কুমারখালী উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২০ নং লাইন: | ২০ নং লাইন: | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
|পৌরসভা | | colspan="9" | পৌরসভা | ||
|- | |- | ||
| আয়তন (বর্গ কিমি) || ওয়ার্ড || মহল্লা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | | আয়তন (বর্গ কিমি) || ওয়ার্ড || মহল্লা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | ||
৫৮ নং লাইন: | ৫৮ নং লাইন: | ||
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ||
[[Image:KumarkhaliUpazilaKushtia.jpg|thumb|400px|right]] | |||
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের প্রেস (১৮৫৭), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ী (১৮৬২), লালন শাহ এর মাযার, মুগল আমলে নির্মিত বালিয়াকান্দি শাহী মসজিদ, মুগল আমলে নির্মিত কুশলিবাসা শাহী মসজিদ, মিয়াজান কাজীর মসজিদ (১৮৪০), তেবাড়িয়া তিন গম্বুজ মসজিদ (১৮৮৯), কুমারখালী বড় জামে মসজিদ (১৮৯০), শেরকান্দি হাজীর মসজিদ (১৮৮৭), বাটিকামারা জামে মসজিদ, খোরশেদপুর গোপীনাথ মন্দির (১৭৩৫), রাজা সীতারামের মঠ উল্লেখযোগ্য। | ''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের প্রেস (১৮৫৭), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ী (১৮৬২), লালন শাহ এর মাযার, মুগল আমলে নির্মিত বালিয়াকান্দি শাহী মসজিদ, মুগল আমলে নির্মিত কুশলিবাসা শাহী মসজিদ, মিয়াজান কাজীর মসজিদ (১৮৪০), তেবাড়িয়া তিন গম্বুজ মসজিদ (১৮৮৯), কুমারখালী বড় জামে মসজিদ (১৮৯০), শেরকান্দি হাজীর মসজিদ (১৮৮৭), বাটিকামারা জামে মসজিদ, খোরশেদপুর গোপীনাথ মন্দির (১৭৩৫), রাজা সীতারামের মঠ উল্লেখযোগ্য। | ||
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ কুমারখালীতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। ৬ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধারা স্থানীয় একজন রাজাকারের বাড়ি আক্রমণ করতে গেলে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের সময় যদুবয়রা ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামে পাকবাহিনী ও স্থানীয় রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে একজন রাজাকার নিহত হয়। ৯ ডিসেম্বর কুমারখালী উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। এ উপজেলায় ৩৯ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ৬ জন বীরাঙ্গনা রয়েছেন। | ''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ কুমারখালীতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। ৬ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধারা স্থানীয় একজন রাজাকারের বাড়ি আক্রমণ করতে গেলে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের সময় যদুবয়রা ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামে পাকবাহিনী ও স্থানীয় রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে একজন রাজাকার নিহত হয়। ৯ ডিসেম্বর কুমারখালী উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। এ উপজেলায় ৩৯ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ৬ জন বীরাঙ্গনা রয়েছেন। | ||
''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' গণকবর ২। | ''মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন'' গণকবর ২। |
০৫:১০, ৯ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
কুমারখালী উপজেলা (কুষ্টিয়া জেলা) আয়তন: ২৫৮.৩৭ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৪৪´ থেকে ২৩°৫৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°০৯´ থেকে ৮৯°২২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে পাবনা সদর ও পদ্মা নদী, দক্ষিণে শৈলকূপা উপজেলা, পূর্বে খোকসা উপজেলা, পশ্চিমে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা।
জনসংখ্যা ২৯৭৭২৮; পুরুষ ১৫১৭৯১, মহিলা ১৪৫৯৩৭। মুসলিম ২৮৬০৯৪, হিন্দু ১১৫৮৯, বৌদ্ধ ২৫ এবং অন্যান্য ২০। এ উপজেলায় বুনো, বাঁশফোঁড় প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
জলাশয় পদ্মা, গড়াই ও কালীগঙ্গা নদী এবং ডাকুয়া খাল উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন ১৩টি পরগনা নিয়ে ১৮৫৫ সালে কুমারখালী থানা গঠিত হয় এবং ১৮৫৭ সালে এটিকে পাবনার একটি মহকুমায় উন্নীত করা হয়। ১৮৭১ সালে কুমারখালী মহকুমা অবলুপ্ত হয় এবং একে কুষ্টিয়া মহকুমার অংশ হিসেবে নদীয়া জেলার অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। এছাড়াও কুমারখালী অবিভক্ত বাংলার প্রথমদিকের পৌরসভাগুলির মধ্যে একটি। পৌরসভা গঠিত হয় ১৮৬৯ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
১ | ১১ | ১৮৭ | ২০১ | ১৯৭০৭ | ১০০৯৩ | ১১৫২ | ৫৯.৮ | ৩৬.৫ |
পৌরসভা | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | ওয়ার্ড | মহল্লা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | |||
১০.৫০ | ৯ | ১৭ | ১৯৭০৭ | ১৮৭৭ | ৫৯.৮ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
কয়া ৫১ | ৪৬০৮ | ১৫৬৭৭ | ১৫৩২১ | ৩৬.৭৯ | ||||
চাঁদপুর ১৯ | ৬৭৭৪ | ১৩৩৯৬ | ১২৯৪৮ | ৪০.৯৩ | ||||
চাপড়া ২৫ | ৫৮০৬ | ১৭৫০২ | ১৭১৬০ | ৩৯.৭৯ | ||||
জগন্নাথপুর ৪৩ | ৫৮৯৮ | ৯৫১২ | ৯০২৭ | ৩৫.৭২ | ||||
নন্দলালপুর ৬৯ | ৬৩৩৮ | ১৫৯১৭ | ১৫৩২৩ | ৪০.৪০ | ||||
পান্টি ৭৭ | ৫৮৩১ | ১৩৬৯২ | ১৩১৭৭ | ৩৯.৫২ | ||||
বাগুলাট ১৬ | ৬২০২ | ১১৭৭১ | ১১৩৭২ | ৪০.১০ | ||||
যদুবয়রা ৩৪ | ৫৫১৭ | ১১৯৫৭ | ১১৪৩৪ | ৩২.৬৭ | ||||
শিলাইদহ ৯৪ | ১১৬৭৩ | ১১৯২৬ | ১১৯৫৫ | ৩০.৭৮ | ||||
সদকী ৮৬ | ৫৪২১ | ১১৬৩৯ | ১০৫৫৩ | ৩৩.৪৩ | ||||
সাদীপুর ৯০ | - | ৮৭০৯ | ৮০৫৩ | ২১.৭২ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের প্রেস (১৮৫৭), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ী (১৮৬২), লালন শাহ এর মাযার, মুগল আমলে নির্মিত বালিয়াকান্দি শাহী মসজিদ, মুগল আমলে নির্মিত কুশলিবাসা শাহী মসজিদ, মিয়াজান কাজীর মসজিদ (১৮৪০), তেবাড়িয়া তিন গম্বুজ মসজিদ (১৮৮৯), কুমারখালী বড় জামে মসজিদ (১৮৯০), শেরকান্দি হাজীর মসজিদ (১৮৮৭), বাটিকামারা জামে মসজিদ, খোরশেদপুর গোপীনাথ মন্দির (১৭৩৫), রাজা সীতারামের মঠ উল্লেখযোগ্য।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ কুমারখালীতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। ৬ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধারা স্থানীয় একজন রাজাকারের বাড়ি আক্রমণ করতে গেলে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের সময় যদুবয়রা ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামে পাকবাহিনী ও স্থানীয় রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে একজন রাজাকার নিহত হয়। ৯ ডিসেম্বর কুমারখালী উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। এ উপজেলায় ৩৯ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ৬ জন বীরাঙ্গনা রয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর ২।
উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বালিয়াকান্দি শাহী মসজিদ (মোগল আমলে নির্মিত), কুশলিবাসা শাহী মসজিদ, মিয়াজন কাজীর মসজিদ (১৮৪০), তেবাড়িয়া তিন গম্বুজ মসজিদ (১৮৮৯), কুমারখালী বড় জামে মসজিদ (১৮৯০), শেরকান্দি হাজীর মসজিদ (১৮৮৭), বাটিকামারা জামে মসজিদ, উত্তর যদুবয়রা জামে মসজিদ (১৯০২), হাসিমপুর জামে মসজিদ, পান্টি বাজার জামে মসজিদ, খোরশেদপুর গোপীনাথ মন্দির, রাজা সীতারামের মঠ, মহিষখোলা দুর্গা মন্দির, মির্জাপুরে বৌদ্ধ মঠ।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৮.১%; পুরুষ ৪১.৪%, মহিলা ৩৪.৭%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: কুমারখালী ডিগ্রি্ কলেজ (১৯৭০), পান্টি ডিগ্রি কলেজ (১৯৭৮), কুমারখালী এম এন পাইলট হাইস্কুল (১৮৫৬), খোরশেদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৮৭৬), যদুবয়রা হাইস্কুল (১৯০২), জে এন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২২), হাসিমপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৪৫), সুলতানপুর মাহতাবিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৪৫), পান্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৫৭), কুমারখালী বালিকা বিদ্যালয় (১৯৬৩), মধুপুর কলেজিয়েট স্কুল (১৯৬৩), মহেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৬৭), জগন্নাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৭৩), খোরশেদপুর প্রতিমা বালিকা বিদ্যালয় (রবীন্দ্রনাথের পুত্রবধূ নির্মাণ করেন), কুমারখালী সিনিয়র মাদ্রাসা (১৯৬১)।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী দৈনিক: গ্রামবার্তা (১৮৫৭), বঙ্গীয় তিলি সমাজ; পাক্ষিক: হিতকরী; মাসিক: শৈবী; অবিলুপ্ত পত্রিকা: প্রত্যয়, সৃজনশীল, প্রত্যাশার প্রতিবিম্ব, কোহিনুর ও নিহারিকা।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ৩৬, নাট্যমঞ্চ ৩, নাট্যদল ৫, সিনেমা হল ১, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ২০, সংগীত কলেজ ১, খেলার মাঠ ১৫।
দর্শনীয় স্থান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি, বাউল শিল্পী লালন সাঁই-এর মাযার, সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তভিটা, গোপিনাথের মন্দির, খোরশেদ শাহের মাযার।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৪২.২৬%, অকৃষি শ্রমিক ৮.০৬%, শিল্প ৯.৬৩%, ব্যবসা ১৮.৫২%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৫.৩২%, চাকরি ৫.৮৮%, নির্মাণ ২.১৭%, ধর্মীয় সেবা ০.২২%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.২৯% এবং অন্যান্য ৭.৬৫%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৪৬.০২%, ভূমিহীন ৫৩.৯৮%। শহরে ২৪.৩৫% এবং গ্রামে ৪৭.৫১% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, পাট, আখ, ভূট্টা।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি নীল, কাউন, যব।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, নারিকেল, কাঁঠাল, লিচু, তাল।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি খামার এবং হ্যাচারি ও নার্সারি রয়েছে।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরু ও ঘোড়ার গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা বুলবুল টেক্সটাইল, হীরা টেক্সটাইল, রানা টেক্সটাইল, ইলোরা টেক্সটাইল, ইস্টার্ন ফেব্রিকস।
কুটির শিল্প তাঁতশিল্প, সুচিশিল্প, বুননশিল্প, মৃৎশিল্প, বেতের কাজ, বাঁশের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ২৪, মেলা ৬। সখীপুরের হাট, বাঁশ গ্রাম হাট, খোরশেদপুর হাট, হাসিমপুর বাজার ও পান্টি বাজার এবং শিলাইদহ মেলা, লালন সাঁই-এর মেলা ও গোপীনাথ মেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য বস্ত্র, দুধ, নারিকেল, দই।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৩৪.৭৮% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৫.৪৪%, ট্যাপ ০.৮০%, পুকুর ০.১৬% এবং অন্যান্য ৩.৬০%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৪৫.৫১% (গ্রামে ৮০.১২% এবং শহরে ৪৩.১৩%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৩৩.৯৩% (গ্রামে ১২.৪৮% এবং শহরে ৩৫.৪০%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ২০.৫৬% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৯, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ১১, মাতৃমঙ্গল ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১, ক্লিনিক ৫, ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ৩।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১৯৭০ ও ১৯৮৮ সালের বন্যায় উপজেলার এনায়েতপুর ও গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ঘরবাড়ি, ফসল ও গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এনজিও ব্র্যাক, আশা, বিআরডিবি। [শেখ মোঃ বদরুল আলম টিপু]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১,বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; কুমারখালী উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।