বিমান বন্দর থানা (ঢাকা মেট্রোপলিটন)

বিমান বন্দর থানা (ঢাকা মেট্রোপলিটন)  আয়তন: ৮.০২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৪৯´ থেকে ২৩°৫১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২৩´ থেকে ৯০°২৫´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে পল্লবী, উত্তরা ও দক্ষিণখান থানা, দক্ষিণে খিলক্ষেত ও ক্যান্টনমেন্ট থানা, পূর্বে খিলক্ষেত ও দক্ষিণখান থানা, পশ্চিমে ক্যান্টনমেন্ট ও পল্লবী থানা।

জনসংখ্যা ৫০৭৯; পুরুষ ৩০১৬, মহিলা ২০৬৩। মুসলিম ৪৯২১, হিন্দু ১৩৭ এবং অন্যান্য ২১।

প্রশাসন ২০০১ সালে বিমানবন্দর থানা গঠিত হয়।

থানা
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন মহল্লা জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
৩ (আংশিক) ৪৪৫৯ ৬২০ ৬৩৪ ৭৯.১৩ -
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন
ওয়ার্ড নম্বর ও ইউনিয়ন আয়তন (বর্গ কিমি) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
ওয়ার্ড নং ১ (আংশিক) ০.১৫ ৯৪৯ ৮৬৬ ৮৫.২৬
ওয়ার্ড নং ৯৮ (সংরক্ষিত এলাকা, আংশিক) ৫.৫০ ১৪৯১ ১১৫৩ ৭৪.৬৭
দক্ষিণখান ইউনিয়ন (আংশিক) ২.৩৭ ৫৭৬ ৪৪ ৭৭.৪৭

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ১নং সেক্টর জামে মসজিদ, বাবুসসালাম মসজিদ ও সিভিল এভিয়েশন মসজিদ উল্লেখযোগ্য।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৭৯.১৩%; পুরুষ ৮২.৫০%, মহিলা ৭০.০১%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: স্কলাস্টিকা স্কুল এ্যান্ড কলেজ, সিভিল এভিয়েশন স্টাফ স্কুল (কাওলা), মহিলা মেডিকেল কলেজ, বাবুসসালাম মসজিদ এ্যান্ড মাদ্রাসা, সিভিল এভিয়েশন মাদ্রাসা।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান উত্তরা ক্লাব, উত্তরা লেডিস ক্লাব, ফ্লাইং ক্লাব উল্লেখযোগ্য।

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বিমান অফিস বলাকা, রাডার স্টেশন ট্রান্সমিটার, আশকোণা হাজিক্যাম্প, সিভিল এভিয়েশন বিদ্যুৎকেন্দ্র।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি শ্রমিক ২.০৪%, অকৃষি শ্রমিক ৩.৮৮%, শিল্প ২.০৪%, ব্যবসা ২১.৪৬%, পরিবহণ ও  যোগাযোগ ১.২৯%, নির্মাণ ৩.৪৫%. ধর্মীয় সেবা ০.১০%, চাকরি ৪৯.৬২%, রেন্ট এ্যান্ড রেমিটেন্স ৫.৩৯% এবং অন্যান্য ১০.৭৩%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৭৫.২৯%,  ভূমিহীন ২৪.৭১%।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসল  ধান, গম।

প্রধান ফল ফলাদি  আম, কাঠাল।

যোগাযোগ বিশেষত্ব মোট সড়ক ৩২.৯৮ কিমি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।

শিল্প ও কলকারখানা রানুদি ফ্যাশন গার্মেন্টস ।

মার্কেট  হাজিক্যাম্প সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, থ্রি-এস শপিংমল।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য  তৈরি পোশাক।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ থানার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৯৫.৫৭% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৩.৯৯%, ট্যাপ ৯১.২৬%, পুকুর ০.১০% এবং অন্যান্য ৪.৬৫%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ থানার  ৯৪.৪৯% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৩.০৩% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ২.৪৮% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র ফরচুন হাসপাতাল, সেন্ট্রাল হাসপাতাল, জাহানারা ক্লিনিক উল্লেখযোগ্য।  [শামীমা আক্তার]

তথ্যসূত্র  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।