ক্রিশ্চিয়ান মিশন হাসপাতাল

ক্রিশ্চিয়ান মিশন হাসপাতাল  ১৮৮৭ সালে ইংল্যান্ডের প্রেসবাইটেরিয়ান চার্চের চিকিৎসা বিষয়ক মিশনারীদের দ্বারা উত্তরবঙ্গে ৫ শয্যার একটি হাসপাতাল হিসেবে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীকালে ১৮৯০ সালে এটি রাজশাহী শহরে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৫৭ সালে একে ১০০ শয্যার চিকিৎসা কেন্দ্রে উন্নীত করা হয়। ১৯৭৪ সালে শিশুদের জন্য ২০ শয্যার একটি ওয়ার্ড সংযোজনের ফলে এর সর্বমোট শয্যা সংখ্যা দাঁড়ায় ১২০ এবং উত্তরণের পরবর্তী সময়ে এ হাসপাতালটি সরকারি অনুমোদন লাভ করে। জনসাধারণকে বহির্বিভাগের সেবা প্রদানের জন্য সপ্তাহের ছয় দিন হাসপাতালটি খোলা থাকে।

১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এ হাসপাতালে একটি চক্ষু ক্লিনিক খোলা হয়েছে। চিকিৎসা প্রদানের জন্য এ হাসপাতালে রয়েছে চারটি ওয়ার্ড; দুটি ওয়ার্ড সাধারণ চিকিৎসা এবং শৈল্যচিকিৎসার, একটি ওয়ার্ড শিশুদের জন্য এবং অন্যটি মায়েদের জন্য।

১৯৭৩ সালে এ হাসপাতালের সেবিকা ইনস্টিটিউট একটি পৃথক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারি অনুমোদন লাভ করে। বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের পাঠ্যসূচি অনুযায়ী এর প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালিত হয়। এটি তিন বছরের সাধারণ সেবা প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। শুধু মেয়েদেরকে অতিরিক্ত এক বছর ধাত্রীবিদ্যার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। হাসপাতাল অংশে ১১ জন চিকিৎসকসহ মোট ৬৭ জন কর্মরত রয়েছেন। তাছাড়া প্রায় ২৬ জন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচিতে নিয়োজিত আছেন। নার্সিং ইনস্টিটিউটে একজন অধ্যক্ষসহ সর্বমোট ১৮ জন কর্মচারী রয়েছেন। এ হাসপাতালের প্রধান নির্বাহি একজন মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট।  [স্বপন কুমার হালদার ও নৃপেন ঘোষ]