ব্যাডমিন্টন

ব্যাডমিন্টন  দুই বা চার জনের খেলা। এতে গোলাকার কর্কের সঙ্গে পালক সংযুক্ত করে প্রস্ত্ততকৃত ছোট একটি শাটল কর্ক র‌্যাকেটের সাহায্যে জালের উপর দিয়ে নিক্ষেপ করা হয়। খেলাটির প্রারম্ভ সম্ভবত ভারতীয় উপমহাদেশে। ১৮৭০ সালের দিকে এটি ইংল্যান্ডে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ডিউক অব বোফর্ট-এর আবাসস্থলের (Great Badminton) নামানুসারে ব্যাডমিন্টন নামটি দেওয়া হয়েছে।

১৯৩৪ সালে International Badminton Federation (IBF) গঠিত হয়। মেয়েদের জন্য সর্বপ্রথম টুর্নামেন্টের ব্যবস্থা করা হয় ১৯৫৭ সালে। মিসেস এইচ.এস উবার মহিলাদের জন্য একটি কাপ প্রদান করেন। বর্তমানে মহিলাদের টুর্নামেন্টের কাপটি উবার কাপ নামে পরিচিত। এর দুইবছর পর ১৯৫৯ সালে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে এশিয়ার কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের এক বৈঠকের মাধ্যমে Asian Badminton Federation (ABF) গঠন করা হয়। ১৯৬৬ সালে এশিয়ান গেমস-এ ব্যাডমিন্টনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ব্রিটিশ আমলেই বাংলায় চালু হলেও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে এই খেলাটি মোটামুটি শহরাঞ্চলেই প্রসারিত ছিল। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর গঠন করা হয় বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন (BBF)। বর্তমানে বাংলাদেশের শহর ও গ্রামে অন্যান্য খেলার মতো ব্যাডমিন্টনও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন এশিয়ান ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়ান স্যাটেলাইট ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ, সার্ক ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপসহ আরও অনেকগুলি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত উল্লেখযোগ্য টুর্নামেন্টসমূহের মধ্যে রয়েছে সামার ওপেন ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট, প্রথম বিভাগ ব্যাডমিন্টন লিগ, জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ, জাতীয় জুনিয়র  ও সাব-জুনিয়র ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ, দ্বিতীয় বিভাগ ব্যাডমিন্টন লিগ প্রভৃতি।  [গোফরান ফারুকী]