উৎপাদন বন্টন চুক্তি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না) | |||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''উৎপাদন বন্টন চুক্তি''' (পিএসসি) | '''উৎপাদন বন্টন চুক্তি''' (পিএসসি) পেট্রোলিয়াম অনুসন্ধান ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বিদেশী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি বিশেষ চুক্তি। এই চুক্তির অধীনে আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি নিজ বিনিয়োগে ‘পিএসসি’র অধীন এলাকায় (ব্লক) অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে। পেট্রোলিয়াম অনুসন্ধান, উন্নয়ন, প্রক্রিয়াকরণ এবং বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা ও একই উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি সম্পাদনের দায়িত্ব এবং ক্ষমতা পেট্রোবাংলার উপর অর্পিত থাকায় সরকারের পক্ষে ঠিকাদার কোম্পানির সাথে [[পেট্রোবাংলা|পেট্রোবাংলা]] পিএসসি চুক্তি স্বাক্ষর করে। আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি যদি পিএসসি চুক্তির অধীনে লাভজনক কোনো তেল/গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার করতে সমর্থ হয় তাহলে সে তার অনুসন্ধান ব্যয় উসুল এবং পেট্রোবাংলার সাথে চুক্তি অনুযায়ী উৎপাদিত তেল/গ্যাসের লভ্যাংশ ভাগাভাগি করবার সুযোগ পায়। পিএসসি চুক্তিতে অনুসন্ধান ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে পেট্রোবাংলার কোনো দায় নেই এবং পিএসসি ব্লকে আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি অনুসন্ধান তৎপরতায় অসফল হলে বিনিয়োগ/ক্ষতির দায়ভার তাকে সম্পূর্ণভাবে বহন করতে হয়। | ||
বিশে^র অন্যান্য দেশের উৎসাহ ব্যাঞ্জক অভিজ্ঞতার আলোকে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের অগভীর সমুদ্রসীমায় নির্ধারিত শর্তের অধীনে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান ও উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিসমূহকে বাংলাদেশ সরকার প্রথম আমন্ত্রন জানায়। যে ক’টি কোম্পানির সাথে ১৯৭৪ সালে সরকারের পিএসসি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তারা হলো: যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক রিচফিল্ড, ইউনিয়ন অয়েল অব ক্যালিফোর্নিয়া (পরবর্তিতে ইউনোকল নাম ধারণ করে), অ্যাশল্যান্ড অয়েল অব ইউএসএ, সুপিরিয়র অয়েল কোম্পানি অব কানাডা, ইনা নাপথোলিন অব ইউগোস্লাভিয়া এবং বিওডিএস অব জাপান। ইউনোকল ১৯৭৭ সালে কুতুবদিয়ায় গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে কিন্তু কোম্পানির নিজ আর্থিক বিবেচনায় সেখান থেকে গ্যাস উত্তোলনে তৎপর হয়নি। অন্য কোনো তেল বা গ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কৃত না হওয়ায় পিএসসিসমূহ ১৯৭৮ সালে পরিত্যাগ করা হয়। ১৯৮১ সালে শেল অয়েল কোম্পানি পেট্রোবাংলার সাথে ভূভাগের ২৩ নম্বর ব্লক (দেশের উত্তর পশ্চিম অংশে) এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের (পরবর্তিতে ২২ ও ২৩ নম্বর ব্লক) জন্য ৩টি পিএসসি স্বাক্ষর করে কিন্তু চুক্তির অধীনে কোনো তেল বা গ্যাস আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়নি। ১৯৯১ সালে শেল অয়েল পিএসসির অধীন ব্লকসমূহ পরিত্যাগ করে। | |||
১৯৮৬ সালে পেট্রোবাংলা সিলেটের হরিপুরে বাংলাদেশের প্রথম তেলক্ষেত্র আবিষ্কার করে। এ খবর বাংলাদেশে তরল হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধান ও উত্তোলনে আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করে। ১৯৮৭ সালে ‘সিমিটার এক্সপ্লোরেশন কোম্পানি’ ১৩ নম্বর ব্লকে (সিলেটের নিকটবর্তী ১৩ নম্বর ব্লকে হরিপুরের অবস্থান) তরল হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধান এবং উত্তোলনের জন্য সরকারের সাথে পিএসসি স্বাক্ষর করে। ১৯৮৯ সালে সিমিটার জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করলেও কোনো তেলক্ষেত্র আবিষ্কার করতে না পারায় ১৯৯১ সালে দেশত্যাগ করে। | |||
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবর্তিত বাস্তবতায় তেল/গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৮ সালে পেট্রোবাংলা একটি নতুন মডেল পিএসসি প্রণয়ন করে এবং দেশের সীমানার অধীন এলাকাকে (স্থলভাগ ও সমুদ্রসীমার অংশ) ২৩টি ব্লকে ভাগ করে। সরকারের পরিবর্তিত নীতিমালা এবং তেল গ্যাস অনুসন্ধানে নতুন প্রনোদনা সহ ১৯৯৩ সালে উক্ত মডেল পিএসসির আরও কিছু পরিবর্তন আনা হয়। আন্তর্জাতিক প্রস্তাব আহ্বানের ধারাবাহিকতায় ১৯৯৪ সালের মে মাসে ব্রিটিশ-ডাচ যৌথ উদ্যোগের কোম্পানি -’কেয়ার্ন এনার্জি ও হল্যান্ড সি সার্চ’ এর সাথে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ােিত পেট্রোবাংলা ১৬ নম্বর ব্লকে, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান এবং উত্তোলনের জন্য পিএসসি স্বাক্ষর করে। পরবর্তী বছরের জুন মাসে একই যৌথ উদ্যোগের কোম্পানির সাথে ১৫ নম্বর ব্লকের জন্য আরও একটি পিএসসি স্বাক্ষরিত হয়। এই ব্লক দুটি অংশিক স্থলভাগ এবং সন্নিহিত সমুদ্র এলাকা নিয়ে গঠিত। কেয়ার্ন এনার্জি ১৯৯৬ সালে, ১৬ নম্বর ব্লকে সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে, যা ২০১৩ সাল অবধি গ্যাস উৎপাদন অব্যাহত রাখে। ১৯৯৫ সালে, সিলেট অঞ্চলের ১২, ১৩ এবং ১৪ নম্বর ব্লকের (সুরমা বেসিন) জন্য ‘অক্সিডেন্টাল’ পেট্রোবাংলার সাথে পিএসসি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগের কোম্পানি রেক্সউড-অকল্যান্ড পেট্রোবাংলার সাথে কক্সবাজার-টেকনাফ অঞ্চলের প্রায় ৮০% সমুদ্রে বিস্তৃত এলাকার ১৭ ও ১৮ নম্বর ব্লকের জন্য পিএসসি স্বাক্ষর করে। পরবর্তিতে রেক্সউড অকল্যান্ডের সাথে একীভূত হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের অপর একটি কোম্পানি ‘ইউনাইটেড মেরিডিয়ান কর্পোরেশন’ (ইউএমসি) পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল নিয়ে গঠিত ২২ নম্বর ব্লকে তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য ১৯৮৬ সালে পেট্রোবাংলার সাথে পিএসসি স্বাক্ষর করে। সম্পাদিত পিএসসিসমূহের আওতায় অক্সিডেন্টাল-ইউনোকল সুরমা বেসিনে ১৯৯৫ সালে বিবিয়ানা ও মৌলভিবাজার গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে। | |||
১৯৯৭ সালের পরিমার্জিত মডেল পিএসসি অনুযায়ী একই বছরের এপ্রিল মাসে দেশের অবশিষ্ট ১৫টি মুক্ত (স্থলভাগে এবং সমুদ্রবক্ষে) ব্লকে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিসমূহের কাছ থেকে দ্বিতীয় দফা দরপত্র আহ্বান করা হয়। দ্বিতীয় দফা দরপত্রের প্রেক্ষিতে তাল্লো (নাইকো রিসোর্সেস ও শেভরন-টেক্সাকোর সাথে যৌথভাবে) অয়েল কোম্পানির ৯ নম্বর ব্লক, ইউনোকল এর সাথে ৭ নম্বর ব্লক এবং শেলওয়েল এর সাথে ৫ ও ১০ নম্বর ব্লকের জন্য পিএসসি স্বাক্ষরিত হয়। এ পর্যায়ের প্রতিটি স্বাক্ষরিত পিএসসিতে বাপেক্স এর জন্য ১০% ‘ক্যারিড ওভার ্ইন্টারেস্ট’ এর বিধান কার্যকর করা হয়। ৯ নম্বর ব্লকে তাল্লো অয়েল কোম্পানি ‘বাঙ্গুরা’ গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে। ইতিপূর্বে অক্সিডেন্টাল এর সাথে ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর ব্লকের জন্য স্বাক্ষরিত পিএসসি ১৯৯৯ সালে ইউনোকল এবং ২০০৫ সালে শেভরন এর নিকট হস্তান্তর করা হয়। ২০০৩ সালে শেভরন ও টেক্সাকো নাইকো রিসোর্স এর কাছে ৯ নম্বর ব্লকের পিএসসির শেয়ার হস্তাস্তর করে, তবে অপারেটর হিসেবে তাল্লো বহাল থাকে। ১৯৯৩ এবং ১৯৯৭ সালের মডেল পিএসসি অনুযায়ী, পিএসসির অধীনে উৎপাদিত গ্যাস পেট্রোবাংলার কিনে নেবার ‘প্রথম অধিকার’ সংরক্ষিত রয়েছে। পেট্রোবাংলা উৎপাদিত গ্যাস কিনতে অসম্মত হলে, পিএসসি ঠিকাদার আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি দেশের ভেতরে আগ্রহী ক্রেতার নিকট তা বিক্রির সুযোগ পাবে। দ্বিতীয় উপায় অকার্যকর হলে ঠিকাদার তার অংশের উৎপাদিত গ্যাস এলএনজিতে রূপান্তরিত করে রপ্তানি করতে পারে। পিএসসির অধীনে উৎপাদিত আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানির অংশের গ্যাস পেট্রোবাংলা এখন পর্যন্ত কেনা অব্যহত রাখায় গ্যাস রপ্তানি এখনও অপ্রাসঙ্গিক। | |||
দেশের সমুদ্রবক্ষে গ্যাস আবিষ্কারের সাফল্য এখনও সীমিত। এ পটভূমিতে দেশের সমুদ্রসীমায় তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০০৮ সালে অগভীর ও গভীর সমুদ্র এলাকায় তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের দরপত্র আহ্বানের লক্ষ্যে মডেল পিএসসি প্রস্তুত করা হয়। এই মডেল পিএসসিতে অন্যান্যের মধ্যে ঠিকাদারের বাধ্যতামূলক কর্মপরিকল্পনা পেশ এবং ব্যয় উসুলের জন্য, বছরে উৎপাদিত তেল/গ্যাসের সর্বোচ্চ ৫৫% ব্যবহারের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদিত অবশিষ্ট (লভ্যাংশ) গ্যাসের (প্রতিদিন ৭৫-৬০০ বা তার বেশি মিলিয়ন ঘনফুট হিসেবে নিয়ে) ৫৫-৮০% পেট্রোবাংলা এবং ঠিকাদারের মধ্যে ভাগাভাগি করার বিষয়টি নিলামে নির্ধারণ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। গভীর সমুদ্রের ব্লক এর ক্ষেত্রে উৎপাদিত গ্যাসের লভ্যাংশ বণ্টনের নিলামযোগ্য পরিমান ৫০-৭৫%। পূর্ববর্তী মডেল পিএসসিতে এ সংক্রান্ত শর্তাবলী সম্পূর্ণটুকু নিলামে নির্ধারণের বিষয় ছিল। এ পর্যায়ে পিএসসিতে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য, বাংলাদেশ আরবিট্রেশন অ্যাক্ট, ২০০১ এবং জাতিসংঘ কমিশনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তি আইন ‘UNCITRAL rules’ প্রয়োগের বিধান রাখা হয়েছে। ২০০৮ সালের দরপত্রে ৭টি আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি (চীনের সিএনওওসি, লংউডস লি., তাল্লো বাংলাদেশ, কমট্রাক সারভিসেস, কোরিয়া ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি, কনকোফিলিপস এবং স্যান্তোস ইন্টারন্যাশনাল) অংশ নেয়। ২০১১ সালে পেট্রোবাংলা ‘কনকোফিলিপস’ এর সাথে গভীর সমুদ্রের ব্লক ডিএস-১০ ও ডিএস-১১ এর জন্য পিএসসি স্বাক্ষর করে। কোম্পানিটি ২০১২ ও ২০১৩ সালে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং পরবর্তীতে ব্লক দুটি পরিত্যাগ করে। | |||
২০১২ সালে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির পর পেট্রোবাংলা গভীর সমুদ্রের ব্লকসমূহের আকৃতি পূনর্বিন্যাস এবং পিএসসি মডেলে পরিমার্জন করার পর, তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। ২০১২ সালের ঘোষিত দরপত্রের ফলাফল হিসেবে পেট্রোবাংলা অগভীর সমুদ্রের তিনটি ব্লকে’র (এসএস-০৪, এসএস-০৯ এবং এসএস-১১) জন্য, যথাক্রমে- ওএনজিসি ভিদেশ লি., ওয়েল ইন্ডিয়া লি. এবং স্যান্তোস-ক্রিসএনার্জি এর সাথে পিএসসি স্বাক্ষর করে। ২০১৭ সালে গভীর সমুদ্রের ব্লক ডিএস-১২ এর জন্য ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ এর অধীনে পসকো-দাইয়ু কর্পোরেশন এর সাথে পিএসসি স¦াক্ষর করে। | |||
এসময়ে সমুদ্রতলের ভূগঠন সম্পর্কে জানতে, সেখানে তেল-গ্যাস সম্পদ প্রাপ্তির সম্ভাবনা যাচাই এবং দেশে তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উন্নয়নে আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিসমূহকে আগ্রহী করতে পেট্রোবাংলা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার উন্মুক্ত এলাকায় জরিপ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। দেশের সমুদ্র এলাকায় ৩২,০০০ লাইন কিলোমিটার ‘দ্বিমাত্রিক নন-এক্সক্লুসিভ মাল্টি-ক্লায়েন্ট সাইসমিক সার্ভে’ পরিচালনার জন্য ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পেট্রোবাংলা এবং ‘টিজিএস-স্লামবার্জার-জেভি’ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ২০২৯ সালে সমুদ্র এলাকা এবং স্থলভাগের ব্লকসমূহের জন্য পৃথক মডেল পিএসসি প্রণয়ন করা হয়েছে। নতুন পিএসসি মডেলে প্রতিবেশী দেশের সাথে মিল রেখে তেল/গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নিকট ভবিষ্যতে সরকার নতুন পিএসসি মডেলের ভিত্তিতে দেশে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করার পরিকল্পনা নিয়েছে। [মো. মুশফিকুর রহমান] | |||
'''গ্রন্থপঞ্জি''' Petrobangla 2020, Petrobangla Annual Report 2019. | |||
''' | |||
[[en:Production Sharing Contract]] | [[en:Production Sharing Contract]] |
১৭:৩৮, ১৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
উৎপাদন বন্টন চুক্তি (পিএসসি) পেট্রোলিয়াম অনুসন্ধান ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বিদেশী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি বিশেষ চুক্তি। এই চুক্তির অধীনে আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি নিজ বিনিয়োগে ‘পিএসসি’র অধীন এলাকায় (ব্লক) অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে। পেট্রোলিয়াম অনুসন্ধান, উন্নয়ন, প্রক্রিয়াকরণ এবং বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা ও একই উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি সম্পাদনের দায়িত্ব এবং ক্ষমতা পেট্রোবাংলার উপর অর্পিত থাকায় সরকারের পক্ষে ঠিকাদার কোম্পানির সাথে পেট্রোবাংলা পিএসসি চুক্তি স্বাক্ষর করে। আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি যদি পিএসসি চুক্তির অধীনে লাভজনক কোনো তেল/গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার করতে সমর্থ হয় তাহলে সে তার অনুসন্ধান ব্যয় উসুল এবং পেট্রোবাংলার সাথে চুক্তি অনুযায়ী উৎপাদিত তেল/গ্যাসের লভ্যাংশ ভাগাভাগি করবার সুযোগ পায়। পিএসসি চুক্তিতে অনুসন্ধান ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে পেট্রোবাংলার কোনো দায় নেই এবং পিএসসি ব্লকে আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি অনুসন্ধান তৎপরতায় অসফল হলে বিনিয়োগ/ক্ষতির দায়ভার তাকে সম্পূর্ণভাবে বহন করতে হয়।
বিশে^র অন্যান্য দেশের উৎসাহ ব্যাঞ্জক অভিজ্ঞতার আলোকে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের অগভীর সমুদ্রসীমায় নির্ধারিত শর্তের অধীনে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান ও উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিসমূহকে বাংলাদেশ সরকার প্রথম আমন্ত্রন জানায়। যে ক’টি কোম্পানির সাথে ১৯৭৪ সালে সরকারের পিএসসি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তারা হলো: যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক রিচফিল্ড, ইউনিয়ন অয়েল অব ক্যালিফোর্নিয়া (পরবর্তিতে ইউনোকল নাম ধারণ করে), অ্যাশল্যান্ড অয়েল অব ইউএসএ, সুপিরিয়র অয়েল কোম্পানি অব কানাডা, ইনা নাপথোলিন অব ইউগোস্লাভিয়া এবং বিওডিএস অব জাপান। ইউনোকল ১৯৭৭ সালে কুতুবদিয়ায় গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে কিন্তু কোম্পানির নিজ আর্থিক বিবেচনায় সেখান থেকে গ্যাস উত্তোলনে তৎপর হয়নি। অন্য কোনো তেল বা গ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কৃত না হওয়ায় পিএসসিসমূহ ১৯৭৮ সালে পরিত্যাগ করা হয়। ১৯৮১ সালে শেল অয়েল কোম্পানি পেট্রোবাংলার সাথে ভূভাগের ২৩ নম্বর ব্লক (দেশের উত্তর পশ্চিম অংশে) এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের (পরবর্তিতে ২২ ও ২৩ নম্বর ব্লক) জন্য ৩টি পিএসসি স্বাক্ষর করে কিন্তু চুক্তির অধীনে কোনো তেল বা গ্যাস আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়নি। ১৯৯১ সালে শেল অয়েল পিএসসির অধীন ব্লকসমূহ পরিত্যাগ করে।
১৯৮৬ সালে পেট্রোবাংলা সিলেটের হরিপুরে বাংলাদেশের প্রথম তেলক্ষেত্র আবিষ্কার করে। এ খবর বাংলাদেশে তরল হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধান ও উত্তোলনে আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করে। ১৯৮৭ সালে ‘সিমিটার এক্সপ্লোরেশন কোম্পানি’ ১৩ নম্বর ব্লকে (সিলেটের নিকটবর্তী ১৩ নম্বর ব্লকে হরিপুরের অবস্থান) তরল হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধান এবং উত্তোলনের জন্য সরকারের সাথে পিএসসি স্বাক্ষর করে। ১৯৮৯ সালে সিমিটার জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করলেও কোনো তেলক্ষেত্র আবিষ্কার করতে না পারায় ১৯৯১ সালে দেশত্যাগ করে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবর্তিত বাস্তবতায় তেল/গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৮ সালে পেট্রোবাংলা একটি নতুন মডেল পিএসসি প্রণয়ন করে এবং দেশের সীমানার অধীন এলাকাকে (স্থলভাগ ও সমুদ্রসীমার অংশ) ২৩টি ব্লকে ভাগ করে। সরকারের পরিবর্তিত নীতিমালা এবং তেল গ্যাস অনুসন্ধানে নতুন প্রনোদনা সহ ১৯৯৩ সালে উক্ত মডেল পিএসসির আরও কিছু পরিবর্তন আনা হয়। আন্তর্জাতিক প্রস্তাব আহ্বানের ধারাবাহিকতায় ১৯৯৪ সালের মে মাসে ব্রিটিশ-ডাচ যৌথ উদ্যোগের কোম্পানি -’কেয়ার্ন এনার্জি ও হল্যান্ড সি সার্চ’ এর সাথে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ােিত পেট্রোবাংলা ১৬ নম্বর ব্লকে, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান এবং উত্তোলনের জন্য পিএসসি স্বাক্ষর করে। পরবর্তী বছরের জুন মাসে একই যৌথ উদ্যোগের কোম্পানির সাথে ১৫ নম্বর ব্লকের জন্য আরও একটি পিএসসি স্বাক্ষরিত হয়। এই ব্লক দুটি অংশিক স্থলভাগ এবং সন্নিহিত সমুদ্র এলাকা নিয়ে গঠিত। কেয়ার্ন এনার্জি ১৯৯৬ সালে, ১৬ নম্বর ব্লকে সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে, যা ২০১৩ সাল অবধি গ্যাস উৎপাদন অব্যাহত রাখে। ১৯৯৫ সালে, সিলেট অঞ্চলের ১২, ১৩ এবং ১৪ নম্বর ব্লকের (সুরমা বেসিন) জন্য ‘অক্সিডেন্টাল’ পেট্রোবাংলার সাথে পিএসসি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগের কোম্পানি রেক্সউড-অকল্যান্ড পেট্রোবাংলার সাথে কক্সবাজার-টেকনাফ অঞ্চলের প্রায় ৮০% সমুদ্রে বিস্তৃত এলাকার ১৭ ও ১৮ নম্বর ব্লকের জন্য পিএসসি স্বাক্ষর করে। পরবর্তিতে রেক্সউড অকল্যান্ডের সাথে একীভূত হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের অপর একটি কোম্পানি ‘ইউনাইটেড মেরিডিয়ান কর্পোরেশন’ (ইউএমসি) পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল নিয়ে গঠিত ২২ নম্বর ব্লকে তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য ১৯৮৬ সালে পেট্রোবাংলার সাথে পিএসসি স্বাক্ষর করে। সম্পাদিত পিএসসিসমূহের আওতায় অক্সিডেন্টাল-ইউনোকল সুরমা বেসিনে ১৯৯৫ সালে বিবিয়ানা ও মৌলভিবাজার গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে।
১৯৯৭ সালের পরিমার্জিত মডেল পিএসসি অনুযায়ী একই বছরের এপ্রিল মাসে দেশের অবশিষ্ট ১৫টি মুক্ত (স্থলভাগে এবং সমুদ্রবক্ষে) ব্লকে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিসমূহের কাছ থেকে দ্বিতীয় দফা দরপত্র আহ্বান করা হয়। দ্বিতীয় দফা দরপত্রের প্রেক্ষিতে তাল্লো (নাইকো রিসোর্সেস ও শেভরন-টেক্সাকোর সাথে যৌথভাবে) অয়েল কোম্পানির ৯ নম্বর ব্লক, ইউনোকল এর সাথে ৭ নম্বর ব্লক এবং শেলওয়েল এর সাথে ৫ ও ১০ নম্বর ব্লকের জন্য পিএসসি স্বাক্ষরিত হয়। এ পর্যায়ের প্রতিটি স্বাক্ষরিত পিএসসিতে বাপেক্স এর জন্য ১০% ‘ক্যারিড ওভার ্ইন্টারেস্ট’ এর বিধান কার্যকর করা হয়। ৯ নম্বর ব্লকে তাল্লো অয়েল কোম্পানি ‘বাঙ্গুরা’ গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে। ইতিপূর্বে অক্সিডেন্টাল এর সাথে ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর ব্লকের জন্য স্বাক্ষরিত পিএসসি ১৯৯৯ সালে ইউনোকল এবং ২০০৫ সালে শেভরন এর নিকট হস্তান্তর করা হয়। ২০০৩ সালে শেভরন ও টেক্সাকো নাইকো রিসোর্স এর কাছে ৯ নম্বর ব্লকের পিএসসির শেয়ার হস্তাস্তর করে, তবে অপারেটর হিসেবে তাল্লো বহাল থাকে। ১৯৯৩ এবং ১৯৯৭ সালের মডেল পিএসসি অনুযায়ী, পিএসসির অধীনে উৎপাদিত গ্যাস পেট্রোবাংলার কিনে নেবার ‘প্রথম অধিকার’ সংরক্ষিত রয়েছে। পেট্রোবাংলা উৎপাদিত গ্যাস কিনতে অসম্মত হলে, পিএসসি ঠিকাদার আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি দেশের ভেতরে আগ্রহী ক্রেতার নিকট তা বিক্রির সুযোগ পাবে। দ্বিতীয় উপায় অকার্যকর হলে ঠিকাদার তার অংশের উৎপাদিত গ্যাস এলএনজিতে রূপান্তরিত করে রপ্তানি করতে পারে। পিএসসির অধীনে উৎপাদিত আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানির অংশের গ্যাস পেট্রোবাংলা এখন পর্যন্ত কেনা অব্যহত রাখায় গ্যাস রপ্তানি এখনও অপ্রাসঙ্গিক।
দেশের সমুদ্রবক্ষে গ্যাস আবিষ্কারের সাফল্য এখনও সীমিত। এ পটভূমিতে দেশের সমুদ্রসীমায় তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০০৮ সালে অগভীর ও গভীর সমুদ্র এলাকায় তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের দরপত্র আহ্বানের লক্ষ্যে মডেল পিএসসি প্রস্তুত করা হয়। এই মডেল পিএসসিতে অন্যান্যের মধ্যে ঠিকাদারের বাধ্যতামূলক কর্মপরিকল্পনা পেশ এবং ব্যয় উসুলের জন্য, বছরে উৎপাদিত তেল/গ্যাসের সর্বোচ্চ ৫৫% ব্যবহারের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদিত অবশিষ্ট (লভ্যাংশ) গ্যাসের (প্রতিদিন ৭৫-৬০০ বা তার বেশি মিলিয়ন ঘনফুট হিসেবে নিয়ে) ৫৫-৮০% পেট্রোবাংলা এবং ঠিকাদারের মধ্যে ভাগাভাগি করার বিষয়টি নিলামে নির্ধারণ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। গভীর সমুদ্রের ব্লক এর ক্ষেত্রে উৎপাদিত গ্যাসের লভ্যাংশ বণ্টনের নিলামযোগ্য পরিমান ৫০-৭৫%। পূর্ববর্তী মডেল পিএসসিতে এ সংক্রান্ত শর্তাবলী সম্পূর্ণটুকু নিলামে নির্ধারণের বিষয় ছিল। এ পর্যায়ে পিএসসিতে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য, বাংলাদেশ আরবিট্রেশন অ্যাক্ট, ২০০১ এবং জাতিসংঘ কমিশনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তি আইন ‘UNCITRAL rules’ প্রয়োগের বিধান রাখা হয়েছে। ২০০৮ সালের দরপত্রে ৭টি আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি (চীনের সিএনওওসি, লংউডস লি., তাল্লো বাংলাদেশ, কমট্রাক সারভিসেস, কোরিয়া ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি, কনকোফিলিপস এবং স্যান্তোস ইন্টারন্যাশনাল) অংশ নেয়। ২০১১ সালে পেট্রোবাংলা ‘কনকোফিলিপস’ এর সাথে গভীর সমুদ্রের ব্লক ডিএস-১০ ও ডিএস-১১ এর জন্য পিএসসি স্বাক্ষর করে। কোম্পানিটি ২০১২ ও ২০১৩ সালে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং পরবর্তীতে ব্লক দুটি পরিত্যাগ করে।
২০১২ সালে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির পর পেট্রোবাংলা গভীর সমুদ্রের ব্লকসমূহের আকৃতি পূনর্বিন্যাস এবং পিএসসি মডেলে পরিমার্জন করার পর, তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। ২০১২ সালের ঘোষিত দরপত্রের ফলাফল হিসেবে পেট্রোবাংলা অগভীর সমুদ্রের তিনটি ব্লকে’র (এসএস-০৪, এসএস-০৯ এবং এসএস-১১) জন্য, যথাক্রমে- ওএনজিসি ভিদেশ লি., ওয়েল ইন্ডিয়া লি. এবং স্যান্তোস-ক্রিসএনার্জি এর সাথে পিএসসি স্বাক্ষর করে। ২০১৭ সালে গভীর সমুদ্রের ব্লক ডিএস-১২ এর জন্য ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ এর অধীনে পসকো-দাইয়ু কর্পোরেশন এর সাথে পিএসসি স¦াক্ষর করে।
এসময়ে সমুদ্রতলের ভূগঠন সম্পর্কে জানতে, সেখানে তেল-গ্যাস সম্পদ প্রাপ্তির সম্ভাবনা যাচাই এবং দেশে তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উন্নয়নে আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিসমূহকে আগ্রহী করতে পেট্রোবাংলা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার উন্মুক্ত এলাকায় জরিপ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। দেশের সমুদ্র এলাকায় ৩২,০০০ লাইন কিলোমিটার ‘দ্বিমাত্রিক নন-এক্সক্লুসিভ মাল্টি-ক্লায়েন্ট সাইসমিক সার্ভে’ পরিচালনার জন্য ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পেট্রোবাংলা এবং ‘টিজিএস-স্লামবার্জার-জেভি’ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ২০২৯ সালে সমুদ্র এলাকা এবং স্থলভাগের ব্লকসমূহের জন্য পৃথক মডেল পিএসসি প্রণয়ন করা হয়েছে। নতুন পিএসসি মডেলে প্রতিবেশী দেশের সাথে মিল রেখে তেল/গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নিকট ভবিষ্যতে সরকার নতুন পিএসসি মডেলের ভিত্তিতে দেশে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করার পরিকল্পনা নিয়েছে। [মো. মুশফিকুর রহমান]
গ্রন্থপঞ্জি Petrobangla 2020, Petrobangla Annual Report 2019.