বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ৪টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়''' (বাউবি)  বাংলাদেশের একমাত্র দূরশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯২ সালের অক্টোবরে, জাতীয় সংসদে পাস হওয়া একটি আইনের মাধ্যমে বাউবি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত হয়। বাউবি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও বাংলাদেশে দূরশিক্ষার ইতিহাস প্রায় ৫০ বছর আগের। ১৯৫৬ সালে তৎকালীন পাবলিক ইন্সট্রাকশন ডিরেক্টর ইতোমধ্যেই দূরশিক্ষার তাৎপর্য বুঝতে পেরেছিলেন এবং ১৯৫৭ সালে শিক্ষা সংস্কার কমিশন সুপারিশ করেছিল যে নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত না হয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে একটি দূরশিক্ষণ স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
'''বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়''' (বাউবি)  বাংলাদেশের একমাত্র দূরশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯২ সালের অক্টোবরে, জাতীয় সংসদে পাস হওয়া একটি আইনের মাধ্যমে বাউবি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত হয়। বাউবি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও বাংলাদেশে দূরশিক্ষার ইতিহাস প্রায় ৫০ বছর আগের। ১৯৫৬ সালে তৎকালীন পাবলিক ইন্সট্রাকশন ডিরেক্টর ইতোমধ্যেই দূরশিক্ষার তাৎপর্য বুঝতে পেরেছিলেন এবং ১৯৫৭ সালে শিক্ষা সংস্কার কমিশন সুপারিশ করেছিল যে নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত না হয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে একটি দূরশিক্ষণ স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে হবে।


[[Image:BangladeshOpenUniversity2.jpg|right|thumbnail|600px|বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়]]
২০২১ সালে বাউবি ৩০০টিরও বেশি কোর্সের জন্য ৬০টি আনুষ্ঠানিক এবং ১৯টি অনানুষ্ঠানিক প্রোগ্রাম চালু করেছে। আরো অনেক কোর্স চালু করা হচ্ছে। কার্যকরভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ছয়টি স্কুল/অনুষদ এবং ১২টি আঞ্চলিক শিক্ষা কেন্দ্র (একাডেমিক বিভাগ) স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ৮০টি স্থানীয় কেন্দ্র এবং ১৫৫০টি অধ্যয়ন কেন্দ্র স্থাপন করে এর শিক্ষামূলক কার্যক্রমকে শক্তিশালী করা হয়েছে। ২০২০ সালে বাউবি-র সমস্ত আনুষ্ঠানিক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯,৬৫,৮৩৮। ঢাকার কাছে গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল দলে ১৩৭ জন শিক্ষক এবং ৫০০ জনেরও বেশি সহায়ক কর্মী রয়েছে। যদিও শ্রেণীকক্ষে শিক্ষাদান দূরশিক্ষার পরিধির মধ্যে আসে না, বাউবি ১,০০০টিরও বেশি কেন্দ্রে শিক্ষাদানের একটি টিউটোরিয়াল পদ্ধতি চালু করেছে যেখানে শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নে সহায়তা করা হয়। নির্দিষ্ট কারিকুলামসহ প্রণীত অনানুষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হচ্ছে রেডিও এবং টিভি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা।  [কাজী মো. জামশেদ]
২০২১ সালে বাউবি ৩০০টিরও বেশি কোর্সের জন্য ৬০টি আনুষ্ঠানিক এবং ১৯টি অনানুষ্ঠানিক প্রোগ্রাম চালু করেছে। আরো অনেক কোর্স চালু করা হচ্ছে। কার্যকরভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ছয়টি স্কুল/অনুষদ এবং ১২টি আঞ্চলিক শিক্ষা কেন্দ্র (একাডেমিক বিভাগ) স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ৮০টি স্থানীয় কেন্দ্র এবং ১৫৫০টি অধ্যয়ন কেন্দ্র স্থাপন করে এর শিক্ষামূলক কার্যক্রমকে শক্তিশালী করা হয়েছে। ২০২০ সালে বাউবি-র সমস্ত আনুষ্ঠানিক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯,৬৫,৮৩৮। ঢাকার কাছে গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল দলে ১৩৭ জন শিক্ষক এবং ৫০০ জনেরও বেশি সহায়ক কর্মী রয়েছে। যদিও শ্রেণীকক্ষে শিক্ষাদান দূরশিক্ষার পরিধির মধ্যে আসে না, বাউবি ১,০০০টিরও বেশি কেন্দ্রে শিক্ষাদানের একটি টিউটোরিয়াল পদ্ধতি চালু করেছে যেখানে শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নে সহায়তা করা হয়। নির্দিষ্ট কারিকুলামসহ প্রণীত অনানুষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হচ্ছে রেডিও এবং টিভি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা।  [কাজী মো. জামশেদ]


'''তথ্যসূত্র'''  বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ২০২২। যঃঃঢ়ং://নড়ঁ.ধপ.নফ/ থেকে সংগৃহীত।
'''তথ্যসূত্র'''  বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।


 
''আরও দেখুন'' [[দূরশিক্ষণ|দূরশিক্ষণ]]।
''আরও দেখুন''' [[দূরশিক্ষণ|দূরশিক্ষণ]]।


[[en:Bangladesh Open University]]
[[en:Bangladesh Open University]]

০৯:২৯, ২৬ মে ২০২৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) বাংলাদেশের একমাত্র দূরশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯২ সালের অক্টোবরে, জাতীয় সংসদে পাস হওয়া একটি আইনের মাধ্যমে বাউবি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত হয়। বাউবি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও বাংলাদেশে দূরশিক্ষার ইতিহাস প্রায় ৫০ বছর আগের। ১৯৫৬ সালে তৎকালীন পাবলিক ইন্সট্রাকশন ডিরেক্টর ইতোমধ্যেই দূরশিক্ষার তাৎপর্য বুঝতে পেরেছিলেন এবং ১৯৫৭ সালে শিক্ষা সংস্কার কমিশন সুপারিশ করেছিল যে নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত না হয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে একটি দূরশিক্ষণ স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

২০২১ সালে বাউবি ৩০০টিরও বেশি কোর্সের জন্য ৬০টি আনুষ্ঠানিক এবং ১৯টি অনানুষ্ঠানিক প্রোগ্রাম চালু করেছে। আরো অনেক কোর্স চালু করা হচ্ছে। কার্যকরভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ছয়টি স্কুল/অনুষদ এবং ১২টি আঞ্চলিক শিক্ষা কেন্দ্র (একাডেমিক বিভাগ) স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ৮০টি স্থানীয় কেন্দ্র এবং ১৫৫০টি অধ্যয়ন কেন্দ্র স্থাপন করে এর শিক্ষামূলক কার্যক্রমকে শক্তিশালী করা হয়েছে। ২০২০ সালে বাউবি-র সমস্ত আনুষ্ঠানিক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯,৬৫,৮৩৮। ঢাকার কাছে গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল দলে ১৩৭ জন শিক্ষক এবং ৫০০ জনেরও বেশি সহায়ক কর্মী রয়েছে। যদিও শ্রেণীকক্ষে শিক্ষাদান দূরশিক্ষার পরিধির মধ্যে আসে না, বাউবি ১,০০০টিরও বেশি কেন্দ্রে শিক্ষাদানের একটি টিউটোরিয়াল পদ্ধতি চালু করেছে যেখানে শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নে সহায়তা করা হয়। নির্দিষ্ট কারিকুলামসহ প্রণীত অনানুষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হচ্ছে রেডিও এবং টিভি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা। [কাজী মো. জামশেদ]

তথ্যসূত্র বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।

আরও দেখুন দূরশিক্ষণ