবনাচারের চিত্র স্থান পায়।
দ্রুত জনসাধারণকে সচেতন করতে পারে এমন বক্তব্যপ্রধান পোস্টার এখন জনপ্রিয়। দেশের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, মানবাধিকার সংস্থা বা সরকার কর্তৃক প্রকাশিত বিভিন্ন পোস্টার, বিশেষ করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পোস্টারগুলি গণসচেতনতা সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এসিড সন্ত্রাস, মাদক বর্জন, যৌতুকপ্রথা, জন্মনিয়ন্ত্রণ, ওরস্যালাইন ব্যবহার, বনায়ন প্রকল্প, মৎস চাষ, সবার জন্য শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়েও কার্যকর পোস্টার হয়েছে। ইউনিসেফ-এর শিশুর টিকাদানে উৎসাহ দানের জন্য প্রস্ত্তত পোস্টারগুলিও মনোরম। ১৯৮০ দশকে সন্ধানী প্রকাশিত একটি পোস্টার এবং সে পোস্টারের একটি শ্লোগান আজও মানুষের বিবেককে নাড়া দেয়। পোস্টারে শ্লোগান ছিল অন্ধজনে দাও আলো। [বাবুল বিশ্বাস]