বাংলাদেশ ভূমি মালিকানা (সীমিতকরণ) আদেশ, ১৯৭২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''বাংলাদেশ ভূমি মালিকানা | '''বাংলাদেশ ভূমি মালিকানা (সীমিতকরণ) আদেশ, ১৯৭২''' বাংলাদেশে পরিবার বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন কৃষি ও অকৃষি উভয় খাতে জমির সর্বোচচ পরিমাণ নির্ধারণের উদ্দেশ্যে জারিকৃত রাষ্ট্রপতির আদেশ (রাষ্ট্রপতির ১৯৭২ সালের ৯৮ নং আদেশ)। এই আদেশে মালিকানাধীন ভূসম্পত্তির পরিমাণ ৩৭৫ বিঘা থেকে কমিয়ে ১০০ বিঘায় সীমিত করে অতিরিক্ত জমি সরকারের নিকট সমর্পণের বিধান চালু হয়। তদনুযায়ী ক্রয়, দান, উত্তরাধিকার বা অন্য উপায়ে এই পরিমাণের অধিক জমি দখলে রাখা নিষিদ্ধ করা হয়। এই আদেশের আওতায় প্রতিটি পরিবারকে তার অধিকারভুক্ত যাবতীয় ভূসম্পত্তির একটি বিবরণ এবং সমর্পনযোগ্য অতিরিক্ত জমির একটি পৃথক বিবরণী দাখিল করতে হয়। বিবরণীতে কোনো সম্পত্তি বাদ দেওয়া অথবা অসত্য ঘোষণা প্রদান করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে এবং বিবরণী থেকে বাদ দেওয়া ভূমি সরকারে বাজেয়াপ্ত হবে। | ||
এই আদেশে অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ প্রদান বিষয়ে রাজস্ব কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষের জন্য বিভাগীয় বিচারের ব্যবস্থা রয়েছে। সমর্পণযোগ্য বাড়তি জমি গ্রহণের ক্ষেত্রে রাজস্ব কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের নিকট এবং জেলা প্রশাসকের আদেশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আপিল করা যায়। বিভাগীয় কমিশনারের আদেশের বিরুদ্ধেও ভূমি আপিল বোর্ডে আপীলের বিধান রয়েছে। বাজেয়াপ্ত জমির ব্যাপার আপীলযোগ্য নয়। | এই আদেশে অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ প্রদান বিষয়ে রাজস্ব কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষের জন্য বিভাগীয় বিচারের ব্যবস্থা রয়েছে। সমর্পণযোগ্য বাড়তি জমি গ্রহণের ক্ষেত্রে রাজস্ব কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের নিকট এবং জেলা প্রশাসকের আদেশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আপিল করা যায়। বিভাগীয় কমিশনারের আদেশের বিরুদ্ধেও ভূমি আপিল বোর্ডে আপীলের বিধান রয়েছে। বাজেয়াপ্ত জমির ব্যাপার আপীলযোগ্য নয়। | ||
৬ নং লাইন: | ৬ নং লাইন: | ||
সমর্পিত অতিরিক্ত জমির পরিমাণ জরিপ ও ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের দায়িত্ব সম্পাদন করেন রাজস্ব কর্মকর্তা। ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের নিকট এবং জেলা প্রশাসকের আদেশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপীল করা যাবে এবং এক্ষেত্রে বিভাগীয় কমিশনারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। [আমিনুল হক] | সমর্পিত অতিরিক্ত জমির পরিমাণ জরিপ ও ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের দায়িত্ব সম্পাদন করেন রাজস্ব কর্মকর্তা। ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের নিকট এবং জেলা প্রশাসকের আদেশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপীল করা যাবে এবং এক্ষেত্রে বিভাগীয় কমিশনারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। [আমিনুল হক] | ||
[[en:Bangladesh Land Holding (Limitation) | [[en:Bangladesh Land Holding (Limitation) Order, 1972]] | ||
০৪:০১, ৯ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
বাংলাদেশ ভূমি মালিকানা (সীমিতকরণ) আদেশ, ১৯৭২ বাংলাদেশে পরিবার বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন কৃষি ও অকৃষি উভয় খাতে জমির সর্বোচচ পরিমাণ নির্ধারণের উদ্দেশ্যে জারিকৃত রাষ্ট্রপতির আদেশ (রাষ্ট্রপতির ১৯৭২ সালের ৯৮ নং আদেশ)। এই আদেশে মালিকানাধীন ভূসম্পত্তির পরিমাণ ৩৭৫ বিঘা থেকে কমিয়ে ১০০ বিঘায় সীমিত করে অতিরিক্ত জমি সরকারের নিকট সমর্পণের বিধান চালু হয়। তদনুযায়ী ক্রয়, দান, উত্তরাধিকার বা অন্য উপায়ে এই পরিমাণের অধিক জমি দখলে রাখা নিষিদ্ধ করা হয়। এই আদেশের আওতায় প্রতিটি পরিবারকে তার অধিকারভুক্ত যাবতীয় ভূসম্পত্তির একটি বিবরণ এবং সমর্পনযোগ্য অতিরিক্ত জমির একটি পৃথক বিবরণী দাখিল করতে হয়। বিবরণীতে কোনো সম্পত্তি বাদ দেওয়া অথবা অসত্য ঘোষণা প্রদান করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে এবং বিবরণী থেকে বাদ দেওয়া ভূমি সরকারে বাজেয়াপ্ত হবে।
এই আদেশে অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ প্রদান বিষয়ে রাজস্ব কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষের জন্য বিভাগীয় বিচারের ব্যবস্থা রয়েছে। সমর্পণযোগ্য বাড়তি জমি গ্রহণের ক্ষেত্রে রাজস্ব কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের নিকট এবং জেলা প্রশাসকের আদেশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আপিল করা যায়। বিভাগীয় কমিশনারের আদেশের বিরুদ্ধেও ভূমি আপিল বোর্ডে আপীলের বিধান রয়েছে। বাজেয়াপ্ত জমির ব্যাপার আপীলযোগ্য নয়।
সমর্পিত অতিরিক্ত জমির পরিমাণ জরিপ ও ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের দায়িত্ব সম্পাদন করেন রাজস্ব কর্মকর্তা। ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের নিকট এবং জেলা প্রশাসকের আদেশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপীল করা যাবে এবং এক্ষেত্রে বিভাগীয় কমিশনারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। [আমিনুল হক]