কাহালু উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
| ৫৪ নং লাইন: | ৫৪ নং লাইন: | ||
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ||
[[Image:KahalooUpazila.jpg|thumb|400px|right]] | |||
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' মহাদেব যোগীঋষির মন্দির (পাইকার ইউনিয়ন), জমিদার কাচারী (নারহট্ট গ্রাম)। | ''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' মহাদেব যোগীঋষির মন্দির (পাইকার ইউনিয়ন), জমিদার কাচারী (নারহট্ট গ্রাম)। | ||
| ৫৯ নং লাইন: | ৬০ নং লাইন: | ||
''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' স্মৃতিসৌধ ১ (কাহালু উচ্চবিদ্যালয়)। | ''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' স্মৃতিসৌধ ১ (কাহালু উচ্চবিদ্যালয়)। | ||
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ৩৬০, মন্দির ২০, মাযার ৪। উল্লেখযোগ্য ধমীয় প্রতিষ্ঠান: শাহ বাবা কালুর মাযার, দরগা হাট মাযার। | ''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ৩৬০, মন্দির ২০, মাযার ৪। উল্লেখযোগ্য ধমীয় প্রতিষ্ঠান: শাহ বাবা কালুর মাযার, দরগা হাট মাযার। | ||
০৫:১২, ৯ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
কাহালু উপজেলা (বগুড়া জেলা) আয়তন: ২৩৮.৭৯ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৪৩´ থেকে ২৪°৫৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°০৯´থেকে ৮৯°১৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে শিবগঞ্জ ও বগুড়া সদর উপজেলা, দক্ষিণে নন্দীগ্রাম উপজেলা, পূর্বে বগুড়া সদর ও শাহজাহানপুর উপজেলা, পশ্চিমে আদমদীঘি ও দুপচাঁচিয়া উপজেলা।
জনসংখ্যা ১৯৫৫৬৫; পুরুষ ৯৯৫১৫, মহিলা ৯৬০৫০। মুসলিম ১৮২৯৬৭, হিন্দু ১২৪৮৩, বৌদ্ধ ১৩ এবং অন্যান্য ১০২।
জলাশয় নাগর নদী।
প্রশাসন থানা গঠিত হয় ১৯২৮ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।
| উপজেলা | ||||||||
| পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
| শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
| ১ | ৯ | ১৬৭ | ২৭০ | ৯৪৭৭ | ১৮৬০৮৮ | ৮১৯ | ৫৮.৬ | ৪৭.৩ |
| উপজেলা শহর | ||||||||
| আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
| ৫.৫২ | ৩ | ৯৪৭৭ | ১৭১৭ | ৫৮.৬ | ||||
| ইউনিয়ন | ||||||||
| ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
| পুরুষ | মহিলা | |||||||
| কালাইমাঝপাড়া ৪৭ | ৪৭৪৩ | ৯৪৪০ | ৯০২৫ | ৩৯.৯৩ | ||||
| কাহালু ৩৮ | ৬৮৬২ | ১৪০১১ | ১৩৬১১ | ৫১.৭৩ | ||||
| জামগাঁও ২৮ | ৮০৫৯ | ১০৫২৪ | ১০১৬৭ | ৪৫.৮৮ | ||||
| দূর্গাপুর ১৯ | ৭৭০৩ | ১১৬৩৫ | ১১৩৪৭ | ৫৩.৯৪ | ||||
| নারহট্ট ৭৬ | ৫৬১৪ | ৯৪৬৪ | ৯১৭৩ | ৪৭.৫৫ | ||||
| পাইকার ৮৫ | ৬০১১ | ১০৫৭৮ | ৯৯৮৭ | ৪২.৬৯ | ||||
| বীরকেদার ০৯ | ৫২৮৯ | ১০৮৮৫ | ১০৪৬৭ | ৪৪.২৬ | ||||
| মালঞ্চ ৫৭ | ৮৪১৩ | ১৩০১৫ | ১২৭৭০ | ৪৭.১১ | ||||
| মুরাইল ৬৬ | ৬৩১৪ | ৯৯৬৩ | ৯৫০৩ | ৫৫.৩৫ | ||||
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ মহাদেব যোগীঋষির মন্দির (পাইকার ইউনিয়ন), জমিদার কাচারী (নারহট্ট গ্রাম)।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের অক্টোবরের শেষ দিকে এ উপজেলার কড়িবামুজা ও নশিরপাড়া এলাকায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ লড়াই হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় পাকবাহিনী ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায় ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। ১৩ ডিসেম্বর এ উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন স্মৃতিসৌধ ১ (কাহালু উচ্চবিদ্যালয়)।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৩৬০, মন্দির ২০, মাযার ৪। উল্লেখযোগ্য ধমীয় প্রতিষ্ঠান: শাহ বাবা কালুর মাযার, দরগা হাট মাযার।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৭.৯%; পুরুষ ৫৩.২%, মহিলা ৪২.৪%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কাহালু উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৭৩), নারহট্ট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৮)।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ১, ক্লাব ৭২, সিনেমা হল ২।
বিনোদনকেন্দ্র কাহালু সদর সারাইবাজারের ‘জেসমিন পার্ক’।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৭.৩৪%, অকৃষি শ্রমিক ২.৭৭%, শিল্প ০.৮০%, ব্যবসা ১১.২৫%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৪.২৭%, চাকরি ৪.৩১%, নির্মাণ ১.০১%, ধর্মীয় সেবা ০.১৬%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৩৬% এবং অন্যান্য ৭.৭৩%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬৩.০৮%, ভূমিহীন ৩৬.৯২%। শহরে ৪৮.১২% এবং গ্রামে ৬৩.৮১% পরিবারের কৃষিভূমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, গম, সরিষা, আলু, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি আমন ধান।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, জাম, খেজুর, তাল, কলা।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার হ্যাচারি ৮।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৮৩ কিমি, কাঁচারাস্তা ৩৩৯ কিমি; রেলপথ ১৫ কিমি; রেলস্টেশন ২।
শিল্প ও কলকারখানা চাল কল।
কুটিরশিল্প পাটশিল্প, তাঁতশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, বাঁশের কাজ, বেতের কাজ, কাঠের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ২০, মেলা ৯। মালকার হাট, কাহালু হাট, জামগাঁাও হাট, দূর্গাপুর হাট, ভালসুন হাট, গোয়াবিশা হাট, ইরোইল হাট, ঢাকনতলা খাবাশপুর মেলা, পাটহারা মেলা ও বড় পুকুরিয়া মেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য মাছের পোনা, মাছ, ধান, চাল, খেজুর গুড়।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৩৪.৪৭% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৩.৩%, ট্যাপ ০.৪৬%, পুকুর ০.২৩% এবং অন্যান্য ৬.০১%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৩০.০৯% (গ্রামে ২৮.৯৭% ও শহরে ৫২.৯৭%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৩৬.৩২% (গ্রামে ৩৬.৬২% ও শহরে ৩০.১০%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৩৩.৫৯% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র ৪, মা ও শিশু কেন্দ্র ৪, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ১, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৮, পশুচিকিৎসা কেন্দ্র ৩।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১৯৫৪ সালের বন্যায় এ উপজেলার কাঁচা ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাছাড়াও ১৯৮৮ সালের বন্যায় প্রাণহানির ঘটনাসহ অনেক ফসল নষ্ট হয়।
এনজিও আশা, ব্র্যাক, ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ। [মোঃ খায়রুল আলম পুলক]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; কাহালু উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।
