পরিবেশ আইন

পরিবেশ আইন  পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থান তত্ত্বাবধান ও সংরক্ষণের আইনি পদক্ষেপ। এ আইনসমূহ স্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য বিশ্ব আন্দোলনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নাগরিক ও সরকারি সংস্থাসমূহের অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণ করে। উনিশ শতকের শুরুতে দেশে পরিবেশ সংক্রান্ত অনেক আইন প্রণীত হয়। তবে এ আইনগুলো দীর্ঘদিন প্রয়োগ করা হয় নি অথবা সাধারণ মানুষ ও সরকারি সংস্থাসমূহের কাছে বিষয়গুলো অস্পষ্ট ছিল। আবার কিছু আইন পরবর্তী সময়ে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে, কারণ এগুলো বিধিবদ্ধ করার পরিস্থিতি পরে আর বিদ্যমান ছিল না।

পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়গুলো তদারকির জন্য ১৯৮৯ সালে পরিবেশ মন্ত্রণালয় গঠিত হয়। অতঃপর সরকার পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে; জাতীয় পরিবেশ নীতি ১৯৯২ প্রণীত হয়েছে এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ বিধিবদ্ধ করার মাধ্যমে পুরনো আইন সংশোধন করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরও পুনর্গঠিত হয়েছে। জাতীয় পরিবেশ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমও চূড়ান্ত করে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, আমাদের দেশে অদ্যাবধি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে পরিবেশ সম্পর্কিত প্রায় ১৮৫টি আইন রয়েছে।

পানিদূষণ রোধকল্পে ১৯৭৪ সালে একটি আইন প্রণীত হয়। ১৯৭৭ সালে এ আইনের স্থলে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। পানি-সংশ্লিষ্ট বিষয়টি পরবর্তী সময়ে পরিবেশ ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত হয় এবং ফলে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ প্রণীত হয়। এ আইনে পরিবেশ সংরক্ষণের যে সংজ্ঞা দেয়া হয় তাতে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের গুণগত ও পরিমাণগত উন্নয়ন এবং সেগুলোর মানের ঘাটতি রোধ করার কথাই বলা হয়েছে। এ আইনে পরিবেশ বলতে বোঝানো হয়েছে পানি, বাতাস, ভূমি ও অন্যান্য ভৌত সম্পদ এবং এদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী, গাছপালা ও অণুজীবসমূহের মধ্যকার সম্পর্ক।

এ আইনে বাস্ত্তসংস্থান, দূষণ, বর্জ্য ও ক্ষতিকর বস্ত্তর ব্যবহারিক সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে যা পূর্বে কোনো আইনে উল্লিখিত ছিল না। এ আইন পরিবেশ সংরক্ষণ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় তদারকির জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে পূর্ণ ক্ষমতা প্রদান করেছে। এ আইনে যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়ার কথা বলা হয়েছে যা পরিবেশ বিনষ্টকারী হিসেবে ১৯৮৩ সালের যানবাহন অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছিল। এ আইনের শাস্তি সংক্রান্ত ধারা প্রয়োগ করা কঠিন, কারণ সেক্ষেত্রে ম্যাজিষ্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োজন। আইনের ১২ নং ধারা অনুসারে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের ছাড়পত্র ছাড়া কোনো শিল্প-ইউনিট বা প্রকল্প নির্মাণ বা গ্রহণ করা যাবে না। ইতোপূর্বে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দূষণরোধের উপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধি ১৯৯৭ প্রয়োগের মাধ্যমে ঐ আইনের কার্যকর প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।

কোনো এলাকার পরিবেশে ক্ষতির পরিমাণ মারাত্মক আকার ধারণ করলে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুসারে সরকার সেই এলাকাকে বাস্ত্তসংস্থানিকভাবে সংকটপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করতে পারে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় যে ৭টি এলাকাকে সংকটপূর্ণ ঘোষণা করেছে সেগুলো হলো সুন্দরবন, কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সমুদ্রসৈকত, সেন্ট মার্টিনস দ্বীপ, সোনাদিয়া দ্বীপ, হাকালুকি হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর ও মারজাত হ্রদ। এসব সংকটপূর্ণ এলাকায় কিছু কার্যক্রম নিষিদ্ধ, যেমন গাছ কাটা বা সংগ্রহ, বন্যপ্রাণী ফাঁদে ধরা বা শিকার, শামুক প্রবাল কচ্ছপ ও অন্যান্য প্রাণী ধরা বা সংগ্রহ; এমন কর্মকান্ড যা ওই এলাকার উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রতি হুমকিস্বরূপ এবং ওই এলাকার মাটি ও পানির প্রাকৃতিক গুণাবলি পরিবর্তন বা নষ্ট করতে পারে; ওই এলাকার পানি, মাটি, বাতাস দুষিত করে অথবা শব্দদূষণ ঘটায় এমন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং এমন যেকোন কর্মকান্ড যা মাছ ও জলজ প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর।

বন ও বন-ব্যবস্থাপনা ১৯২৭ সালের বন আইনের অন্তর্ভুক্ত। বিশ্বে বাংলাদেশের বনভূমির পরিমাণ সর্বনিম্ন। আঠারো শতক থেকে উনিশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এবং পরবর্তী ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতের বনাঞ্চল বিপুল পরিমাণে ধ্বংস করা হয়। কৃষিকাজ সম্প্রসারণের ফলে ব্রিটিশ আমলে বনাঞ্চল সংকুচিত হতে থাকে। শুধু সুন্দরবন এলাকাই হ্রাস পেয়ে প্রায় ১০০০ বর্গমাইলে সীমিত হয়।

১৮৬৪ সালে একজন বনতত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের মাধ্যমে বাংলার বন-সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়। বন সংরক্ষণের আদেশ সম্বলিত প্রথম বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় ১৮৬৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর। ১৮৭২ সালের মধ্যে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা ও আসামে সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে প্রায় ৬০,০০০ বর্গমাইল এলাকা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়।

কিছু এলাকার পানিনির্গম ব্যবস্থা নির্মাণ ও অন্যান্য কমকান্ড সম্পর্কিত আইন পুনর্বিন্যাস ও সংশোধনের উদ্দেশ্যে কৃষি ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা উন্নয়ন আইন ১৯২০ প্রণীত হয়। বাংলাদেশে কীটপতঙ্গের বিস্তার রোধের লক্ষ্যে কৃষিকীট অধ্যাদেশ ১৯৬২ ঘোষণা করা হয়। এ আইন সরকারকে যেকোন শস্যচাষ পদ্ধতি নিষিদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতা দিয়েছে, যা সাধারণভাবে বা একটি নির্দিষ্ট শস্যের কীটপতঙ্গ বিস্তারের সহায়ক। এই একই উদ্দেশ্যে সরকার কোনো কীটদংষ্ট শস্য পরিবহণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করতে পারে। কীটনাশক আমদানি, তৈরি, বিক্রয়, বিতরণ ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে কৃষিতে ব্যবহার্য কীটনাশক অধ্যাদেশ ১৯৭১ প্রণয়ন করা হয়।

মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের জন্য মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ প্রণয়ন করা হয়। এ আইনের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট আকারের নিচে ও নির্দিষ্ট প্রজাতির মাছ ধরা, বহন, স্থানান্তরণ, বিক্রয় বা বিনিময়ের জন্য প্রদর্শন বা সংরক্ষণ সমগ্র বাংলাদেশে বা দেশের যেকোন অংশে সরকার নিষিদ্ধ করতে পারে।

আঞ্চলিক উপকূলীয় জলসীমা আইন ১৯৭৪ দ্বারা সরকার বাংলাদেশের জলসীমা ও অর্থনৈতিক এলাকার যে ঘোষণা দেয় এবং অন্য যেকোন সামুদ্রিক জলসীমা যেখানে সামুদ্রিক জীবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও উন্নয়নের ব্যাপারে আইনত তার এখতিয়ার আছে বা থাকতে পারে বলে দাবি করে সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এ সেগুলোও অন্তর্ভুক্ত করে। এ আইনের মাধ্যমে সরকার মৎস্য ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন পরিকল্পনার চাহিদানুযায়ী বাংলাদেশের মৎস্য এলাকায় বিচরণকারী মাছ-ধরা জাহাজের আকার, ধরন ও সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। এ অধ্যাদেশের ২৮ নং ধারা মোতাবেক সরকার বাংলাদেশের মৎস্য এলাকার ও সংলগ্ন বা চারদিকের ভূমিকে সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করতে পারে।

বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আদেশ ১৯৭৩ শিকারযোগ্য ও সংরক্ষিত প্রাণী সম্পর্কিত একটি আদেশ। এ আদেশে অনুমতিপত্র সাপেক্ষে শিকারযোগ্য প্রাণী বধ বা বন্দি করা যায়, কিন্তু সংরক্ষিত প্রাণী শিকার, বধ বা বন্দি করা নিষিদ্ধ; তবে জীবন, শস্য বা গবাদিপশু রক্ষার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটতে পারে। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষার উদ্দেশ্যে প্রণীত আইনের মধ্যে আছে ক্ষতিকর ধোঁয়া আইন ১৯০৫, কিশোর ধূমপান আইন ১৯১৯, প্রেক্ষাগ্রহে ধূমপান নিষিদ্ধকরণ আইন ১৯৫২, ইট-পোড়ানোর আইন ১৯৮৯, বিশুদ্ধ খাদ্য অধ্যাদেশ ১৯৫৯, পাবলিক পার্ক বা উদ্যান আইন ১৯০৪, অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৫২।

১৯০৫ সালের ধোঁয়াঘটিত উপদ্রব আইনের আওতায় সরকার যেকোন নির্দিষ্ট এলাকায় নিষিদ্ধ করতে পারে: (ক) বিশেষ শ্রেণীর ইটের টালি বা চুনভাটি নির্মাণ বা ব্যবহার; (খ) ইট তৈরির পাঁজা বা চুল্লি নির্মাণ ও ব্যবহার; (গ) আকরিক বা খনিজ গলান, লোহা বা অন্য কোনো ধাতু ঢালাই পুডিং বা রোলিং অথবা ঢালাইহীন না-করা লৌহপিন্ড থেকে পেটা-লোহা প্রস্ত্তত; (ঘ) চুল্লি বা বিশেষ যন্ত্র ছাড়া কোক-কয়লা প্রস্ত্তত। কোনো চুল্লি থেকে এ আইনের ধারায় অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে ধোঁয়া অধিক গাঢ় হলে, কম উচ্চতা থেকেও অধিক সময় নির্গত হলে মালিকের প্রথম দন্ড ৫০ টাকা, দ্বিতীয় দন্ড ১০০ টাকা ও পরবর্তী যেকোন দন্ডে ২০০ টাকা জরিমানা হতে পারে। আইনটি বলবৎ করার জন্য একটি কমিশন গঠন এবং ধোঁয়াঘটিত উপদ্রব যাচাইয়ের জন্য একজন মুখ্য পরিদর্শক ও একাধিক সহকারি পরিদর্শক নিয়োগের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

ইট-পোড়ানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন ১৯৮৯ অনুসারে ইট পোড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে অনুমোদনপত্র নিতে হয়। ইটের ভাটিতে জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং নিয়মভঙ্গ করলে অনুমোদনপত্র বাতিল সহ ৫০,০০০ টাকা জরিমানা বা ৬ মাসের জেল হতে পারে।

বিশুদ্ধ খাদ্য অধ্যাদেশ ১৯৫৯-এ খাদ্য ও খাদ্য-সংশ্লিষ্ট বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। পানি কিংবা ঔষধ ছাড়া মানুষ যেসকল বস্ত্ত খাদ্য ও পানীয় হিসেবে গ্রহণ করে তাই খাদ্য। এসকল খাদ্যের মধ্যে রয়েছে বরফ ও কোমল পানীয় এবং (ক) যেকোন দ্রব্য যা খাদ্য প্রস্ত্ততে ব্যবহূত; (খ) যেকোন সুগন্ধী বস্ত্ত বা মসলা এবং (গ) যেকোন রঙিন বস্ত্ত যা খাদ্যে ব্যবহার্য। এই অধ্যাদেশের ৬নং ধারায় ভেজাল খাদ্যের বেচাকেনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১৯নং ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, এমন কোনো খাদ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার কিংবা তাতে জড়িত থাকা নিষিদ্ধ যা কোনো খাদ্যের প্রকৃতি, বস্ত্ত ও গুণ সম্পর্কে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এ অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য রোগবিস্তার প্রতিরোধ এবং এতে বলা হয়েছে যে কুষ্ঠ, যক্ষ্মা বা সরকার বিজ্ঞপিত অন্য যেকোন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কোনো খাদ্যবস্ত্ত প্রস্ত্তত বা বিক্রি করতে কিংবা অন্যের বিক্রেয় অনুরূপ কোনো পণ্য স্বেচ্ছায় স্পর্শ করতে পারবে না। এ অধ্যাদেশের একটি লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো তা ক্রেতা কর্তৃক যেকোন পণ্যের মান জিজ্ঞাসার অধিকার অনুমোদন করে। এ অধ্যাদেশ ভোক্তাকে এমন অধিকার দেয় যে, খাদ্যবস্ত্তর যেকোন ক্রেতা নির্ধারিত ফি প্রদানের মাধ্যমে সেই খাদ্যের নমুনা পরীক্ষা করাতে অথবা ক্রয়-এলাকার নিযুক্ত সরকারি বিশ্লেষককে দিয়ে তা পরীক্ষা করাতে এবং তফসিল বর্ণিত ফরমে ওই বিশ্লেষকের কাছ থেকে পরীক্ষার ফল উল্লেখসহ একটি সার্টিফিকেট পেতে পারে।

পাবলিক পার্ক আইন ১৯০৪ যেকোন নির্দিষ্ট পার্ক বা বাগানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এ আইন যেকোন পার্কের ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ এবং জনসাধারণের দ্বারা সেগুলোর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের নিয়মাবলি তৈরির ক্ষমতা সরকারকে প্রদান করে। এসব আইন পার্কে জন্মেছে এমন কিছু তোলা বা সংগ্রহ, গাছ বা ডালপালা ভাঙ্গা, গাছে নাম লেখা ও কোনো চিহ্নাদি খোদাই করা, কোনো দালানকোঠা আসবাব বা স্মৃতিসৌধের বিকৃতি ঘটানো, গাছের নামফলক অপসারণ বা বিকৃতকরণ নিষিদ্ধ করতে পারে। অবশ্য শহরবাসীদের জন্য আরও উন্মুক্ত স্থানের ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে দেশে এ ধরনের আইন এখনও তৈরি হয় নি। সচিত্র বা অন্য কোনভাবে প্রকাশিত যেকোন বিজ্ঞপ্তি, চিহ্ন, প্রদর্শনী, ঘোষণা, বিল, হ্যান্ডবিল, সার্কুলার বা প্রচারপত্র অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৫২-এর অন্তর্ভুক্ত। এ আইনে কোনো যৌনরোগ, যৌন-বৈকল্য, অনিয়মিত রজঃস্রাব বা অন্য কোনো নির্দিষ্ট রোগ, দুর্বলতা বা পাগলামির জন্য কোনো ব্যক্তির চিকিৎসা বা চিকিৎসা প্রদান কিংবা ওইসব রোগের ঔষধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো উপদেশের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ।

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত ২০টি আন্তর্জাতিক কনভেনশন, চুক্তি ও প্রটোকলে স্বাক্ষরদাতা। এগুলোর কয়েকটি স্বীকৃতি পেয়েছে এবং অবশিষ্টগুলো স্বীকৃতির অপেক্ষায় রয়েছে।  [এস রিজওয়ানা হাসান]