হালিশহর থানা

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৭:১৮, ২৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

হালিশহর থানা (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন) আয়তন ১১.৬৩ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°১৯´ থেকে ২২°২০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৪৫´ থেকে ৯১°৪৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে পাহাড়তলী থানা, দক্ষিণে বন্দর থানা, পূর্বে ডবলমুরিং থানা, পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর।

জনসংখ্যা ১৪৬৯৮৯; পুরুষ ৭৮৩৩৬, মহিলা ৬৮৬৫৩। মুসলিম ১৩৬৪৭, হিন্দু ৮৪২৫, বৌদ্ধ ২১৫, খ্রিস্টান ২৮৮ এবং অন্যান্য ৪১।

প্রশাসন ২০০০ সালে ডবলমুরিং ও পাহাড়তলী থানার অংশ নিয়ে হালিশহর থানা গঠিত হয়।

থানা
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন মহল্লা জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
২+২ (আংশিক) ২৭ ১৪৬৯৮৯ - ১২৬৩৯ ৬১.১০ -
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন
ওয়ার্ড নম্বর ও ইউনিয়ন আয়তন (বর্গ কিমি) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
ওয়ার্ড  নং ১১ (আংশিক) ১.৯৯ ১১৫৯৭ ১০১৩৭ ৬৫.১০
ওয়ার্ড  নং ২৪ (আংশিক) ২.৫৯ ২১৬৬৩ ১৮৯৫৫ ৬৬.৬০
ওয়ার্ড  নং ২৫ ১.৮১ ২৩৮৮৩ ২০৯৬২ ৬০.০০
ওয়ার্ড  নং ২৬ ৫.২৪ ২১১৯৩ ১৮৫৯৯ ৬০.৭০

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন বধ্যভূমি ১ (আবদপাড়া বাসস্টেশন)।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৬৩.১%; পুরুষ ৬৭.৩%, মহিলা ৫৮.৯১%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ, এসওএস ট্রেড স্কুল, ফিজিক্যাল ট্রেনিং কলেজ।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি সেন্টার ৭।

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বর্ডার সিকিউরিটি গার্ড সেক্টর হেড কোয়ার্টার, আর্টিলারী ট্রেনিং সেন্টার এবং স্কুল, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইন, এস ও এস শিশু পল্লী এবং বিহারী ক্যাম্প।

বিনোদন কেন্দ্র ফুল চৌধুরী পাড়া সংলগ্ন সমুদ্র সৈকত।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ২.৩২%, অকৃষি শ্রমিক ২.৫৮%, শিল্প ২.৮%, ব্যবসা ১৯.২২%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১৪.২৭%, নির্মাণ ৫.৩৬%, ধর্মীয় সেবা ০.৩%, চাকরি ৩৪.৬১%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৪.৬৯% এবং অন্যান্য ১৩.৮৫%।

শিল্প ও কলকারখানা পোশাক শিল্প, চুন ফ্যাক্টরি, মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প।

হাটবাজার ও শপিং সেন্টার  বড়পুল বাজার, ছোটপুল বাজার, আনন্দীপুর বাজার, ফইল্যাথলী বাজার।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ থানার সবক’টি ওয়ার্ড বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৯১.২৬% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৫৫.৬৩%, পুকুর ১.৩৭%, ট্যাপ ৪১.১৫% এবং অন্যান্য ১.৮৫%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা ৭৮.১৮% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২০.০১% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১.৮১% পরিবারের  কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নাই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র আগ্রাবাদ একসেস রোড জেনারেল হাসপাতাল, ডিও পয়েন্ট হাসপাতাল, রাজ ডেন্টাল ক্লিনিক, রয়েল চক্ষু হাসপাতাল উল্লেখযোগ্য।

এনজিও ব্র্যাক, আশা।  [মোঃ আব্দুল বাতেন]

তথ্যসূত্র  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।