মুনসিফ

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:৪৬, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

মুনসিফ  আরবি শব্দ, যার অর্থ বিচারক। আরবি শব্দ ‘ইনসাফ’ (ন্যায়বিচার) থেকেই মুনসিফ (বিচারক) শব্দের উৎপত্তি। শেরশাহ বাংলাকে উনিশটি সরকার এবং প্রত্যেক সরকার কতগুলো ছোট ছোট জেলায় বা পরগনায় বিভক্ত করেন। সরকার এবং পরগনাসমূহের প্রশাসনিক কাজ পরিচালিত হত সিকদার-ই-সিকদারান এবং মুনসিফ-ই-মুনসিফান (উচ্চতর মুনসিফ) পদাধিকারী দুইজন কর্মকর্তা কর্তৃক। অনুরূপভাবে মুগল কর্তৃক বাংলা অধিকৃত হলে সম্রাট আকবরের রাজস্ব সংক্রান্ত বন্দোবস্তের দায়িত্ব অর্পিত হয় রাজা টোডরমলের ওপর। তিনি জাগির ও খালিসা (খালসা বা সরকারের খাস জমি) সমূহের রাজস্ব নির্ধারণ করেন এবং ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে রাজস্ব সংগ্রহের ব্যবস্থাকে সহজতর করার জন্য বাংলার সমগ্র অর্থনৈতিক ইউনিট সমূহকে ১৯টি সরকারে বিভক্ত করে তিনজন প্রধান সরকারী কর্মকর্তার অধীনে এই ১৯টি সরকারের দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়। তাঁরা হলেন, সিকদার-ই-সিকদারান (প্রশাসন, অর্থ ও সেনার দায়িত্বপ্রাপ্ত), মুনসিফ-ই-মুনসিফান (রাজস্ব আদায়ের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত) এবং  কাজি (বিচার বিভাগের প্রধান)।

তাছাড়াও শেরশাহের শাসনামলে (১৫৩৯-১৫৪৫) প্রতি পরগনায় শিকদার, মুশরিফ, কারকুন, খাজাঞ্চি প্রমুখের ন্যায় মুনসিফও একজন কর্মকর্তা ছিলেন। প্রশাসনের প্রধান ছিলেন শিকদার। কারকুন ছিলেন হিসাবরক্ষক এবং খাজাঞ্চি কোষাধ্যক্ষের কাজ করতেন। ‘মুশরিফ’ আমীন এবং মুনসিফ বা বিচারক নামেও অভিহিত হতেন।  [আবদুল করিম]