বর্জ্যমাছ

বর্জ্যমাছ (Trash fish)  ধৃত যেসব মাছ বিক্রয়ের উপযোগী নয়। বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে চিংড়ি ধরার সময় প্রচুর পরিমাণে অন্যান্য মাছও ধরা পড়ে, যেগুলি সাধারণত সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। এসব মাছের পরিমাণ ও বৈচিত্র্য অনেক বেশি। এগুলির কোন কোনটি বিক্রেয় বিধায় জেলেরা চিংড়ির সঙ্গে পাড়ে তোলে এবং অন্যগুলি সাগরে ফেলে দেয়। এগুলি দুই প্রকার: বর্জ্য মাছ, যেগুলি কোনক্রমেই বিক্রেয় নয় এবং অন্যগুলি দামি পোনা মাছ। বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন দেশগুলির ট্রলার থেকে বছরে প্রায় চার লক্ষ মে টন বর্জ্য মাছ সাগরে ফেলা হয়। উপকূলীয় ট্রলারগুলি চিংড়ি ধরার সময় প্রচুর পরিমাণ (বছরে ৩৫-৪৫ হাজার মে টন) পাখনাওয়ালা মাছ (fin fish) সাগরে ফেলে। যে বাগদা চিংড়ি ধরা তাদের মূল লক্ষ্য তার পরিমাণ মোট ধৃত মাছের মাত্র ৫%। বাংলাদেশে প্রধান বর্জ্য সামুদ্রিক মাছ হচ্ছে: সোল মাছ (Sole fish, Cynoglossus species), মৌরি (Hardtail scad, Carangoid species), সোনালি বাটা (Goat fish, Upeneus species), রূপবান/সোনাবান (Threadfin bream, Nemipterus species), বেয়াই (Squid, Sepia species), নুইল্ল্যা (Cuttle fish, Loligo species) এবং ফ্যাসা (Shad)।

বর্জ্যমাছকে প্রয়োজনীয় খাদ্যবস্ত্ততে পরিণত করার উদ্দেশ্যে আশির দশকের মাঝামাঝি একটি উদ্যোগ গৃহীত হয়। এ থেকে তৈরি চার ধরনের খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল ফিস বার্গার, ফিস ফিঙ্গার, ফিস বল, কিমা ব্লক।  [নূরুদ্দিন মাহমুদ]