সামাদ, লায়লা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''সামাদ, লায়লা''' (১৯২৮-১৯৮৯)  সাংবাদিক, সাহিত্যিক, নাট্যকর্মী ও নারী সংগঠক। ১৯২৮ সালের  ৩ এপ্রিল কলকাতায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর জেলার মির্জাপুর গ্রামে। পিতা খানবাহাদুর আমিনুল হক ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা।
'''সামাদ, লায়লা''' (১৯২৮-১৯৮৯)  সাংবাদিক, সাহিত্যিক, নাট্যকর্মী ও নারী সংগঠক। ১৯২৮ সালের  ৩ এপ্রিল কলকাতায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর জেলার মির্জাপুর গ্রামে। পিতা খানবাহাদুর আমিনুল হক ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা।


কলকাতার ডাইসেশন স্কুল ও নারী শিক্ষা মন্দিরে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে লায়লা সামাদ সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল থেকে ১৯৪২ সালে এন্ট্রান্স পাস করেন। কিছুদিন তিনি আশুতোষ কলেজ ও লেডি ব্রাবোর্ন কলেজে অধ্যয়ন করেন, কিন্তু পরে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে বিএ পাস করেন। ১৯৪৬ সালে কম্যুনিস্ট পার্টির কর্মী চাচাতো ভাই মির্জা আবদুস সামাদের সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হয়ে তিনি ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। দীর্ঘকাল পরে ১৯৫৯ সালে তিনি  [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে সাংবাদিকতা বিষয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে এমএ পাস করেন।
[[Image:LailaSamad.JPG|right|thumbnail|300px|লায়লা সামাদ]]
 
কলকাতার ডাইসেশন স্কুল ও নারী শিক্ষা মন্দিরে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে লায়লা সামাদ সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল থেকে ১৯৪২ সালে এন্ট্রান্স পাস করেন। কিছুদিন তিনি আশুতোষ কলেজ ও লেডি ব্রাবোর্ন কলেজে অধ্যয়ন করেন, কিন্তু পরে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে বি.এ পাস করেন। ১৯৪৬ সালে কম্যুনিস্ট পার্টির কর্মী চাচাতো ভাই মির্জা আবদুস সামাদের সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হয়ে তিনি ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। দীর্ঘকাল পরে ১৯৫৯ সালে তিনি  [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে সাংবাদিকতা বিষয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে এম.এ পাস করেন।
 
 
# #লায়লা সামাদ


সাংবাদিক হিসেবে লায়লা সামাদ  [[বেগম|বেগম]] (১৯৫০), সংবাদ (১৯৫১-৫৪), চিত্রালী, পূর্বদেশ ও দৈনিক বাংলায় কাজ করেন। এছাড়া তিনি সম্পাদনা করেন মাসিক অনন্যা (১৯৫৪-৫৮) ও পাক্ষিক বিচিত্রা (১৯৭০)। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ: ছোটগল্প দুঃস্বপ্নের অন্ধকারে (১৯৬৩), কুয়াশার নদী (১৯৬৫), অরণ্যে নক্ষত্রের আলো (১৯৭৫), অমূর্ত আকাঙ্ক্ষা (১৯৭৮); শিশুতোষ গ্রন্থ ষোল দেশের ষোল কাহিনী (১৯৭৯); দিনপঞ্জী করচা ’৭১ (১৯৭৫); ভ্রমণকাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের দিন (১৯৮৫); নাটক বিচিত্রা (১৯৬০) ইত্যাদি।
সাংবাদিক হিসেবে লায়লা সামাদ  [[বেগম|বেগম]] (১৯৫০), সংবাদ (১৯৫১-৫৪), চিত্রালী, পূর্বদেশ ও দৈনিক বাংলায় কাজ করেন। এছাড়া তিনি সম্পাদনা করেন মাসিক অনন্যা (১৯৫৪-৫৮) ও পাক্ষিক বিচিত্রা (১৯৭০)। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ: ছোটগল্প দুঃস্বপ্নের অন্ধকারে (১৯৬৩), কুয়াশার নদী (১৯৬৫), অরণ্যে নক্ষত্রের আলো (১৯৭৫), অমূর্ত আকাঙ্ক্ষা (১৯৭৮); শিশুতোষ গ্রন্থ ষোল দেশের ষোল কাহিনী (১৯৭৯); দিনপঞ্জী করচা ’৭১ (১৯৭৫); ভ্রমণকাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের দিন (১৯৮৫); নাটক বিচিত্রা (১৯৬০) ইত্যাদি।

১০:৫২, ১৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

সামাদ, লায়লা (১৯২৮-১৯৮৯)  সাংবাদিক, সাহিত্যিক, নাট্যকর্মী ও নারী সংগঠক। ১৯২৮ সালের  ৩ এপ্রিল কলকাতায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর জেলার মির্জাপুর গ্রামে। পিতা খানবাহাদুর আমিনুল হক ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা।

লায়লা সামাদ

কলকাতার ডাইসেশন স্কুল ও নারী শিক্ষা মন্দিরে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে লায়লা সামাদ সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল থেকে ১৯৪২ সালে এন্ট্রান্স পাস করেন। কিছুদিন তিনি আশুতোষ কলেজ ও লেডি ব্রাবোর্ন কলেজে অধ্যয়ন করেন, কিন্তু পরে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে বি.এ পাস করেন। ১৯৪৬ সালে কম্যুনিস্ট পার্টির কর্মী চাচাতো ভাই মির্জা আবদুস সামাদের সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হয়ে তিনি ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। দীর্ঘকাল পরে ১৯৫৯ সালে তিনি  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা বিষয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে এম.এ পাস করেন।

সাংবাদিক হিসেবে লায়লা সামাদ  বেগম (১৯৫০), সংবাদ (১৯৫১-৫৪), চিত্রালী, পূর্বদেশ ও দৈনিক বাংলায় কাজ করেন। এছাড়া তিনি সম্পাদনা করেন মাসিক অনন্যা (১৯৫৪-৫৮) ও পাক্ষিক বিচিত্রা (১৯৭০)। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ: ছোটগল্প দুঃস্বপ্নের অন্ধকারে (১৯৬৩), কুয়াশার নদী (১৯৬৫), অরণ্যে নক্ষত্রের আলো (১৯৭৫), অমূর্ত আকাঙ্ক্ষা (১৯৭৮); শিশুতোষ গ্রন্থ ষোল দেশের ষোল কাহিনী (১৯৭৯); দিনপঞ্জী করচা ’৭১ (১৯৭৫); ভ্রমণকাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের দিন (১৯৮৫); নাটক বিচিত্রা (১৯৬০) ইত্যাদি।

পঞ্চাশের দশকে ঢাকার  মঞ্চ ও বেতার এবং ষাটের দশকে টিভির নাটক ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মুসলিম মহিলা হিসেবে লায়লা সামাদ বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি সংসদের উদ্যোগে জবানবন্দী (১৯৫১) নাটকে পুরুষদের সঙ্গে তিনিই প্রথম অভিনয় করেন। তাঁর অভিনীত দুটি বিখ্যাত নাটক ছেঁড়া তাঁর (১৯৫৩) ও কাফের (১৯৫৪)। তাঁর প্রযোজিত ও পরিচালিত নাটকগুলি: বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ, রেড ল্যান্টার্ন ও হোয়াইট হেয়ার্ড গার্ল ও মা। তিনি চারণিক নাট্যগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা এবং ঢাকা সিনে ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সংগঠক ছিলেন। সাহিত্যচর্চা, অভিনয়, সাংবাদিকতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি লেখিকা সংঘের নুরুন্নেসা খাতুন বিদ্যাবিনোদিনী স্বর্ণপদক  (১৯৭৭), সুফী মোতাহার হোসেন স্বর্ণপদক (১৯৭৯), বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২) ও হাসান হাফিজুর রহমান স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।  [অনুপম হায়াৎ]