শালিক

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২৩:০১, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)
শালিক

শালিক  Passeriformes বর্গের Sturnidae গোত্রের সুপরিচিত পাখি। এদের আকার মাঝারি, লেজ খাটো এবং ঠোঁট সোজা, সরু ও কিছুটা লম্বা। এদের পা ও পায়ের পাতা মজবুত, ডানা খাটো এবং গোলাকার থেকে লম্বা ও চোখা।

স্ত্রী ও পুরুষ দৃশ্যত অভিন্ন। সাধারণত দল বেঁধে ওড়ে। বেশি দেখা যায় লোকালয় ও ক্ষেতখামারে। কোন কোন জাতের শালিক সর্বক্ষণ গরুর পালের সঙ্গে ঘোরে। কীটপতঙ্গ, ফল, দানাশস্য ও ফুলের নির্যাস খায়। উচ্চ ও কর্কশ স্বরে ডাকে। কোন কোনটি সুরেলা শিস দেয়। অন্য পাখি, পশু ও মানুষের কথা অনুকরণেও কেউ কেউ দক্ষ। সাধারণত গাছের খোড়ল এবং দালানের ফোঁকড়ে এরা বাসা বানায়; কখনও গাছের উপরে খড় ও ডালপালার বড় গোলাকার কাঠামো তৈরি করে। এরা সাধারণত ২-৯টি ডিম পাড়ে। কেউ কেউ শখ করে কোন কোন প্রজাতির শালিক পোষে।

সারাবিশ্বে শালিকের প্রজাতি সংখ্যা প্রায় ১০৪, তন্মধ্যে ১৮টি দক্ষিণ-পূর্ব এশীয়। বাংলাদেশের ১২ প্রজাতির শালিকের মধ্যে তিনটি পরিযায়ী।

স্থায়ী বাসিন্দারা হলো White-vented Myna (Acridotheres cinereus),ঝুঁটিশালিক (Jungle Myna, A. fuscus), গাংশালিক (Bank Myna, A. giginianus), ভাতশালিক (Common Myna, A. tristis), কালো শালিক (Asian Glossy Starling, Aplonis panayensis), ময়না (Hill Myna, Gracula religiosa), Asian Pied Starling (Sturnus contra), কাঠশালিক (Chestnut-tailed Starling, S. malabaricus) এবং ব্রাহ্মণী ময়না (Brahminy Starling,S. pagodarum)। পরিযায়ী প্রজাতিরা Rosy Starling (Sturnus roseus), Common Starling (S. vulgaris) এবং Spot-winged Starling (Saroglossa spiloptera)।  [মোঃ খলিলুর রহমান]