কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়''' | '''কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়''' অনিন্দ্য সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের আধার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৯.৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়নের লালমাই মৌজার সালমানপুর ও রাজারখোলা এলাকায় অবস্থিত। যার অনতিদূরেই রয়েছে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক। ২০০৬ সালের ২৮ মে দেশের ২৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যাত্রা শুরু করা লাল পাহাড়ি টিলার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রায় ২৫০ একর পর্যন্ত বিস্তৃত। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম মাওলা ২০০৬ সালের ২৬ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই ২০০৮ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। | ||
[[Image:ComillaUniversityAdminBuilding.jpg|right|thumbnail|300px|কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ (প্রশাসনিক ভবন)]] | |||
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানামুখী কার্যক্রমে দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠ জ্ঞানচর্চার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে রয়েছে শালবন বিহার, ইটাখোলা মুড়া, ময়নামতি জাদুঘর, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড), কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ, মৃৎশিল্প পল্লীর মতো বেশ কিছু ঐতিহ্যবাহী, শিক্ষামূলক ও প্রত্নগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা প্রতিষ্ঠা। এই বিষয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের পারিপার্শ্বিক পরিবেশকেও সমৃদ্ধ করেছে। | |||
ঐতিহাসিক পটভূমি বয়স মাত্র ১৬ হলেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক পটভূমি প্রায় হাজার বছর পূর্বে রচিত। প্রায় ৫০০ মাইল বিস্তৃত প্রাচীনকালের সমৃদ্ধ জনপদ 'সমতট' রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র লালমাই-ময়নামতি এলাকায় খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে চন্দ্রবংশীয় রাজা ভবদেব শালবন বিহার বা আনন্দ বিহার প্রতিষ্ঠা করেন। এশিয়ার জ্ঞানচর্চার অন্যতম পাদপীঠ এই বিহারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদায় অভিহিত করেন তৎকালীন পন্ডিতগণ। জ্ঞান অন্বেষণের জন্য পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে এখানে মানুষের আগমন ঘটতো। বিখ্যাত চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে শালবন বিহারে এসে চার হাজার ভিক্ষু (শিক্ষার্থী), ময়নামতি অঞ্চলে ৩৫টি বিহার বা শিক্ষাকেন্দ্র দেখেছেন বলে তাঁর গ্রন্থে উল্লেখ করেন। সমতটবাসীকে (বর্তমান কুমিল্লা) তিনি শিক্ষানুরাগী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ষাটের দশকে কুমিল্লা অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন জোরদার হয়। ঐতিহাসিক পটভূমি ও উন্নত যোগাযোগব্যবস্থার কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে কুমিল্লা জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জোর দাবি ওঠে। এই দাবির প্রেক্ষিতে তৎকালীন সরকার ১৯৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের তৃতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি নিয়েছিলো। কিন্তু প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের অনুপস্থিতিতে ১৯৬৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মন্ত্রীসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে পাকিস্তানের স্পিকার ফজলুল কাদের চৌধুরী কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এ.টি.এম মোস্তফাকে সেই বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ১৯৬৪ সালের ১৭-১৯ জুলাই অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ফজলুল কাদের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ইসলামাবাদে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের সভায় ‘স্থান নির্বাচন কমিশন’-এর সুপারিশের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ফতেপূর ইউনিয়নে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর থেকে কুমিল্লায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার হয়। ১৯৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের পরও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেয়া হয়, কিন্তু ২০০৬ সালের পূর্বে তা আলোর মুখ দেখেনি। | |||
[[Image:ComillaUniversityBangabandhuMemorial.jpg|left|thumbnail|200px|বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য, কুমিল্ল বিশ্ববিদ্যালয়]] | |||
২০০৪ সালের ১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০০৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। একই বছরের ৮ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০০৭ সালের ২৮ মে প্রথম ব্যাচে ৭টি বিভাগে ৩০০ শিক্ষার্থী ও ১৫ জন শিক্ষক দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। | |||
বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি অনুষদে ১৯টি বিভাগে ৭,০৫৫ জন শিক্ষার্থী ও ২৫২ জন শিক্ষক, ৯৪জন কর্মকর্তা ও ১৭৯ জন কর্মচারি রয়েছেন। এর বাইরে ‘উইকেন্ড কোর্সে’ বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীও রয়েছেন। | |||
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের অধীনে 'কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং' (সিএসই) এবং ‘ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগ’ (আইসিটি), বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, পরিসংখ্যান এবং ফার্মেসী বিভাগ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম, মার্কেটিং এবং 'ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং' বিভাগ, কলা ও মানবিক অনুষদের অধীনে ইংরেজি এবং বাংলা বিভাগ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে অর্থনীতি, লোক প্রশাসন, নৃবিজ্ঞান, 'গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা' এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এবং আইন অনুষদের অধীনে আইন বিভাগ রয়েছে। | |||
[[Image:ComillaUniversityScienceFaulty.jpg|right|thumbnail|200px|বিজ্ঞান অনুষদ]] | |||
গবেষণার জন্য আলাদা সেল এবং প্রাতিষ্ঠানিক মানোন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ‘ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল’ বা আই-কিউএসি'র কার্যক্রম রয়েছে। বিভিন্ন বিভাগ থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে জার্নাল ও সাহিত্য পত্রিকা। সাম্প্রতিক সময়ে রোবটটিকসেও সাফল্য দেখিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। | |||
বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বিভিন্ন শাস্ত্রের বই, জার্নাল এবং অডিওভিজুয়ালের বৈচিত্র্যময় সংগ্রহের পাশাপাশি রয়েছে আলাদা কম্পিউটার জোন ও ই-লাইব্রেরি। | |||
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য আছে একটি মেডিকেল সেন্টার৷ জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য রয়েছে এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা। কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালে টেলিমেডিসিন সেবাও চালু করেছিলো এই মেডিকেল সেন্টার। | |||
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বর্তমানে ৫টি আবাসিক হল রয়েছে। ছাত্রদের জন্য ৩টি এবং ছাত্রীদের জন্য রয়েছে ২টি হল। এছাড়াও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে ডরমেটরি। | |||
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে শিক্ষার্থীদের জন্য ৮টি, শিক্ষকদের জন্য ২টি, কর্মকর্তাদের জন্য ১টি, কর্মচারিদের জন্য ১টি নিজস্ব বাস রয়েছে৷ নিজস্ব যানবাহনের পাশাপাশি বিআরটিসি থেকে ভাড়ায় নেয়া ১২টি বাস শিক্ষার্থী পরিবহনে কাজ করছে। | |||
খেলাধুলা ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সবসময়ই প্রশংসা কুড়িয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। পড়াশোনার ফাঁকে এসকল কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রশান্তিতে অবদান রাখছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়েও নিজেদের কর্মকান্ডের স্বাক্ষর রেখে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। | |||
[[Image:ComillaUniversityTheatre.jpg|left|thumbnail|200px|থিয়েটার কার্যক্রম]] | |||
বছরের বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যোৎসব, নবান্ন উৎসব, কালচারাল ফেস্ট, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কনসার্টসহ নানামুখী কর্মতৎপরতা চোখে পড়ে। এখানে রয়েছে নাট্যসংগঠন থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, সাংস্কৃতিক সংগঠন 'প্রতিবর্তন’, আবৃত্তি বিষয়ক সংগঠন ‘অনুপ্রাস কণ্ঠচর্চা কেন্দ্র’, ব্যান্ডদল ‘প্ল্যাটফর্ম’, পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন 'অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়', বিতর্ক বিষয়ক সংগঠন কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফি সোসাইটি, সায়েন্স ক্লাব, আইটি সোসাইটি, স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতা সংগঠন ‘বন্ধু’, উদীচী, এন্ট্রাপ্রেনিয়ারশিপ এন্ড লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ক্লাব, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব। | |||
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে বেশ কিছু বিশেষ স্থান ও স্থাপনা রয়েছে। এর মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য, মুক্তমঞ্চ, ফরেস্ট অব আর্ডেন, লালন পাহাড়, বাবুই চত্বর, কাঁঠাল তলা, বৈশাখী চত্বর, কৃষ্ণচূড়া রোড, সানসেট ভ্যালি, শহীদ মিনার, ভিসির-টং, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। | |||
মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি। প্রথম সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮৮৮ জন গ্র্যাজুয়েট অংশগ্রহণ করেন। | |||
[[Image:ComillaUniversityMuktamancha.jpg|right|thumbnail|300px|মুক্তমঞ্চ]] | |||
মাত্র ৫০ একর ভূমি নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও চলমান অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ইতোমধ্যে আরও প্রায় ২০০ একর ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকল্পটির আওতায় বৃহৎ পরিসরে উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন একনেকের চেয়ারপার্সন ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৫৫.৫০ কোটি টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রধান প্রধান কার্যক্রমগুলো হলোÑ ভূমি অধিগ্রহণ (২০০.২২ একর), ভূমি উন্নয়ন (১০০ একর), অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ ০৪টি (প্রতিটি ১০তলা) ২য় প্রশাসনিক ভবন ০১টি (৬তলা), ছাত্র-ছাত্রী হল নির্মাণ ৪টি (২টি করে প্রতিটি ১০তলা), উপাচার্যের বাসভবন নির্মাণ ১টি (২তলা), শিক্ষকদের আবাসিক ভবন নির্মাণ ১টি (১০ তলা), ডরমেটরি ভবন নির্মাণ ১টি (১০তলা), কর্মচারিদের আবাসিক ভবন নির্মাণ ১টি (১০ তলা), স্কুল বিল্ডিং নির্মাণ ১টি (৬তলা), ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র নির্মাণ ১টি (৫তলা), অডিটোরিয়াম নির্মাণ ১টি (৩তলা), ইন্টারন্যাশনাল কমপ্লেক্স নির্মাণ ১টি (৬তলা), মেডিকেল ও ডে কেয়ার সেন্টার নির্মাণ ১টি (৩তলা), কেন্দ্রীয় মসজিদ নির্মাণ, স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ, পারিবারিক বিনোদন এলাকা উন্নয়ন, প্রধান ফটক, অভ্যন্তরীণ রাস্তা (৫০০০০.০০ বর্গ মিটার), লেক খনন, লেকের ওপর ব্রিজ নির্মাণ, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, মোটরযান ক্রয় ২০টি (৫টি মাইক্রোবাস, ৫টি বাস, ২টি অ্যাম্বুলেন্স, ১টি জীপ, ১টি পিকআপ, ১টি কার, ৫টি মোটরসাইকেল), শেডসহ গাড়ির ওয়ার্কশপ ও যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং পরামর্শক ব্যয়। স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ ও যথাসময়ে নির্মাণ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। [আলী মোর্শেদ কাযেম] | |||
[[en:Comilla University]] | [[en:Comilla University]] |
১০:০১, ১৫ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনিন্দ্য সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের আধার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৯.৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়নের লালমাই মৌজার সালমানপুর ও রাজারখোলা এলাকায় অবস্থিত। যার অনতিদূরেই রয়েছে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক। ২০০৬ সালের ২৮ মে দেশের ২৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যাত্রা শুরু করা লাল পাহাড়ি টিলার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রায় ২৫০ একর পর্যন্ত বিস্তৃত। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম মাওলা ২০০৬ সালের ২৬ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই ২০০৮ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
![](/images/thumb/3/32/ComillaUniversityAdminBuilding.jpg/300px-ComillaUniversityAdminBuilding.jpg)
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানামুখী কার্যক্রমে দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠ জ্ঞানচর্চার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে রয়েছে শালবন বিহার, ইটাখোলা মুড়া, ময়নামতি জাদুঘর, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড), কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ, মৃৎশিল্প পল্লীর মতো বেশ কিছু ঐতিহ্যবাহী, শিক্ষামূলক ও প্রত্নগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা প্রতিষ্ঠা। এই বিষয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের পারিপার্শ্বিক পরিবেশকেও সমৃদ্ধ করেছে। ঐতিহাসিক পটভূমি বয়স মাত্র ১৬ হলেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক পটভূমি প্রায় হাজার বছর পূর্বে রচিত। প্রায় ৫০০ মাইল বিস্তৃত প্রাচীনকালের সমৃদ্ধ জনপদ 'সমতট' রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র লালমাই-ময়নামতি এলাকায় খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে চন্দ্রবংশীয় রাজা ভবদেব শালবন বিহার বা আনন্দ বিহার প্রতিষ্ঠা করেন। এশিয়ার জ্ঞানচর্চার অন্যতম পাদপীঠ এই বিহারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদায় অভিহিত করেন তৎকালীন পন্ডিতগণ। জ্ঞান অন্বেষণের জন্য পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে এখানে মানুষের আগমন ঘটতো। বিখ্যাত চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে শালবন বিহারে এসে চার হাজার ভিক্ষু (শিক্ষার্থী), ময়নামতি অঞ্চলে ৩৫টি বিহার বা শিক্ষাকেন্দ্র দেখেছেন বলে তাঁর গ্রন্থে উল্লেখ করেন। সমতটবাসীকে (বর্তমান কুমিল্লা) তিনি শিক্ষানুরাগী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ষাটের দশকে কুমিল্লা অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন জোরদার হয়। ঐতিহাসিক পটভূমি ও উন্নত যোগাযোগব্যবস্থার কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে কুমিল্লা জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জোর দাবি ওঠে। এই দাবির প্রেক্ষিতে তৎকালীন সরকার ১৯৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের তৃতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি নিয়েছিলো। কিন্তু প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের অনুপস্থিতিতে ১৯৬৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মন্ত্রীসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে পাকিস্তানের স্পিকার ফজলুল কাদের চৌধুরী কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এ.টি.এম মোস্তফাকে সেই বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ১৯৬৪ সালের ১৭-১৯ জুলাই অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ফজলুল কাদের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ইসলামাবাদে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের সভায় ‘স্থান নির্বাচন কমিশন’-এর সুপারিশের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ফতেপূর ইউনিয়নে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর থেকে কুমিল্লায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার হয়। ১৯৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের পরও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেয়া হয়, কিন্তু ২০০৬ সালের পূর্বে তা আলোর মুখ দেখেনি।
![](/images/thumb/8/8a/ComillaUniversityBangabandhuMemorial.jpg/200px-ComillaUniversityBangabandhuMemorial.jpg)
২০০৪ সালের ১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০০৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। একই বছরের ৮ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০০৭ সালের ২৮ মে প্রথম ব্যাচে ৭টি বিভাগে ৩০০ শিক্ষার্থী ও ১৫ জন শিক্ষক দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি অনুষদে ১৯টি বিভাগে ৭,০৫৫ জন শিক্ষার্থী ও ২৫২ জন শিক্ষক, ৯৪জন কর্মকর্তা ও ১৭৯ জন কর্মচারি রয়েছেন। এর বাইরে ‘উইকেন্ড কোর্সে’ বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীও রয়েছেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের অধীনে 'কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং' (সিএসই) এবং ‘ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগ’ (আইসিটি), বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, পরিসংখ্যান এবং ফার্মেসী বিভাগ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম, মার্কেটিং এবং 'ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং' বিভাগ, কলা ও মানবিক অনুষদের অধীনে ইংরেজি এবং বাংলা বিভাগ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে অর্থনীতি, লোক প্রশাসন, নৃবিজ্ঞান, 'গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা' এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এবং আইন অনুষদের অধীনে আইন বিভাগ রয়েছে।
![](/images/thumb/9/99/ComillaUniversityScienceFaulty.jpg/200px-ComillaUniversityScienceFaulty.jpg)
গবেষণার জন্য আলাদা সেল এবং প্রাতিষ্ঠানিক মানোন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ‘ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল’ বা আই-কিউএসি'র কার্যক্রম রয়েছে। বিভিন্ন বিভাগ থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে জার্নাল ও সাহিত্য পত্রিকা। সাম্প্রতিক সময়ে রোবটটিকসেও সাফল্য দেখিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বিভিন্ন শাস্ত্রের বই, জার্নাল এবং অডিওভিজুয়ালের বৈচিত্র্যময় সংগ্রহের পাশাপাশি রয়েছে আলাদা কম্পিউটার জোন ও ই-লাইব্রেরি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য আছে একটি মেডিকেল সেন্টার৷ জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য রয়েছে এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা। কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালে টেলিমেডিসিন সেবাও চালু করেছিলো এই মেডিকেল সেন্টার। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বর্তমানে ৫টি আবাসিক হল রয়েছে। ছাত্রদের জন্য ৩টি এবং ছাত্রীদের জন্য রয়েছে ২টি হল। এছাড়াও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে ডরমেটরি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে শিক্ষার্থীদের জন্য ৮টি, শিক্ষকদের জন্য ২টি, কর্মকর্তাদের জন্য ১টি, কর্মচারিদের জন্য ১টি নিজস্ব বাস রয়েছে৷ নিজস্ব যানবাহনের পাশাপাশি বিআরটিসি থেকে ভাড়ায় নেয়া ১২টি বাস শিক্ষার্থী পরিবহনে কাজ করছে।
খেলাধুলা ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সবসময়ই প্রশংসা কুড়িয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। পড়াশোনার ফাঁকে এসকল কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রশান্তিতে অবদান রাখছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়েও নিজেদের কর্মকান্ডের স্বাক্ষর রেখে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
![](/images/thumb/c/c1/ComillaUniversityTheatre.jpg/200px-ComillaUniversityTheatre.jpg)
বছরের বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যোৎসব, নবান্ন উৎসব, কালচারাল ফেস্ট, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কনসার্টসহ নানামুখী কর্মতৎপরতা চোখে পড়ে। এখানে রয়েছে নাট্যসংগঠন থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, সাংস্কৃতিক সংগঠন 'প্রতিবর্তন’, আবৃত্তি বিষয়ক সংগঠন ‘অনুপ্রাস কণ্ঠচর্চা কেন্দ্র’, ব্যান্ডদল ‘প্ল্যাটফর্ম’, পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন 'অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়', বিতর্ক বিষয়ক সংগঠন কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফি সোসাইটি, সায়েন্স ক্লাব, আইটি সোসাইটি, স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতা সংগঠন ‘বন্ধু’, উদীচী, এন্ট্রাপ্রেনিয়ারশিপ এন্ড লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ক্লাব, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে বেশ কিছু বিশেষ স্থান ও স্থাপনা রয়েছে। এর মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য, মুক্তমঞ্চ, ফরেস্ট অব আর্ডেন, লালন পাহাড়, বাবুই চত্বর, কাঁঠাল তলা, বৈশাখী চত্বর, কৃষ্ণচূড়া রোড, সানসেট ভ্যালি, শহীদ মিনার, ভিসির-টং, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি। প্রথম সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮৮৮ জন গ্র্যাজুয়েট অংশগ্রহণ করেন।
![](/images/thumb/3/3f/ComillaUniversityMuktamancha.jpg/300px-ComillaUniversityMuktamancha.jpg)
মাত্র ৫০ একর ভূমি নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও চলমান অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ইতোমধ্যে আরও প্রায় ২০০ একর ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকল্পটির আওতায় বৃহৎ পরিসরে উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন একনেকের চেয়ারপার্সন ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৫৫.৫০ কোটি টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রধান প্রধান কার্যক্রমগুলো হলোÑ ভূমি অধিগ্রহণ (২০০.২২ একর), ভূমি উন্নয়ন (১০০ একর), অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ ০৪টি (প্রতিটি ১০তলা) ২য় প্রশাসনিক ভবন ০১টি (৬তলা), ছাত্র-ছাত্রী হল নির্মাণ ৪টি (২টি করে প্রতিটি ১০তলা), উপাচার্যের বাসভবন নির্মাণ ১টি (২তলা), শিক্ষকদের আবাসিক ভবন নির্মাণ ১টি (১০ তলা), ডরমেটরি ভবন নির্মাণ ১টি (১০তলা), কর্মচারিদের আবাসিক ভবন নির্মাণ ১টি (১০ তলা), স্কুল বিল্ডিং নির্মাণ ১টি (৬তলা), ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র নির্মাণ ১টি (৫তলা), অডিটোরিয়াম নির্মাণ ১টি (৩তলা), ইন্টারন্যাশনাল কমপ্লেক্স নির্মাণ ১টি (৬তলা), মেডিকেল ও ডে কেয়ার সেন্টার নির্মাণ ১টি (৩তলা), কেন্দ্রীয় মসজিদ নির্মাণ, স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ, পারিবারিক বিনোদন এলাকা উন্নয়ন, প্রধান ফটক, অভ্যন্তরীণ রাস্তা (৫০০০০.০০ বর্গ মিটার), লেক খনন, লেকের ওপর ব্রিজ নির্মাণ, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, মোটরযান ক্রয় ২০টি (৫টি মাইক্রোবাস, ৫টি বাস, ২টি অ্যাম্বুলেন্স, ১টি জীপ, ১টি পিকআপ, ১টি কার, ৫টি মোটরসাইকেল), শেডসহ গাড়ির ওয়ার্কশপ ও যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং পরামর্শক ব্যয়। স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ ও যথাসময়ে নির্মাণ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। [আলী মোর্শেদ কাযেম]