স্লাগ

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২৩:১৪, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

স্লাগ (Slug)  Stylommatophora বগের্র Gastropoda শ্রেণীভুক্ত স্থলচর শামুক, যাদের দেহে খোলক নেই বা থাকলেও তা হ্রাসপ্রাপ্ত। সব স্লাগই উভলিঙ্গ, খোলক উল্টোভাবে পাকানো, ম্যান্টল-গহবর ডান দিক বরাবর নিচে শেষপর্যন্ত বিলুপ্ত। স্লাগের মাথা স্পষ্ট, তাতে দুই জোড়া সঙ্কোচনক্ষম কর্ষিকা থাকে, পিছনের জোড়া সামনের জোড়া থেকে অপেক্ষাকৃত লম্বা এবং  প্রতিটির শীর্ষে চোখ অবস্থিত। স্লাগরা সাধারণত রাতে সক্রিয় ও নানা ধরনের গাছপালা খায়। দিনের বেলায় এরা মাটির গর্তে, খড় ও আবর্জনার নিচে, ডাস্টবিন বা ইটের তলায় বা নুড়ির ফাঁকে লুকিয়ে থাকে। এরা নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের কৃষি ও উদ্যানের ক্ষতিকর শামুক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ, উপউষ্ণমন্ডলীয় দেশেও এরা বিস্তৃত। যথাযথ বংশবৃদ্ধির জন্য ঠান্ডা ও আর্দ্র পরিবেশই এদের পছন্দনীয়। পেশিবহুল পায়ের উপর ভর দিয়ে চলে এবং চলার পথে দেহনিঃসৃত আঠার রেখা এঁকে যায়।

স্লাগ বহু রকমের শস্য ও উদ্যানের ক্ষতি করে, তবে পশ্চিম ইউরোপে আলু ও গমের জন্য এরা বড় ধরনের হুমকি। বাংলাদেশে শনাক্তকৃত এদের প্রজাতিগুলির মধ্যে উলে­খযোগ্য Girasia burtii (Ariphantidae), Incillaria monticola (Philomycidae), Indosuccinea semiserica (Succinidae), Semperula birminica (Veronicellidae) এবং Doris (Doridae)। G. burtii ও I. monticola সিলেট ও মৌলভীবাজারের পাহাড়ি বনাঞ্চলে জন্মানো গাছপালার নরম পাতা ও বিভিন্ন ধরনের সবুজ ঘাস খায়। নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কুমিল­া ও সিলেটে I. semiserica প্রজাতির শামুক বিপুল সংখ্যায় দেখা যায়। S. birminica প্রজাতির শামুক আছে বাংলাদেশের সর্বত্র। স্লাগরা তাদের শক্তিশালী র‌্যাডুলা দিয়ে উদ্ভিদের মূল ও বায়বীয় উভয় অংশই খেয়ে অর্থনৈতিক ক্ষতি করে।  [মো. সরোয়ার জাহান]