ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, দি

ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, দি (ইউপিএল) ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত একটি শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা সংস্থা। ১৯৭৫ সালে এটি বাংলাদেশে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস (ওইউপি)-এর প্রকাশনা কার্যক্রমের দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং অধিগ্রহণকৃত ওইউপির পাকিস্তান ও ভারতের শাখাগুলির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে ইউপিএল সহযোগিতা করে আসছে। ইউপিএলের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় এবং চট্টগ্রামে এর কার্যালয় রয়েছে। প্রকাশনা সংস্থাটি বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় শিক্ষামূলক, একাডেমিক ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ গ্রন্থ প্রকাশ করে।

ইউপিএল ১৯৮১ সাল থেকে ১৬ বার জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র পুরস্কার জিতেছে। ইউপিএল বই রপ্তানিকারী প্রথম বাংলাদেশী প্রকাশক এবং এর বইগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির লাইব্রেরিতে স্থান পেয়েছে। ইউপিএল ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৫,০০০ টি বই প্রকাশ করেছে। ইউপিএল বাংলাদেশে যুক্তরাজ্য, ভারত ও পাকিস্তানের বই বিতরণ করে। ওইউপি এবং এর শাখাগুলির সাথে যৌথ প্রকাশনা কর্মসূচির পাশাপাশি, ইউপিএল যুক্তরাজ্যের জেড বুকস, ইন্টারমিডিয়েট টেকনোলজি পাবলিকেশন্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভিউ প্রেস, ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি প্রেস ও কুমারিয়ান প্রেস এবং ভারতের সেইজ, ম্যাকমিলান, মনোহর বুকস-এর সাথে যৌথভাবে গ্রন্থ প্রকাশ করে।

ইউপিএল-এর সবচেয়ে পরিচিত উদ্যোগ হলো রোড টু বাংলাদেশ সিরিজ। এটি ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে শুরু হয়েছিল, যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর একটি চলমান গ্রন্থ সিরিজ যা এই মহান ঘটনার বিভিন্ন আঙ্গিক তুলে ধরে। এই সিরিজের বইগুলি মানগতভাবে খুবই উন্নত। ২০১৭ সালে ইউপিএল অ্যাডপ্ট-এ-লাইব্রেরি প্রোগ্রাম শুরু করে যার লক্ষ্য বাংলাদেশের তরুণদের পড়ার অভ্যাস উন্নত করা। লিফট আপ এশিয়া এবং এশিয়ালোকা ট্রাস্টের সহযোগিতায়, সারাদেশের পাঠকদের কাছে বইয়ের প্রাপ্যতা বাড়ানোর জন্য এই প্রোগ্রামটি চালু করা হয়েছে।

ইউপিএল-এর প্রকাশক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ওইউপি, পাকিস্তান শাখার সম্পাদক ছিলেন। ২০২১ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ইউপিএল-এর কর্ণধার হিসেবে বাংলাদেশে প্রকাশনা উন্নয়ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অবদান রেখেছিলেন। তার কন্যা, মাহরুখ মহিউদ্দিন বর্তমানে ইউপিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। [খন্দকার বজলুল হক]

তথ্যসূত্র ইউপিএল ওয়েবসাইট; ডেইলি স্টার। ‘প্রকাশনার জগতে একজন অতুলনীয় প্রবীণপুরুষ’, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সংগৃহীত ২২ আগস্ট ২০২০।