সাইনোসাইটিস

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২৩:০৭, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

সাইনোসাইটিস  নাসিকার পার্শ্বস্থ অস্থিসমূহের অভ্যন্তরে এক বা একাধিক সাইনাসের প্রদাহ। এটি সচরাচর দীর্ঘস্থায়ী এলার্জিক রাইনিটিস (Chronic allergic rhinitis) কিংবা শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগে সংক্রমণ হলে দেখা দেয়। সাইনোসাইটিসের উপসর্গগুলি হলো: মাথা ভারী বোধ করা, মাথা ব্যথা, মুখমন্ডলে ব্যথা ও স্পর্শকাতরতা। এ রোগে প্রায়ই নাক দিয়ে তরল বেরুতে দেখা যায়। ফলে এ রোগকে সাধারণত সর্দি-কাশি বলে ভুল করার সম্ভাবনা থাকে। এক্সরে (X-Ray) করে এ রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। এক্সরে-তে সাইনাসের গর্তসমূহে ঘন শে­ষ্মার কারণে অস্পষ্টতা পরিলক্ষিত হয়।

সাইনোসাইটিস বাংলাদেশে খুবই সাধারণ একটি রোগ। এ রোগে অল্প বয়সীরা খুব দ্রুত আক্রান্ত হয়। শীত ও বর্ষাকালে এর প্রকোপ অধিক হারে দেখা যায়। সাইনোসাইটিস খুব মারাত্মক কোনো রোগ নয়। কিন্তু এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির ভোগান্তির শেষ থাকে না। সাইনোসাইটিসজনিত মাথা ব্যথাকে প্রায়ই টেনশনের কারণে বলে মনে করা হয়। বায়ূদূষণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিণতিতে সাইনোসাইটিসসহ শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগের সংক্রমণ বাংলাদেশে লক্ষণীয় স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে। সাইনোসাইটিসের চিকিৎসায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং সাইনাসের অবরুদ্ধ অবস্থা দূর করার জন্য Decongestant ব্যবহার করা হয়। কর্টিকোস্টেরয়ডের (Corticosteroids) মতো কিছু ঔষধ অথবা প্রদাহ প্রতিরোধক উপাদানসমৃদ্ধ নাকে ব্যবহার করার স্প্রে এ ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। ক্রণিক সাইনোসাইটিস চিকিৎসায় অধুনা Functional Endoscopic Sinus Surgery/FESS ফলপ্রসু প্রমাণিত। বাংলাদেশেও এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা চালু হয়েছে।  [মো. সিরাজুল ইসলাম]