শিল্পকলা শিক্ষা

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২৩:০৩, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

শিল্পকলা শিক্ষা (উপনিবেশিক যুগ)  শিল্পকলার জগতে উপনিবেশিক শাসনের প্রভাব বিশেষভাবে অনুভূত হয় শিল্পকলা শিক্ষার আয়োজনের মধ্য দিয়ে। ১৮৭৬ সাল নাগাদ ব্রিটিশ সরকার মাদ্রাজ, বোম্বাই (অধুনা মুম্বাই) ও কলকাতায় তিনটি বড় আর্ট স্কুলসহ বাইশটি কারিগরি শিল্পকলা বিদ্যালয় স্থাপন করে। ১৮৭৮ সালের দিকে এরকম আরও একটি বিদ্যালয় খোলা হয় লাহোরে।

ব্রিটিশ সরকারের বিভিন্ন রিপোর্ট ও নিবার্হী পদক্ষেপ থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, ভারতীয় শিল্পকলার প্রতি এই সরকারের নীতি ছিল বিরুদ্ধ ভাবাপন্ন। প্রথম দিকে ভারতীয় শিল্পকলার অস্তিত্বকেই সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হয়। সাধারণ শিক্ষার ক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গদের শ্রেষ্ঠত্বের বর্ণবাদী মনোভাব এক ধরনের পিতৃসুলভ প্রবণতা প্রতিষ্ঠায় প্রয়াসী হয়, যা টমাস বেবিংটন মেকলের বিভিন্ন বিবৃতিতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এতে ভারতীয় শৌখিন কারুশিল্পের উৎপাদন হ্রাসে ব্রিটিশ জনগণের উদ্বেগকে (উনিশ শতকের পঞ্চাশের দশক নাগাদ) আংশিকভাবে গোপন করা হয়। ১৮৫১ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীতে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, ব্রিটিশ গোঁড়া বিশেষজ্ঞদের অভিমত যা-ই হোক না কেন, ইউরোপীয় চারুকলা পন্ডিতগণ ভারতীয় শিল্পকলায় প্রশংসনীয় অনেক কিছুই দেখতে পেয়েছেন। তাঁরা ভারতীয় কারিগরদের উৎকৃষ্ট কলাকৌশল ও দক্ষতার প্রতি ইউরোপীয় কারিগরদের মনোযোগ আকর্ষণ করেন।

'History of British India' গ্রন্থের লেখক জেমস মিল ভারতের ফাইন আর্ট সম্পর্কে নিচু ধারণা পোষণ করলেও তিনি, বিশেষত বয়নশিল্পে, ভারতীয় কারিগরদের দক্ষতার প্রশংসা করেন। তিনি বলেছেন, ‘তুলনামূলকভাবে ভারতীয় শিল্পকলা অনাকর্ষণীয়, অস্বাভাবিক ও অশিষ্ট।’ তাঁর এই ঘোষণা ভারত সরকারের শিল্পকলা-বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়নে নিশ্চিত প্রভাব ফেলেছিল। ‘শিল্পকলা’ ও ‘কারুশিল্প’-এর মধ্যে তিনি পার্থক্য টেনেছিলেন এই বলে যে, শিল্পকলার জন্য প্রয়োজন ‘বুদ্ধিবৃত্তির অনুশীলন’, আর কারুশিল্পের জন্য প্রয়োজন শুধুই ‘দক্ষতা’। তিনি আরও বলেছেন যে, ভারতের ঐতিহ্যবাহী শিল্পিদের ‘শিল্পকলার ভাষা সম্বন্ধে কোন বৈজ্ঞানিক জ্ঞান’ ছিল না এবং সেই কারণে তাঁরা ছিলেন ‘প্রকৃতির মায়া সৃজনে অক্ষম’। ভারতের শিল্পকলা ও শিল্পিদের সম্বন্ধে তাঁর এই দুই মন্তব্য উনিশ শতকের নববইয়ের দশক পর্যন্ত শিল্পকলা বিদ্যালয়গুলির পাঠক্রম প্রণয়নের ক্ষেত্রে দুটি মৌলিক নির্ধারক হিসেবে কাজ করেছে।

দ্বিতীয় মতটির ব্যাপারে নানা রকম বিরুদ্ধ মত লক্ষ্য করা যায়। সেসব বিরুদ্ধ মত সর্বত্র এক রকম না হলেও তার মধ্যে স্পষ্টতই এমন ধারণা ছিল যে, ইউরোপীয়দের কাছে ইউরোপের তুলনায় ভারতীয় নকশা বা কারুকাজ ছিল উন্নতমানের। যখন ভারতীয় নকশা বা কারুকাজের জনপ্রিয়তা প্রবল হয়ে ওঠে ঠিক সেই সময়ে ইংল্যান্ডে এক নতুন নান্দনিক আন্দোলন চলছিল, যার ফলে কারিগরি নকশার পুনর্গঠনে নানা সংশোধনী আসে। সেই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন নানামুখী আগ্রহের লোকজন- The Grammar of Ornament গ্রন্থের রচয়িতা ওয়েন জোনস (Owen Jones, 1809-1874) এবং ডাইস ও কোল আগ্রহী ছিলেন প্রধানত শিল্পকলা শিক্ষার বিদ্যালয় স্থাপনের ব্যাপারে। প্রভাবশালী সমালোচক রাস্কিন যদিও ভারতীয় ফাইন আর্টসে প্রশংসনীয় কিছু পান নি, কিন্তু ভারতীয় কারুশিল্পের প্রতি তাঁর উৎসাহ ছিল। উইলিয়ম মরিস ইংল্যান্ডে এক পরিপূর্ণ সামাজিক পরিবর্তন ঘটাতে চেয়েছেন এবং তিনি তাঁর সামাজিক পরিকল্পনায় ফাইন আর্টসের উন্নয়নের বিষয়টি যুক্ত করেন।

কিন্তু শিল্পকলা সংস্কারে এসব সংস্কারবাদীদের ধারণা ভারতের শিল্পকলা সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণেতাদের প্রাথমিক স্তরে প্রভাবিত করে নি। উনিশ শতকের পঞ্চাশের দশকে তাঁদের শুধু জানানো হয়েছিল ব্রিটিশ জনগণের মধ্যে ভারতীয় শৌখিন কারুশিল্পের চাহিদার কথা। তাই জেমস মিল ও মেকলের মতো লোকদের অভিমতের সম্পূর্ণ বিপরীত মতের উপর ভিত্তি করে প্রাথমিক পর্বের শিল্পকলা শিক্ষাবিদরা পশ্চিমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভারতীয় কারুশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালান। এর ফলে এমন বিজাতীয় পণ্য উৎপাদিত হয়, যা না ভারতীয়দের কাছে গ্রহণীয় হয়, না ইউরোপীয়দের কাছে। হ্যাভেলের মতো ব্রিটিশ শিল্পি ও শিল্পকলা শিক্ষাবিদদের কাছে তা ‘অ-ভারতীয়’ বলে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যাত হয়। কিন্তু এই পশ্চিমা প্রশিক্ষণকে প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়েই মরিস ও জোনসের বিকল্প অভিমতটি ভারতীয় জাতীয়তাবাদী শিল্প আন্দোলনকে প্রভাবিত করে। ভারতীয় জাতীয়তাবাদী শিল্প আন্দোলন শুরু হয় ১৯১৫ সালে অবনীন্দ্রনাথ ও তাঁর ছাত্রদের সরকারি আর্ট কলেজ থেকে বেরিয়ে আসার মধ্য দিয়ে। ভারতে ইংরেজি শিক্ষার সূচনার মতোই শিল্পকলা শিক্ষারও পরীক্ষামূলক সূচনা ঘটে ব্রিটিশদের পৃষ্ঠপোষকতায়, যার প্রতি স্থানীয় বুদ্ধিজীবী সমাজও উৎসাহভরে সমর্থন জোগান। ১৮৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মেকানিক্যাল ইনস্টিটিউটের পরিচালনা কমিটিতে ছিলেন Indian Review পত্রিকার সম্পাদক ডক্টর ফ্রেডরিক কবিন ও ইয়ং বেঙ্গল খ্যাত তারাচাঁদ চক্রবর্তী। ১৮৫৪ সালে কর্নেল ই. গডউইনের 'Union of Science, Industry and Arts' শীর্ষক এক বক্তৃতার প্রত্যক্ষ প্রভাবে শুরু হয় ‘স্কুল অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল আর্টস’। বিজ্ঞান, শিল্প ও শিল্পকলার মিলন সম্পর্কিত ওই বক্তৃতায় গডউইন সকল শ্রেণির তরুণদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল আর্ট শিক্ষাদানের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। মডেলিং, পেইন্টিং, এনগ্রেভিং, এচিং ও লিথোগ্রাফির জন্য ইউরোপীয় শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষাদান শুরু হয়। ইনস্টিটিউটের অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি স্যার লরেন্স পিল প্রতিষ্ঠানটিকে আর্থিক সাহায্য প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। ১৮৬৪ সালে সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব গ্রহণ এবং এইচ.এইচ লক নামে একজন ইংরেজ অধ্যক্ষ নিয়োগের ফলে এক সুস্পষ্ট সাফল্য অর্জিত হয়।

শিল্পি-কারিগরদের প্রশিক্ষণের সহযোগিতার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়। প্রথম পদক্ষেপটি ছিল শিল্পকলা বিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি আর্ট গ্যালারি স্থাপন করা।

ভারতীয় যুব সমাজকে শিল্পকলা শিক্ষা দানের ক্ষেত্রে প্রধান গুরুত্ব দেওয়া হয় ‘সুন্দর’ ও ‘প্রশংসাযোগ্য’ বস্ত্ত দেখার মতো চোখ তৈরির ওপর। তাই তাদের প্রয়োজনীয় ইউরোপীয় শিল্পকলার পাঠ প্রদান করা হয়। সেজন্য তাদের ইউরোপীয় চিত্রকর্ম দেখার সুযোগ তৈরির প্রস্তাব আসে এবং উপনিবেশিক কর্মকর্তারা তা অনুমোদন করলেও মূল ইউরোপীয় চিত্রকর্মগুলি সরবরাহ করা অতি ব্যয়সাপেক্ষ বলে মনে করা হয়। তাই উপনিবেশিক সরকার দেশীয় জমিদার ও এদেশে বসবাসরত ইউরোপীয়দের কাছে তাদের সংগৃহীত চিত্রকর্ম ধার দেওয়ার অনুরোধ করে এবং সিদ্ধান্ত নেয় যে, ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠ চিত্রকর্মের স্বল্পমূল্যের অনুকৃতি দিয়েই কাজ চালানো যাবে।

জনরুচির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পেরে সন্তুষ্টি লাভের পর কর্মকর্তারা ভারতীয় শিল্পকলার শিক্ষার্থীদের অনুশীলন-দক্ষতার মান উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দেন। হান্টার শিল্পকলা শিক্ষার ‘ভারতীয়করণের’ সুপারিশ করেন, যার অর্থ হলো প্রতিকৃতি তৈরি করতে হবে ভারতীয় আদিবাসী বিভিন্ন শ্রেণিবর্ণের মানুষের মধ্য থেকে এবং প্রকৃতির পাঠের অন্তর্ভুক্ত থাকবে ভারতীয় উদ্ভিদ ও প্রাণিকূল।

এটা বেশ পরিষ্কার যে, ভারতীয় নকশা বা কারুকাজের যে নান্দনিক ভিত্তি ডাইস, জোনস ও মরিসের কাছে প্রশংসিত হয়েছিল, সে সম্পর্কে ব্রিটিশ কর্মকর্তারা অবগত ছিলেন না। আলঙ্কারিক নকশাগুলির জন্য কেন বিশেষ দক্ষতা ও ভিন্ন ধরনের সৃজনশীল পরিকল্পনার প্রয়োজন তা অনুধাবন করতে না পেরে তাঁরা ভারতীয় কারুশিল্পিদের উপর বিদেশী শিল্পকলার নীতি চাপিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে বস্ত্তত তাদের দক্ষতা ধ্বংস করার কাজকেই সাহায্য করেছেন।

১৯০১ (সিমলা কনফারেন্স) সালের মধ্যে শিক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তারা ভারতে শিল্পকলা শিক্ষার মূল লক্ষ্যগুলি স্পষ্টভাবে প্রণয়ন করে ফেলেন এবং তা ছিল শিল্পি ও কারিগরদের পেশাগত প্রশিক্ষণ দান। সেই অনুসারে পাঠ্যসূচি প্রণীত হয় দুই ধারায়। প্রথম ধারায় ছিল ভারতীয় শৈল্পিক কারুকাজ বা নকশার সঙ্গে বিশেষভাবে সঙ্গতি রেখে ড্রয়িং, পেইন্টিং, ডিজাইনিং, মডেলিং, দারুশিল্প ও ফটোগ্রাফি শিক্ষা। তখনকার পরিভাষায় একে বলা হতো ‘প্রফেশনাল আর্ট’। এই পাঠ্যসূচির লক্ষ্য ছিল সেইসব শিক্ষার্থী, যারা স্কুলের ড্রয়িং শিক্ষক হতে চাইত অথবা যারা বইয়ের অলংকরণ, প্রচ্ছদ অঙ্কন বা পোর্ট্রেট শিল্পির পেশা গ্রহণে আগ্রহী ছিল। কর্মাশিয়াল আর্টে এটাই ছিল দেশীয় প্রয়াসের সূচনা। দ্বিতীয় ধারার পাঠ্যসূচি ছিল সেই সব কারিগরদের জন্য যারা স্থানীয় শিল্প-বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। উন্নত পদ্ধতিতে কারুকাজ শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে নির্দেশনা ছিল ব্রিটিশ শিল্পকলাভোক্তাদের চাহিদা ও পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ভারতীয় জনগোষ্ঠীর পরিবর্তিত রুচির পরিতুষ্টি মেটানোর যোগ্যতাসম্পন্ন করে তাদের শিক্ষিত করে তোলা। লক্ষ্য ছিল বাজারের কারিগরদের চেয়ে আর্ট স্কুলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কারিগরদের সৃজনশীলতার মান অনেক বেশি উন্নত করা। সেসিল বার্নস বলেন, ‘এটা করা যেতে পারে কেবল তখনই যদি ভারতীয় কারিগররা ঐতিহ্যবাহী কারুকার্যের সঙ্গে মৌলিকত্বের সংযোগ ঘটাতে পারে।’

গভর্নমেন্ট কলেজ অব আর্ট-এর অধ্যক্ষ হয়ে হ্যাভেল সরকারি নীতিকে কিছুটা পাল্টে দেন। তিনি প্রথমে চিরায়ত ভারতীয় শিল্পকলা শিক্ষার জন্য একটি বিভাগ খোলেন এবং এর ইন্সট্রাক্টর হিসেবে ঈশ্বরী প্রসাদকে (পাটনা ঘরানার একজন শিল্পি; তাঁর পিতামহ ছিলেন মুর্শিদাবাদের দরবারি শিল্পি) নিয়োগ করেন। তারপর তিনি স্থান সঙ্কুলানের অজুহাতে আর্ট স্কুলের সংগ্রহশালা থেকে তাঁর পূর্বসূরিদের সাগ্রহে সংগৃহীত ইউরোপীয় সেরা শিল্পকর্মগুলির সস্তা কপি এবং ইউরোপের মধ্যম মানের শিল্পিদের অাঁকা পোর্ট্রেট ও ল্যান্ডস্কেপগুলি সরিয়ে ফেলেন। তিনি ভারতীয় চিত্রকর্মের একটি সংগ্রহ গড়ে তোলা শুরু করেন। তাঁর সংগ্রহ তালিকার মধ্যে ছিল ওস্তাদ মনসুরের মতো মুগল আমলের ইতিহাস বিষয়ক চিত্রাঙ্কণে পারদর্শী বিখ্যাত শিল্পিদের ছবি। এই উদার নীতির ফলে শেষ পর্যন্ত অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিও এই তালিকায় স্থান পায়। হ্যাভেল ১৯০৫ সালে অবনীন্দ্রনাথকে গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজের উপাধ্যক্ষ পদ গ্রহণে রাজি করিয়েছিলেন।

উপনিবেশিক শিল্পকলা নীতির ফলাফল অনুভূত হয় দুভাবে। প্রথমত এর ফলে শিল্পিদের মধ্যে একটি পাতি-আমলাতন্ত্রের উদ্ভব ঘটে, যাঁরা জরিপ দপ্তর ও মুদ্রণ প্রেসের পদগুলি দখল করে বসেন। দ্বিতীয়ত, সেক্যুলার শিক্ষার ফলে কারিগরদের উপর থেকে বর্ণপ্রথার বিধানগুলি উঠে যায় এবং বউবাজার ও গরানহাটার স্টুডিওগুলিতে প্রথমবারের মতো বি.পি ব্যানার্জীর মতো উচ্চবর্ণের শিল্পিদের দেখা যায়, যাঁরা শিল্পকলাকে একটি পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।  [রত্নাবলী চ্যাটার্জী]