হোসেনাবাদ

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২৩:১৯, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

হোসেনাবাদ  অধুনা বিলুপ্ত তিনটি শহরের নাম। হোসেনশাহী সুলতান আলাউদ্দীন  হোসেন শাহএর নামানুসারে এ শহরগুলির নামকরণ করা হয়েছে। এগুলির মধ্যে হোসেনাবাদ বুজুর্গ (বড় হোসেনাবাদ) বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ জেলায় অবস্থিত এবং এটিকে একই রাজ্যের মুর্শিদাবাদ ও ২৪ পরগণা জেলায় অবস্থিত হোসেনাবাদ নামের অন্য দুটি শহর থেকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে হবে। শেষোক্ত দুটি শহর সম্পর্কে লোকগাঁথা ছাড়া খুব কমই তথ্য পাওয়া যায়। হোসেনাবাদ বুজুর্গ শহরটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সুলতান আলাউদ্দীন হোসেন শাহ এবং এ শহর সুলতান আলাউদ্দীন হোসেন শাহ ও তাঁর উত্তরসূরি নাসিরউদ্দীন  নুসরত শাহ, ফিরুজ শাহ এবং  গিয়াসউদ্দীন মাহমুদ শাহএর আমলে সমৃদ্ধিশালী হয়ে ওঠে। আলাউদ্দীন হোসেন শাহের  মুদ্রা ও শিলালিপিতে এই শহরের নাম পাওয়া যায়, তবে পরবর্তী তিন সুলতানের কেবল মুদ্রাতেই নামটি পাওয়া গেছে। হোসেনাবাদ শহরটি গৌড়-লখনৌতি নগরীর সাথে অভিন্ন কিনা তা নিশ্চয় করে বলা যায় না। তবে যদি অভিন্ন হয়েই থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে হোসেন শাহের নামানুসারে শহরটি নতুন নামকরণ করা হয়েছিল অথবা সুলতান নিজে নগরীর উপকণ্ঠে এ শহর নির্মাণ করেছিলেন। এখানে দ্বিতীয় ধারনাটিই বেশি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়।

গোলাম হোসেন সলিমের মতে হোসেন শাহ গৌড়ের নিকটবর্তী  একডালা নামক স্থানে তাঁর রাজধানী স্থানান্তর করেছিলেন। এই একডালা  গৌড় নগরীর উত্তর-পশ্চিম প্রান্তদেশের রামকেলি গ্রামের নিকটে অবস্থিত ছিল। সম্ভবত হোসেন শাহ পরবর্তীকালে এই একডালারই নাম রেখেছিলেন হোসেনাবাদ। গৌড়-লখনৌতির প্রাচীরবেষ্টিত নগরী থেকে উত্তরে বেশ খানিকটা দূরে সুলতান হোসেন শাহ কর্তৃক নির্মিত  বড় সোনা মসজিদএর অস্তিত্ব ইঙ্গিত দেয় যে, এ এলাকাটি একসময় সমৃদ্ধশালী ছিল। এই বড় সোনা মসজিদ, যার অস্তিত্ব এখন আর নেই, হোসেনাবাদ শহরের প্রধান আকর্ষণ ছিল বলে মনে হয়। সম্প্রতি আবিষ্কৃত এবং মালদহ স্টেট মিউজিয়ামে রক্ষিত একটি  শিলালিপি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ দেয় যে, আলাউদ্দীন হোসেন শাহই বড় সোনা মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন, তাঁর পুত্র নাসিরউদ্দীন নুসরাত শাহ নয়।  [এ.বি.এম হোসেন]