রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৮:৪৮, ৮ মার্চ ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান

রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর (১৯৪১-১৯৭১)  বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত সাতজন মুক্তিযোদ্ধার অন্যতম ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ঢাকার আগাসাদেক রোডস্থ পৈতৃক বাসভবনে ১৯৪১ সালের ২৯ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন।

এরপর তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে সারগোদার পাকিস্তান বিমানবাহিনী পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন। এ স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে পাকিস্তান বিমানবাহিনী একাডেমীতে যোগ দেন। তিনি ১৯৬৩ সালের জুন মাসে কমিশন লাভ করেন। কর্মস্থল ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের রিসালপুর। পরের বছর পেশোয়ারে জেট পাইলট নিযুক্ত হবার পূর্বে করাচিতে জেট কনভার্সন কোর্স সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ছুটিতে এসে মতিউর রহমান স্থানীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন। ভৈরবে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। পরে পারিবারিক চাপে মে মাসে তিনি পাকিস্তান চলে যান। সেখানে তিনি বিমান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল বিমান ছিনতাই করে সেটি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেবেন।

২০ আগস্ট সকালে করাচির মশরুর বিমানঘাঁটি থেকে পাইলট অফিসার মিনহাজ রশীদের টি-৩৩ বিমান নিয়ে উড়বার শিডিউল ছিল। মতিউর ছিলেন তার প্রশিক্ষক। টি-৩৩ বিমানের সাংকেতিক নাম ছিল ব্লু বার্ড। প্রশিক্ষণকালে মতিউর বিমানটির নিয়ন্ত্রণ নিজ হাতে নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেন নি। বিমানটি বিধ্বস্ত হয় ভারতীয় সীমান্তের কাছে থাট্টায়। মতিউরের মৃতদেহ ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পাওয়া গেলেও মিনহাজের লাশের কোন হদিস মেলে নি। মতিউর রহমানকে দাফন করা হয় মশরুর বিমানঘাঁটির চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কবরস্থানে। মতিউর রহমানের দেশপ্রেম ও আত্মদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করা হয়।  [মোঃ সেলিম]