শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ

শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ  বরিশাল শহরের দক্ষিণ-পূর্বে কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত দেশের অন্যতম চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়। ১৯৬৪ সালে বরিশাল মেডিকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হলেও ১৯৬৮ সালে এর কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীকালে শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের নামানুসারে কলেজের নতুন নামকরণ হয় শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ। এ কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত। এখানকার এম.বি.বি.এস (Bachelor of Medicine & Bachelor of Surgery) ডিগ্রি ইংল্যান্ডের জেনারেল মেডিক্যাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত। অধ্যক্ষ কলেজের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কলেজের নিজস্ব এলাকা প্রায় ৩৩ হেক্টর। এখানে আছে ছাত্রছাত্রীদের জন্য হোস্টেল, সেবিকাদের সেবা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, নার্সিং ইনস্টিটিউট এবং সেবিকা, কর্মচারী ও শিক্ষকদের নিজস্ব আবাসন ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের জন্য মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন হাসপাতাল হলো শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এতে ৫০০ শয্যার এবং অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিভাগীয় চিকিৎসা সেবার সুযোগ রয়েছে। হাসপাতালের প্রধান একজন পরিচালক। হাসপাতাল থেকে প্রতি বছর প্রায় ৩০,০০০ রোগী চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকে।

শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ৫-বছরের স্নাতকপূর্ব চিকিৎসা শিক্ষা শেষে শিক্ষাথীরা এম.বি.বি.এস ডিগ্রি লাভ করে। স্নাতক হওয়ার পর নিবন্ধনভুক্তির জন্য এক বছরের ইন্টার্নিশিপ বাধ্যতামূলক। এখানে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় FCPS, মাস্টার্স ও ডিপ্লোমা লাভের জন্য স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। সম্প্রতি কিছু স্নাতকোত্তর কোর্স চালু হয়েছে। [মো. আবদুল লতিফ]