তাড়াইল উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (fix: image tag) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
(একজন ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ৩টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না) | |||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:Banglapedia]] | [[Category:Banglapedia]] | ||
'''তাড়াইল উপজেলা''' ([[কিশোরগঞ্জ জেলা|কিশোরগঞ্জ জেলা]]) আয়তন: | '''তাড়াইল উপজেলা''' ([[কিশোরগঞ্জ জেলা|কিশোরগঞ্জ জেলা]]) আয়তন: ১৪১.৪৩ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৩০´ থেকে ২৪°৩৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৪৯´ থেকে ৯০°৫৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কেন্দুয়া ও মদন উপজেলা, দক্ষিণে করিমগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে ইটনা উপজেলা, পশ্চিমে নান্দাইল ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা। | ||
জনসংখ্যা | ''জনসংখ্যা'' ১৫৯৭৩৯; পুরুষ ৭৯১৯৯, মহিলা ৮০৫৪০। মুসলিম ১৫২৮৫২, হিন্দু ৬৮১৭, খ্রিস্টান ১৬ এবং অন্যান্য ৫৪। | ||
''জলাশয়'' প্রধান নদী: বাঠাইল, বারুনী , নরসুন্দা ও বুড়িনদী। ধলাচাইনা বিল, মাকরাউন্দা বিল, কার্তার বিল, বড়বিল, নয়লা বিল, গজনা বিল ও পূবাইল বিল উল্লেখযোগ্য। | ''জলাশয়'' প্রধান নদী: বাঠাইল, বারুনী , নরসুন্দা ও বুড়িনদী। ধলাচাইনা বিল, মাকরাউন্দা বিল, কার্তার বিল, বড়বিল, নয়লা বিল, গজনা বিল ও পূবাইল বিল উল্লেখযোগ্য। | ||
''প্রশাসন'' তাড়াইল থানা গঠিত হয় ১৯২৮ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে। | ''প্রশাসন'' তাড়াইল থানা গঠিত হয় ১৯২৮ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে। | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| colspan="9" | উপজেলা | | colspan="9" | উপজেলা | ||
|- | |- | ||
| rowspan="2" | পৌরসভা || rowspan="2" | ইউনিয়ন || rowspan="2" | মৌজা || rowspan="2" | গ্রাম || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || colspan="2" | শিক্ষার হার (%) | |||
|- | |- | ||
| শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | | শহর || গ্রাম || শহর || গ্রাম | ||
|- | |- | ||
| - | | - || ৭ || ৭৬ || ১১৬ || ৮৬৭৫ || ১৫১০৬৪ || ১১২৯ || ৫৮.৯ || ৩৪.৩ | ||
|} | |} | ||
{| class="table table-bordered table-hover" | {| class="table table-bordered table-hover" | ||
|- | |- | ||
| উপজেলা শহর | | colspan="9" | উপজেলা শহর | ||
|- | |- | ||
| আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | | আয়তন (বর্গ কিমি) || মৌজা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| | | ৩.০৬ || ১ || ৮৬৭৫ || ২৮৩৫ || ৫৮.৯ | ||
|} | |||
{| class="table table-bordered table-hover" | |||
|- | |- | ||
| ইউনিয়ন | | colspan="9" | ইউনিয়ন | ||
|- | |- | ||
| ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || আয়তন(একর) || লোকসংখ্যা || শিক্ষার হার(%) | | rowspan="2"| ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড || rowspan="2"| আয়তন (একর) || colspan="2"| লোকসংখ্যা || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%) | ||
|- | |- | ||
| | | পুরুষ || মহিলা | ||
|- | |- | ||
| জাওয়ার ৫৪ | | জাওয়ার ৫৪ || ৪৫১১ || ১১২৬৬ || ১১১৬৬ || ২৮.৮ | ||
|- | |- | ||
| তাড়াইল-সাচাইল ৯৪ | | তাড়াইল-সাচাইল ৯৪ || ৪২৫৬ || ১২৪৩৯ || ১২৩৫৬ || ৪২.৫ | ||
|- | |- | ||
| তালজাঙ্গা ৮১ | | তালজাঙ্গা ৮১ || ৪২৩৯ || ১০০৩৪ || ১০৭১১ || ৪৩.৫ | ||
|- | |- | ||
| দামিহা ১৩ | | দামিহা ১৩ || ৬৪৬৫ || ১২৮৬৫ || ১২৯৯৩ || ২৯.৬ | ||
|- | |- | ||
| দিগদাইড় ৪০ | | দিগদাইড় ৪০ || ৪১৯৭ || ১০১৬২ || ১০৩৫১ || ৩৫.৫ | ||
|- | |- | ||
| ধলা ২৭ | | ধলা ২৭ || ৪৮৯২ || ৯৯৪৪ || ১০০৯৯ || ৩২.৩ | ||
|- | |- | ||
| রাউতি ৬৭ | | রাউতি ৬৭ || ৫২৫৮ || ১২৪৮৯ || ১২৮৬৪ || ৩৭.৪ | ||
|} | |} | ||
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট | ''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। | ||
[[Image:TarailUpazila.jpg|thumb|400px]] | |||
''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' সাহেববাড়ি জামে মসজিদ (জাওয়ার, ৯৪১ হিজরি), পুরুড়া গ্রাম মসজিদ (বাদশাহী আমল), সাহেব বাড়ির মসজিদ ও মাযার (সেকান্দর নগর), গিরিশ চন্দ্র পালের কাচারী বাড়ি (১৩৩৩ বঙ্গাব্দ), জমিদার রাজচন্দ্র রায়ের স্মৃতিসৌধ। | ''প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ'' সাহেববাড়ি জামে মসজিদ (জাওয়ার, ৯৪১ হিজরি), পুরুড়া গ্রাম মসজিদ (বাদশাহী আমল), সাহেব বাড়ির মসজিদ ও মাযার (সেকান্দর নগর), গিরিশ চন্দ্র পালের কাচারী বাড়ি (১৩৩৩ বঙ্গাব্দ), জমিদার রাজচন্দ্র রায়ের স্মৃতিসৌধ। | ||
'' | ''মুক্তিযুদ্ধ'' উপজেলায় হানাদারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তিন বার যুদ্ধ হয়। এলাকায় দুটি বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া গেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষার্থে প্রতিষ্ঠিত তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি কলেজে একটি মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে। | ||
'' | ''বিস্তারিত দেখুন'' তাড়াইল উপজেলা, ''বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ'', বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৫। | ||
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ২৩১, মন্দির ১২, মাযার ১, আখড়া ১। | |||
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৩৫.৭%; পুরুষ ৩৬.০%, মহিলা ৩৫.৪%। কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৫, কমিউনিটি বিদ্যালয় ৩, মাদ্রাসা ৬। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয় (১৯৯২), তাড়াইল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৫), জাওয়ার উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৩), পুরুড়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬১, তালজাঙ্গা রাজচন্দ্র রায় উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৪), ধলা বহুমূখী আলীম মাদ্রাসা (১৯৬৮), তালজাঙ্গা ইউনিয়ন সিনিয়র মাদ্রাসা (১৯৯১)। | |||
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' ক্লাব ৩১, সিনেমা হল ২, সার্কাস দল ১, খেলার মাঠ ১৯। | ''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' ক্লাব ৩১, সিনেমা হল ২, সার্কাস দল ১, খেলার মাঠ ১৯। | ||
৮৩ নং লাইন: | ৭১ নং লাইন: | ||
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' তিল, তিসি, মাষকলাই, মটর, খেসারি। | ''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' তিল, তিসি, মাষকলাই, মটর, খেসারি। | ||
প্রধান ফল | ''প্রধান ফল-ফলাদি'' আম, কাঁঠাল, লিচু, কুল। | ||
''মৎস্য | ''মৎস্য,গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' মৎস্য ২১, মৎস্য অভয়াশ্রম ৩, গবাদিপশু ২৮, হাঁস-মুরগি ৪৯, হ্যাচারি ১। | ||
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা | ''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৭৪ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৩৯০ কিমি, কাঁচারাস্তা ২৫০ কিমি; নৌপথ ৯ কিমি। | ||
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি। | ''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি। | ||
৯৭ নং লাইন: | ৮৫ নং লাইন: | ||
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ৭, মেলা ৯। তাড়াইল বাজার, তালজাঙ্গা বাজার, জাওয়ার বাজার ও পুরুড়া বাজার উল্লেখযোগ্য। | ''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ৭, মেলা ৯। তাড়াইল বাজার, তালজাঙ্গা বাজার, জাওয়ার বাজার ও পুরুড়া বাজার উল্লেখযোগ্য। | ||
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' ধান, পাট, সরিষা। | ''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য'' ধান, পাট, সরিষা। | ||
'' | ''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৬০.৬% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। | ||
'' | ''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৯৫.৪%, ট্যাপ ০.২% এবং অন্যান্য ৪.৪%। এ উপজেলার ২৫.৪১% অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে। | ||
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ৫৩.০% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৪১.১% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৫.৯% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই। | |||
'' | ''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৪, পল্লী স্বাস্থ্যকেন্দ্র ২। | ||
'' | ''প্রাকৃতিক দুর্যোগ'' ১৯৮৮ ও ২০০৪ সালের বন্যায় এ উপজেলার ঘরবাড়ি, গবাদিপশু, ফসল ও অন্যান্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। | ||
''' | ''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা, স্বনির্ভর বাংলাদেশ। [মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন খান] | ||
'''তথ্যসূত্র''' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; তাড়াইল উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭। | |||
[[en:Tarail Upazila]] | [[en:Tarail Upazila]] |
১৮:৫৮, ২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
তাড়াইল উপজেলা (কিশোরগঞ্জ জেলা) আয়তন: ১৪১.৪৩ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৩০´ থেকে ২৪°৩৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৪৯´ থেকে ৯০°৫৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কেন্দুয়া ও মদন উপজেলা, দক্ষিণে করিমগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে ইটনা উপজেলা, পশ্চিমে নান্দাইল ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা।
জনসংখ্যা ১৫৯৭৩৯; পুরুষ ৭৯১৯৯, মহিলা ৮০৫৪০। মুসলিম ১৫২৮৫২, হিন্দু ৬৮১৭, খ্রিস্টান ১৬ এবং অন্যান্য ৫৪।
জলাশয় প্রধান নদী: বাঠাইল, বারুনী , নরসুন্দা ও বুড়িনদী। ধলাচাইনা বিল, মাকরাউন্দা বিল, কার্তার বিল, বড়বিল, নয়লা বিল, গজনা বিল ও পূবাইল বিল উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন তাড়াইল থানা গঠিত হয় ১৯২৮ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
- | ৭ | ৭৬ | ১১৬ | ৮৬৭৫ | ১৫১০৬৪ | ১১২৯ | ৫৮.৯ | ৩৪.৩ |
উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
৩.০৬ | ১ | ৮৬৭৫ | ২৮৩৫ | ৫৮.৯ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
জাওয়ার ৫৪ | ৪৫১১ | ১১২৬৬ | ১১১৬৬ | ২৮.৮ | ||||
তাড়াইল-সাচাইল ৯৪ | ৪২৫৬ | ১২৪৩৯ | ১২৩৫৬ | ৪২.৫ | ||||
তালজাঙ্গা ৮১ | ৪২৩৯ | ১০০৩৪ | ১০৭১১ | ৪৩.৫ | ||||
দামিহা ১৩ | ৬৪৬৫ | ১২৮৬৫ | ১২৯৯৩ | ২৯.৬ | ||||
দিগদাইড় ৪০ | ৪১৯৭ | ১০১৬২ | ১০৩৫১ | ৩৫.৫ | ||||
ধলা ২৭ | ৪৮৯২ | ৯৯৪৪ | ১০০৯৯ | ৩২.৩ | ||||
রাউতি ৬৭ | ৫২৫৮ | ১২৪৮৯ | ১২৮৬৪ | ৩৭.৪ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ সাহেববাড়ি জামে মসজিদ (জাওয়ার, ৯৪১ হিজরি), পুরুড়া গ্রাম মসজিদ (বাদশাহী আমল), সাহেব বাড়ির মসজিদ ও মাযার (সেকান্দর নগর), গিরিশ চন্দ্র পালের কাচারী বাড়ি (১৩৩৩ বঙ্গাব্দ), জমিদার রাজচন্দ্র রায়ের স্মৃতিসৌধ।
মুক্তিযুদ্ধ উপজেলায় হানাদারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তিন বার যুদ্ধ হয়। এলাকায় দুটি বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া গেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষার্থে প্রতিষ্ঠিত তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি কলেজে একটি মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে।
বিস্তারিত দেখুন তাড়াইল উপজেলা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৫।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ২৩১, মন্দির ১২, মাযার ১, আখড়া ১।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৫.৭%; পুরুষ ৩৬.০%, মহিলা ৩৫.৪%। কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৫, কমিউনিটি বিদ্যালয় ৩, মাদ্রাসা ৬। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: তাড়াইল মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয় (১৯৯২), তাড়াইল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৫), জাওয়ার উচ্চ বিদ্যালয় (১৯০৩), পুরুড়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬১, তালজাঙ্গা রাজচন্দ্র রায় উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৪), ধলা বহুমূখী আলীম মাদ্রাসা (১৯৬৮), তালজাঙ্গা ইউনিয়ন সিনিয়র মাদ্রাসা (১৯৯১)।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ৩১, সিনেমা হল ২, সার্কাস দল ১, খেলার মাঠ ১৯।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৯.৭৫%, অকৃষি শ্রমিক ৪.৩৭%, শিল্প ০.৩৬%, ব্যবসা ১২.১৮%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.১৯%, চাকরি ৩.১০%, নির্মাণ ০.৬১%, ধর্মীয় সেবা ০.৩১%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.১৭% এবং অন্যান্য ৬.৯৬%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৪৯.৭৮%, ভূমিহীন ৫০.২২%। শহরে ৩৪.৮৬% এবং গ্রামে ৫০.৫৮% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, গম, সরিষা, মরিচ, পিঁয়াজ।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি তিল, তিসি, মাষকলাই, মটর, খেসারি।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, লিচু, কুল।
মৎস্য,গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ২১, মৎস্য অভয়াশ্রম ৩, গবাদিপশু ২৮, হাঁস-মুরগি ৪৯, হ্যাচারি ১।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৭৪ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৩৯০ কিমি, কাঁচারাস্তা ২৫০ কিমি; নৌপথ ৯ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা ধানকল, করাতকল, বরফকল, সাবান কারখানা, বেকারি।
কুটির শিল্প বুননশিল্প, স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, কাঠের কাজ, বাঁশের কাজ ইত্যাদি।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৭, মেলা ৯। তাড়াইল বাজার, তালজাঙ্গা বাজার, জাওয়ার বাজার ও পুরুড়া বাজার উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, পাট, সরিষা।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৬০.৬% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৫.৪%, ট্যাপ ০.২% এবং অন্যান্য ৪.৪%। এ উপজেলার ২৫.৪১% অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৫৩.০% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৪১.১% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৫.৯% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৪, পল্লী স্বাস্থ্যকেন্দ্র ২।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১৯৮৮ ও ২০০৪ সালের বন্যায় এ উপজেলার ঘরবাড়ি, গবাদিপশু, ফসল ও অন্যান্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এনজিও ব্র্যাক, আশা, স্বনির্ভর বাংলাদেশ। [মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন খান]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; তাড়াইল উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।