মান্নান, শেখ আবদুল

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৪:৩৮, ৪ মার্চ ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)
শেখ আবদুল মান্নান

মান্নান, শেখ আবদুল  সাংবাদিক, শহীদ বুদ্ধিজীবী। শেখ আবদুল মান্নান ‘লাডু ভাই’ নামেই সমধিক পরিচিতি। বিশ শতকের বিশের দশকের কোনো এক সময় কলকাতায় তাঁর জন্ম। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর তাঁর পরিবার পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসে। আবদুল মান্নান পূর্ব পাকিস্তানে ক্রীড়া সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ। তিনি ছিলেন ক্রীড়ার একনিষ্ঠ ভক্ত এবং এক দশক ধরে পাকিস্তান অবজার্ভার পত্রিকার ক্রীড়া বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এ পত্রিকার রেসিং করেসপন্ডেন্ট হিসেবেও কাজ করেন। এর পূর্বে তিনি দৈনিক আজাদ এবং দৈনিক সংবাদ পত্রিকার বার্তা বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

ষাটের দশকের শুরুতে শেখ আবদুল মান্নানের অনুপ্রেরণায় পাকিস্তান অবজার্ভার ঢাকা ফুটবল লীগে পশ্চিম পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ব্যাপক প্রাধান্যের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে। এ সময়ে ঢাকা লীগের খেলায় পশ্চিম পাকিস্তানের মাকরান থেকে আগত অধিকাংশ খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত একটি টীমকে তিনি অবজার্ভার পত্রিকায় ‘মাকরানি এগারো’ খেতাবে চিহ্নিত করেন।

শেখ আবদুল মান্নান ১৯৬৩-৬৪ সালে ঢাকা মোহামেডান ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তান ক্রীড়া ফেডারেশনের সদস্য হিসেবে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের ক্রীড়া সংগঠক ও খেলোয়াড়দের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জোড়ালো ভূমিকা রাখেন। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বের কারণে পাকিস্তান অবজার্ভারের ক্রীড়া পাতা পূর্ব পাকিস্তানের ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রীড়ামোদীদের নিকট অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক আত্মগোপন করেন বা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে চলে যান শেখ আবদুল মান্নান তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করতেন। ফলে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর রোষানলে পড়েন এবং কিছুদিনের মধ্যে তাঁর পুরানা পল্টনের ফ্ল্যাট বাড়ি থেকে মুখোশধারী কিছু লোক তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।  [আখতার হোসেন খান]