ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ২টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:Banglapedia]]
[[Category:Banglapedia]]
'''ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড '''(ডিএসই)'''  '''১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান''' '''স্টক এক্সচেঞ্জ নামে গঠিত হয়। পরবর্তীকালে ১৯৬২ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ হিসেবে এর পুণঃনামকরণ করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে এর ট্রেডিং কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৫৬ সালে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি এবং এর কার্যক্রম নিজস্ব রুলস, বাই লজ, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯, কোম্পানি আইন ১৯৯৪  এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অ্যাক্ট ১৯৯৩ অনুসারে পরিচালিত হয়। ১০ আগস্ট ১৯৯৮ হতে এর ট্রেডিং কার্যক্রম সম্পূর্ণ অটোমেটেড অন-লাইন পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। ১৯৫২ সালে কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ পাকিস্তানি শেয়ার ও সিকিউরিটিজ লেনদেন বন্ধ করে দিলে পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানে একটি স্টক এক্সচেঞ্জ গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তখন প্রস্তাবিত স্টক এক্সচেঞ্জ গঠনের লক্ষ্যে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সকে বলা হল তাদের সকল সদস্যকে ২০০০ টাকা মূল্যমানের সদস্য কার্ড ক্রয় করতে। ১৯৫৪ সালে ২৮ এপ্রিল ৮ জন উদ্যোক্তা ইনকফোরেটেড হয়ে পূর্ব পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ এসোসিয়েশন লিমিটেড গঠন করে। ১৯৬২ সালের ২৩ জুন সে নাম পরিবর্তিত হয়ে পূর্ব পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এবং ১৯৬৪ সালের ১৪ মে তা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ নাম গ্রহণ করে। ১৯৫৪ সালে ইনকরপোরেটেড হলেও ব্যবসা শুরু হয় ১৯৫৬ সালে নারায়ণগঞ্জে এবং ১৯৫৮ সালে তা ঢাকায় স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হয়।  
'''ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড''' (ডিএসই) পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি এবং এর কার্যক্রম নিজস্ব রুলস, বাই লজ, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯, কোম্পানি আইন ১৯৯৪, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অ্যাক্ট ১৯৯৩ এবং ২০১৩ সালের ডিমিউচুয়ালাইজেশন অব এক্সেচেঞ্জেস আইন অনুসারে পরিচালিত হয়। ১৯৫২ সালে কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ পাকিস্থানী শেয়ার ও সিকিউরিটিজ লেনদেন বন্ধ করে দিলে পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্থানে একটি স্টক এক্সচেঞ্জ গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তখন প্রস্তাবিত স্টক এক্সচেঞ্জ গঠনের লক্ষ্যে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সকে বলা হল তাদের সকল সদস্যকে ২০০০ টাকা মূল্যমানের সদস্য কার্ড ক্রয় করতে। ১৯৫৪ সালে ২৮ এপ্রিল ৮ জন উদ্যোক্তা ইনকরপোরেটেড হয়ে পূর্ব পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ এসোসিয়েশন লিমিটেড গঠন করে। ১৯৬২ সালের ২৩ জুন সে নাম পরিবর্তিত হয়ে পূর্ব পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এবং ১৯৬৪ সালের ১৪ মে তা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ নাম গ্রহণ করে। ১৯৫৪ সালে ইনকরপোরেটেড হলেও ব্যবসা শুরু হয় ১৯৫৬ সালে নারায়ণগঞ্জে এবং ১৯৫৮ সালে তা ঢাকায় স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার  পর পাঁচ বছর এর কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ১৯৭৬ ট্রেডিং পুনরায় শুরু হলেও ১৯৮৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় ।


তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের সংখ্যা, পরিশোধিত মূলধন, বাজার মূলধন এবং মূল্যসূচক (মিলিয়ন টাকা)
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-এর কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে কোম্পানি তালিকাভুক্তকরণ, তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজদের স্বয়ংক্রিয় মূল্যমান নির্দেশনা অটোমেটেড ট্রেডিং সিসেটেমের আওতায় প্রদর্শন, শেয়ার হস্তান্তর অনুমোদন, শেয়ার  বাজার ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ, বাজার পরীবিক্ষণ, বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি মোকাবেলা তহবিল পরিচালনা এবং অনলাইনের মাধ্যমে মূল্য ঘোষণা।


বিবরণ #২০০৫-২০০৬ #২০০৬-২০০৭ #২০০৭-২০০৮ #২০০৮-২০০৯
মৌল তথ্য ও পরিসংখ্যান


তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের সংখ্যা #৩০৩ #৩২৫ #৩৭৮ #৪৪৩
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
| বিবরণ || ২০১৮ || ২০১৯ || ২০২০
|-
|তালিকাভুক্ত ইস্যু সংখ্যা || ৫৭৮ || ৫৮৭ || ৫৯৭
|-
|তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের পরিশোধিত মূলধন
|-
|ক) বিলিয়ন টাকায় || ১২৪৩ || ১২৯৫ || ১৩৭৫
|-
|খ) মিলিয়ন মার্কিন ডলারে<sup>*</sup> || ১৪৮১৫ || ১৪৩৮৭ || ১৬১৮০
|-
|মার্কেট ক্যাপিটলাইজেশন
|-
|ক) বিলিয়ন টাকায় || ৩৮৭৩ || ৩৩৯৬ || ৪৪৮২
|-
|খ) মিলিয়ন মার্কিন ডলারে || ৪৬৬৬৩ || ৩৯৯৪৭ || ৫২৭৩৩
|-
|শেয়ার মূল্য সূচক
|-
|ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) || ৫৩৮৬ || ৪৪৫৩ || ৫৪০২
|-
|ডিএসই ৩০ ইনডেক্স (ডিএস৩০) || ১৮৮১ || ১৫১৩ || ১৯৬৪
|-
|ডিএসইএক্স শরীয়াহ ইনডেক্স (ডিএসইএস) || ১২৩৩ || ১০০০ || ১২৪২
|-
|মোট টার্নওভার
|-
|ক) সংখ্যা (বিলিয়ন) || ৩৪ || ৩৩ || ৪৯
|-
|খ) মূল্য (বিলিয়ন টাকায়) || ১৩৩৪ || ১১৩৮ || ১৩৫০
|-
|(গ) মূল্য (মিলিয়ন মার্কিন ডলারে) || ১৬০৬৮ || ১৩৪১৩ || ১৫৮৮০
|-
|দৈনিক গড় টার্নওভার
|-
|ক) সংখ্যা (মিলিয়ন) || ১৩৯ || ৯৯৮ || ২৩৫
|-
|খ) মূল্য (বিলিয়ন টাকায়) || ৬ || ৪ || ৭
|-
|গ) মূল্য (মিলিয়ন মার্কিন ডলারে) || ৬৬ || ৪৯ || ৭৬
|-
|নতুন পাবলিক ইস্যু
|-
|সংখ্যা || ১৪ || ৯ || ৮
|-
|মূল্য (মিলিয়ন টাকায়) || ১৫৭২১ || ১১৮২০ || ৬১৪৭০
|-
|মূল্য (মিলিয়ন মার্কিন ডলারে) || ১৮৭ || ১৩৯ || ৭২৩
|-
|পাবলিক অফার
|-
|মূল্য (মিলিয়ন টাকায়) || ৬০১০ || ৬৫২০ || ৮৪৯৮
|-
|মূল্য (মিলিয়ন মার্কিন ডলারে) || ৭২ || ৭৭ || ১০০
|}
<sup>*</sup> ১ ডলার= ৮৫ টাকা গণ্য করা হয়েছে


তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের পরিশোধিত মূলধন ####
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন সংক্রান্ত পরিসংখ্যান


() মিলিয়ন টাকায় #৮৫৭২৩ #১৬৪২৭৯ #২৮৪৩৮০ #৪৫৭৯৪৪
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|বছর || লেনদেন দিবস সংখ্যা || মোট লেনদেন (বিলিয়ন টাকা) || দৈনিক গড় লেনদেন (মিলিয়ন টাকা)
|-
|২০১৮ || ২৪২ || ১৩৩৪ || ৪৮০৩
|-
|২০১৯ || ২৩৭ || ১১৩৮ || ৬৪৯০
|-
|২০২০ || ২০৮ || ১৩৫০ || ১০৩১০
|}


(খ) মিলিয়ন মার্কিন ডলারে #১২২৮ #২৩৮০ #৪১৫০ #৬৬৩৫
''উৎস'' আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার, ''বার্ষিক প্রতিবেদন, ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২১''।


তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ####
১৯৯৮ সালের ১০ আগস্ট ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-এ স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয় এবং ২০০১ সালের ১ জানয়ারি এ ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়। ২০০৪ সালের ২৪ জানয়ারী কেন্দ্রিয় ডিপোজেটরি সিস্টেম চালু করা হয়। এখন শেয়ার বিনিয়োগকারী তার নিজের দপ্তরে বসে শেয়ার কেনাবেচার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। চাহিদার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে এই অটোমেটেড ট্রেডিং সিস্টেমে কয়েক দফায় আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ২০১৩ সালের ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনের আওতায় ডিএসইতে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদে ১৩ জন পরিচালক আছেন। এর মধ্যে ৭ জন স্বতন্ত্র পরিচালক, ৪ জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক, ১ জন কৌশলগত বিনিয়োগকারীর প্রতিনিধি এবং ১ জন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে রয়েছেন। বর্তমানে ডিএসইতে ২৫০ জন ট্রেকহোল্ডার আছেন। সারা দেশে ট্রেক হোল্ডারদের ৬২৫টি শাখা অফিস রয়েছে।  [মোহাম্মদ আবদুল মজিদ]
 
(ক) মিলিয়ন টাকায় #২২৫৩০০ #৪৯১৬৮৪ #৯৬৪৮০০ #১২৪১৩৩৯
 
(খ) মিলিয়ন মার্কিন ডলারে #৩২২৭ #৭১২৪ #১৪০৭৯ #১৭৯৮৫
 
শেয়ার মূল্য সূচক ####
 
(ক) সাধারণ শেয়ার মূল্যসূচক #১৩৪০ #২১৪৯ #৩০০১ #৩০১০
 
(খ) সার্বিক মূল্যসূচক #১০৪০ #১৭৬৪ #২৫৮৮ #২৫২০
 
মোট টার্নওভার ####
 
(ক) পরিমাণ (মিলিয়ন) #৫৫৮ #১৯৮৩ #৩৭৬১ #৫৭৫৮
 
(খ) মূল্য (মিলিয়ন টাকায়) #৪৬০০৮ #১৬৪৬৭২ #৫৪৩২৮৬ #৮৯৩৭৮৯
 
(গ) মূল্য (মিলিয়ন মার্কিন ডলারে) #৬৫৯ #২৩৮৬ #৭৯২৮ #১২৯৫০
 
দৈনিক গড় টার্নওভার ####
 
(ক) পরিমাণ (মিলিয়ন) #২ #৮ #১৬ #২৪
 
(খ) মূল্য (মিলিয়ন টাকায়) #১৯৩ #৭০১ #২২৭৩ #৩৭৪০
 
(গ) মূল্য (মিলিয়ন মার্কিন ডলারে) #৪ #১০ #৩৩ #৫৪
 
নতুন পাবলিক ইস্যু ####
 
(ক) সংখ্যা #১৪ #১২ #১০ #১৫
 
(খ) মূল্য (মিলিয়ন টাকায়) #৩৯১২ #৭১৫৫ #৭৭৫৭ #৮৬২৯
 
(গ) মূল্য (মিলিয়ন মার্কিন ডলারে) #৫৬ #১০৪ #১১৩ #১২৫
 
(ঘ) পাবলিক অফার (মিলিয়ন টাকায়) #১৪৮১ #৩০৯৬ #৩৫৩১ #২৬৩০
 
(ঙ) পাবলিক অফার (মিলিয়ন মার্কিন ডলারে) #২১ #৪৫ #৫২ #৩৮
 
উৎস  অর্থবিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলী'', ''২০০৪-০৫ থেকে ২০০৯-১০।
 
১৯৭১  সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাঁচ বছর এর কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ১৯৭৬ ট্রেডিং পূনরায় শুরু হয় এবং ১৯৮৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর এটি নতুন করে শুরু হয়।
 
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-এর কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে কোম্পানি তালিকাভুক্তকরণ, তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজদের স্বয়ংক্রিয় মূল্যমান নির্দেশনা অটোমেটেড ট্রেডিং সিসেটেমের আওতায় প্রদর্শন, শেয়ার হস্তান্তর অনুমোদন, শেয়ার বাজার ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ, বাজার পরীবিক্ষণ, বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি মোকাবেলা তহবিল পরিচালনা এবং অনলাইনের মাধ্যমে মূল্য ঘোষণা।
 
১৯৯৮ সালের ১০ আগস্ট ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-এ স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয় এবং ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি এ ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়। ২০০৪ সালের ২৪ জানুয়ারি কেন্দ্রিয় ডিপোজেটরি সিস্টেম চালু করা হয়। ২০০৯ সালের ১৬ নভেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বেঞ্চ মার্ক ইনডেক্স প্রথম বারের মতো ৪০০০ পয়েন্ট অতিক্রম করে এবং ৪১৪৮ পয়েন্টে পৌঁছায়।
 
এ ব্যবস্থায় শেয়ার বিনিয়োগকারী তার নিজের দপ্তরে বসে শেয়ার কেনাবেচার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। চাহিদার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে এই অটোমেটেড ট্রেডিং সিস্টেমে দু’দফায় আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ১২ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা পর্ষদ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-এর সার্বিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সংস্থাটির সর্বোচ্চ নির্বাহী যাকে মহাব্যবস্থাপক পর্যায়ের তিন জন ঊর্ধ্বতন নির্বাহী সহায়তা করে থাকেন।  [মোহাম্মদ আবদুল মজিদ]
 
<!-- imported from file: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড.html-->


[[en:Dhaka Stock Exchange, The]]
[[en:Dhaka Stock Exchange, The]]

১৭:১০, ১ জুলাই ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (ডিএসই) পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি এবং এর কার্যক্রম নিজস্ব রুলস, বাই লজ, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯, কোম্পানি আইন ১৯৯৪, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অ্যাক্ট ১৯৯৩ এবং ২০১৩ সালের ডিমিউচুয়ালাইজেশন অব এক্সেচেঞ্জেস আইন অনুসারে পরিচালিত হয়। ১৯৫২ সালে কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ পাকিস্থানী শেয়ার ও সিকিউরিটিজ লেনদেন বন্ধ করে দিলে পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্থানে একটি স্টক এক্সচেঞ্জ গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তখন প্রস্তাবিত স্টক এক্সচেঞ্জ গঠনের লক্ষ্যে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সকে বলা হল তাদের সকল সদস্যকে ২০০০ টাকা মূল্যমানের সদস্য কার্ড ক্রয় করতে। ১৯৫৪ সালে ২৮ এপ্রিল ৮ জন উদ্যোক্তা ইনকরপোরেটেড হয়ে পূর্ব পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ এসোসিয়েশন লিমিটেড গঠন করে। ১৯৬২ সালের ২৩ জুন সে নাম পরিবর্তিত হয়ে পূর্ব পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এবং ১৯৬৪ সালের ১৪ মে তা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ নাম গ্রহণ করে। ১৯৫৪ সালে ইনকরপোরেটেড হলেও ব্যবসা শুরু হয় ১৯৫৬ সালে নারায়ণগঞ্জে এবং ১৯৫৮ সালে তা ঢাকায় স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাঁচ বছর এর কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ১৯৭৬ ট্রেডিং পুনরায় শুরু হলেও ১৯৮৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় ।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-এর কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে কোম্পানি তালিকাভুক্তকরণ, তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজদের স্বয়ংক্রিয় মূল্যমান নির্দেশনা অটোমেটেড ট্রেডিং সিসেটেমের আওতায় প্রদর্শন, শেয়ার হস্তান্তর অনুমোদন, শেয়ার বাজার ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ, বাজার পরীবিক্ষণ, বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি মোকাবেলা তহবিল পরিচালনা এবং অনলাইনের মাধ্যমে মূল্য ঘোষণা।

মৌল তথ্য ও পরিসংখ্যান

বিবরণ ২০১৮ ২০১৯ ২০২০
তালিকাভুক্ত ইস্যু সংখ্যা ৫৭৮ ৫৮৭ ৫৯৭
তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের পরিশোধিত মূলধন
ক) বিলিয়ন টাকায় ১২৪৩ ১২৯৫ ১৩৭৫
খ) মিলিয়ন মার্কিন ডলারে* ১৪৮১৫ ১৪৩৮৭ ১৬১৮০
মার্কেট ক্যাপিটলাইজেশন
ক) বিলিয়ন টাকায় ৩৮৭৩ ৩৩৯৬ ৪৪৮২
খ) মিলিয়ন মার্কিন ডলারে ৪৬৬৬৩ ৩৯৯৪৭ ৫২৭৩৩
শেয়ার মূল্য সূচক
ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) ৫৩৮৬ ৪৪৫৩ ৫৪০২
ডিএসই ৩০ ইনডেক্স (ডিএস৩০) ১৮৮১ ১৫১৩ ১৯৬৪
ডিএসইএক্স শরীয়াহ ইনডেক্স (ডিএসইএস) ১২৩৩ ১০০০ ১২৪২
মোট টার্নওভার
ক) সংখ্যা (বিলিয়ন) ৩৪ ৩৩ ৪৯
খ) মূল্য (বিলিয়ন টাকায়) ১৩৩৪ ১১৩৮ ১৩৫০
(গ) মূল্য (মিলিয়ন মার্কিন ডলারে) ১৬০৬৮ ১৩৪১৩ ১৫৮৮০
দৈনিক গড় টার্নওভার
ক) সংখ্যা (মিলিয়ন) ১৩৯ ৯৯৮ ২৩৫
খ) মূল্য (বিলিয়ন টাকায়)
গ) মূল্য (মিলিয়ন মার্কিন ডলারে) ৬৬ ৪৯ ৭৬
নতুন পাবলিক ইস্যু
সংখ্যা ১৪
মূল্য (মিলিয়ন টাকায়) ১৫৭২১ ১১৮২০ ৬১৪৭০
মূল্য (মিলিয়ন মার্কিন ডলারে) ১৮৭ ১৩৯ ৭২৩
পাবলিক অফার
মূল্য (মিলিয়ন টাকায়) ৬০১০ ৬৫২০ ৮৪৯৮
মূল্য (মিলিয়ন মার্কিন ডলারে) ৭২ ৭৭ ১০০

* ১ ডলার= ৮৫ টাকা গণ্য করা হয়েছে

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন সংক্রান্ত পরিসংখ্যান

বছর লেনদেন দিবস সংখ্যা মোট লেনদেন (বিলিয়ন টাকা) দৈনিক গড় লেনদেন (মিলিয়ন টাকা)
২০১৮ ২৪২ ১৩৩৪ ৪৮০৩
২০১৯ ২৩৭ ১১৩৮ ৬৪৯০
২০২০ ২০৮ ১৩৫০ ১০৩১০

উৎস আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার, বার্ষিক প্রতিবেদন, ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২১

১৯৯৮ সালের ১০ আগস্ট ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-এ স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয় এবং ২০০১ সালের ১ জানয়ারি এ ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়। ২০০৪ সালের ২৪ জানয়ারী কেন্দ্রিয় ডিপোজেটরি সিস্টেম চালু করা হয়। এখন শেয়ার বিনিয়োগকারী তার নিজের দপ্তরে বসে শেয়ার কেনাবেচার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। চাহিদার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে এই অটোমেটেড ট্রেডিং সিস্টেমে কয়েক দফায় আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ২০১৩ সালের ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনের আওতায় ডিএসইতে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদে ১৩ জন পরিচালক আছেন। এর মধ্যে ৭ জন স্বতন্ত্র পরিচালক, ৪ জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক, ১ জন কৌশলগত বিনিয়োগকারীর প্রতিনিধি এবং ১ জন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে রয়েছেন। বর্তমানে ডিএসইতে ২৫০ জন ট্রেকহোল্ডার আছেন। সারা দেশে ট্রেক হোল্ডারদের ৬২৫টি শাখা অফিস রয়েছে। [মোহাম্মদ আবদুল মজিদ]