উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়

উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী বাংলা মিডিয়াম স্কুল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান টার্নার সাহেবের স্ত্রী এস.আর.এল মারিয়া ১৯৫৫ সালে উপাচার্যের বাসভবন সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে একটি টিন সেডে একটি ইংলিশ প্রিপারেটরি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭২ সালে স্কুলটির নাম হয় উদয়ন বিদ্যালয়। এ সময়ে শিল্পপতি আনোয়ার হোসেন নিজ ব্যয়ে বিদ্যালয়টির জন্য একটি পাকা দোতলা ভবন নির্মাণ করে দেন। ১৯৭৫ সালে এটি উচ্চ বিদ্যালয় ও ১৯৯৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। জন্মলগ্ন থেকেই বিদ্যালয়টি  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা থেকে স্বাধীনভাবে নিজ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। শিক্ষা, শৃংখলা ও ফলাফলের দিক থেকে বিদ্যালয়টি বর্তমানে দেশের প্রথম গ্রেডের স্কুলগুলোর সারিতে অবস্থান করছে এবং বিদ্যালয়টি সরকারের এমপিওভুক্ত। ১৯৭৭ সালে বিদ্যালয়টি ঢাকা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ করে এবং তখন থেকে বোর্ডের বিধি অনুযায়ী গঠিত কমিটি কর্তৃক পরিচালিত হয়ে আসছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ছাত্রীহল নির্মাণের কারণে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করার প্রয়োজন হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ১৯৮৫ সালে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করার জন্য ফুলার রোডের তেঁতুলতলায় ৩০ হাজার বর্গফুট জমি বরাদ্দ দেয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-এর (BUET) স্থাপত্য ডিজাইনার ড. শামসুল ওয়ারেস ও সিভিল প্রকৌশলির সহায়তায় একটি প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদারি ফার্মের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ শেষ করে। পাঁচতলা ভবনবিশিষ্ট উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৬,৯৬০ বর্গফুট এলাকার উপর প্রতিষ্ঠিত এবং এর ৫২টি কক্ষ রয়েছে। স্কুল ভবনটির নির্মাণসহ স্থানান্তরকরণ এবং আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়বাবদ ব্যয় ১০ কোটি টাকার অধিক। বিদ্যালয়ের নিজ তহবিল থেকে এই ব্যয় নির্বাহ করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। সকল শিক্ষার্থীর জন্য উম্মুক্ত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়।

শিক্ষক সংখ্যা স্কুল পর্যায়ে ৫৪ এবং কলেজ পর্যায়ে ১৭ জন। ২ জন সহকারী প্রধান শিক্ষক কর্মরত আছেন। অফিস স্টাফ ৫ এবং এমএলএসএস ১৬ জন। বিদ্যালয়ে স্কাউট ও গার্লস গাইড কার্যক্রম রয়েছে। বিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যান্ডদল আছে। খেলা, প্রদর্শনী, মিলনমেলা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফলাফল সন্তোষজনক। বর্তমানে খালেদা হাবীব বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন।  [খালেদা হাবীব]