মেঘনা উপজেলা

মেঘনা উপজেলা (কুমিল্লা জেলা)  আয়তন: ৯৮.৪৭ বর্গ কিমি। অবস্থান ২৩°৩৪´ থেকে ২৩°৪১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৩৮´ থেকে ৯০°৪৬´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে আড়াই হাজার উপজেলা (নারায়ণগঞ্জ জেলা), দক্ষিণে দাউদকান্দি ও গজারিয়া উপজেলা, পূর্বে হোমনা ও তিতাস উপজেলা, পশ্চিমে সোঁনারগাও উপজেলা (নারায়ণগঞ্জ জেলা) এবং গজারিয়া উপজেলা (মুন্সিগঞ্জ জেলা)।

জনসংখ্যা ৯৬৯৭০; পুরুষ ৪৭৭১৬, মহিলা ৪৯২৫৪। মুসলিম ৯২০৩২, হিন্দু ৪৯২৫ এবং অন্যান্য ১৩।

জলাশয় প্রধান নদী: মেঘনা ও কাঁঠালিয়া।

প্রশাসন ১৯৯৯ সালে মেঘনা থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
- ৪০ ১০৪ - ৯৬৯৭০ ৯৮৪ - ৩৩.৮৪
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
চন্দনপুর ১৯ ২৭৫৬ ৫০১৫ ৫৩০২ ২৯.৯৩
চালিভাঙ্গা ২১ ২৬৪৪ ৬০৭৬ ৬১২৮ ২০.৭৫
গোবিন্দপুর ৪৩ ৬৯৬৪ ৯০২৬ ৯১৮৫ ৩৩.৩৩
বড়কান্দা ১২ ৫০১১ ১০২৩৩ ১০১৯০ ৩৮.৫৬
মানিকের চর ৭১ ২৪৯৫ ৫৫৯৭ ৬০৬২ ৪০.০৩
রাধানগর ৯৫ ২৩৭৪ ৬৩৯১ ৬৭২৪ ৩৩.১৮
লুটের চর ৫৩ ৫৩৭৮ ৫৬৬৩ ৩৭.৩৪

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান  মসজিদ ২২১, মন্দির ৬, মঠ ১।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৩.৩৪%; পুরুষ ৩৮.০৪%, মহিলা ২৯.৯২%। কলেজ ২, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫১, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১, মাদ্রাসা ২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: মানিকের চর কলেজ (১৯৭০), দৌলত হোসেন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৮), মানিকের চর এল এল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৬), সোনার চর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৭), মুজাফফর আলী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৭), চন্দনপুর এম এ হাইস্কুল (১৯৭১)।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ২।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৫৩.৭১%, অকৃষি শ্রমিক ১.৫২%, শিল্প ০.৯৯%, ব্যবসা ১৪.৮৮%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.৮৮%, চাকরি ৬.৩৯%, নির্মাণ ০.৯৩%, ধর্মীয় সেবা ০.২১%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৬.৬২% এবং অন্যান্য ১৩.২৮%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৭৪.০৭%, ভূমিহীন ২৫.৯৩%।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, গম, ডাল।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি কাউন, তিসি।

প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, নারিকেল, কুল, তরমুজ, তাল।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ১৬৮ কিমি, কাঁচারাস্তা ১২ কিমি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরুর গাড়ি।

কুটিরশিল্প লৌহশিল্প, পাটশিল্প, মৃৎশিল্প।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১১.৮৫% পরিবারের  বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৪.৬১%, ট্যাপ ০.৫১%, পুকুর ০.৯৯% এবং অন্যান্য ৩.৮৯%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ২১.৮৪% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৭০.৪৫% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। তবে ৭.৭১% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতাল ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৭, কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক ৭, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ১।

এনজিও ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, কেয়ার। [মো: হাবিবুর রহমান ভূইয়াঁ]

তথ্যসূত্র   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; মেঘনা উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।