সাইকাড

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২৩:০৭, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

সাইকাড (Cycad)  Cycadaceae গোত্রের উষ্ণমন্ডলীয় বা উপ-উষ্ণমন্ডলীয় নগ্নবীজী উদ্ভিদ। দৃশ্যত পাইন অপেক্ষা পামগাছের নিকট জ্ঞাতি। কান্ড সাধারণত শাখাবিহীন, পুরানো পত্রমূলে ঢাকা, উপরের দিকে চামড়ার মতো শক্ত পাতার একটি গুচ্ছ থাকে। ভারত উপমহাদেশে Cycas প্রজাতির সংখ্যা পাঁচ। ট্রায়াসিক যুগে (প্রায় ১৮ কোটি ২ লক্ষ বছর আগে) উদ্ভব হয়ে মেসোজোয়িক (Mesozoic) সময়ে এদের সব জ্ঞাতি বিলুপ্ত হওয়ায় সাইকাসকে ‘জীবিত জীবাশ্ম’ বলা হয়। এই চিরসবুজ ও বহুবর্ষজীবী এ উদ্ভিদের বৃদ্ধি এতই মন্থর যে, তিন মিটার উঁচু হতে ৫০-১০০ বছর সময় লাগে। কান্ডের আগায় থাকে পুরুষ বা স্ত্রী মঞ্জরি (strobilus), তাতে থাকে ঘনবদ্ধ রেণুপত্র (ফুল)। স্ট্রবিলাসের সূচনা হয় এপিল-মে মাসে। নিষেকের পর বীজে ভ্রূণ পরিণত হতে লাগে প্রায় এক বছর। বীজ বড়, লাল বা কমলা রঙের, শাঁসালো, তাতে আকৃষ্ট পাখি ও কাঠবিড়ালীরা বীজ ছড়ায়। বাংলাদেশের একমাত্র প্রজাতি Cycas pectinata, বিক্ষিপ্তভাবে পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায়, বিশেষত সীতাকুন্ড ও রাঙ্গামাটিতে জন্মে। টবে বা বাগানে লাগানো আরেকটি প্রজাতিও বাংলাদেশে দেখা যায়, সেটি ভারতীয় প্রজাতি Cycas circinalis। আবাস স্থান বিনষ্টির ফলে Cycas এখন এক বিপন্ন উদ্ভিদ। অধিকন্তু এগুলির স্ত্রী ও পুরুষ মঞ্জরি লোকে তুলে নিয়ে ঔষধ হিসেবে বাজারে বিক্রি করে।  [মোস্তফা কামাল পাশা]