দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরো

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরো (Disaster Management Bureau)  দুর্যোগ সংক্রান্ত কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় সাধন, গণসচেতনতা বৃদ্ধি, তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা, গবেষণাকর্ম পরিচালনা, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে দুর্যোগ প্রস্ত্ততি ও প্রশমন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা দান প্রভৃতি উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৯৩ সালে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি ব্যুরো। ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ  বন্যা সংঘটিত হওয়ার পর মাত্র আড়াই বছরের ব্যবধানে ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলে সংঘটিত প্রলয়ংকরী  ঘূর্ণিঝড় ও  জলোচ্ছ্বাস হওয়ার পর প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিপর্যয় থেকে রক্ষার জন্য দেশে ও বিদেশে যে তাগিদ অনুভূত হয়েছিল তারই ফলশ্রুতিতে এ ব্যুরো গঠিত হয়।

দুর্যোগের কারণে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসসহ দুর্যোগ উত্তরকালে জাতীয় সম্পদের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে স্বনির্ভরতা অর্জন ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করাই এর মূল লক্ষ্য। এর প্রধান কার্যাবলী হলো: দুর্যোগপ্রবণ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দুর্যোগ প্রস্ত্ততি প্রণয়ন; গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মপরিকল্পনা কর্মসূচি অব্যাহত রাখা; সার্বিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকান্ডের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা; দুর্যোগ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও তথ্য ভান্ডার গড়ে তোলা এবং    দুর্যোগ বিষয়ে সরকারের বিশেষজ্ঞ দপ্তর হিসেবে দায়িত্ব পালন ইত্যাদি।

ব্যুরো প্রধান হিসেবে একজন মহাপরিচালক সরাসরি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে থেকে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রাখেন। বিদেশি এবং স্থানীয় পরামর্শক এবং চারজন পরিচালক সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাঁকে সহায়তা দান করেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরোর ব্যয় সংস্থান হয় বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব বাজেট এবং ইউএনডিপি ও ইউনিসেফের আর্থিক সহায়তা থেকে।

মাঠ পর্যায়ে ব্যুরোর নিজস্ব কোনো সাংগঠনিক স্থাপনা বা কাঠামো নেই; জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জেলা প্রশাসক, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান-এর সহায়তায় কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এনজিওদের সঙ্গে এ প্রতিষ্ঠানের যৌথ কর্মসূচি রয়েছে।  [মাসুদ হাসান চৌধুরী]