মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:৪১, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়  মাগুরা জেলার সবচেয়ে পুরানো এবং ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঊনবিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকে মাগুরা শহরের দুই মাইল পশ্চিমে শিবরামপুর গ্রামে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের প্রচেষ্টায় মাইনর স্কুল হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৮৫৪ সালকেই স্কুলের প্রতিষ্ঠাকাল হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৮৬০ সালে বিদ্যালয়টি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় হিসেবে অনুমোদন লাভ করে। ১৮৭৬ সালে আকস্মিক অগ্নিকান্ডে বিদ্যালয়টি পুড়ে যায়। এই সময় বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক যোগেন্দ্রনাথ সিনহার অক্লান্ত প্রচেষ্টা এবং তদানীন্তন মহকুমা প্রশাসক কালীপ্রসন্ন সিংহ-এর পৃষ্ঠপোষকতা ও অর্থানুকূল্যে একটি পাকা ইমারতে বিদ্যালয় ভবনটি স্থানান্তরিত হয় যেখানে আজ মহিলা কলেজের মূল ভবন অবস্থিত। বিদ্যালয়টি ১৯৮১ সালের ১ আগস্ট বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয়। এই সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়টি যেমন একাধিকবার তার স্থান পরিবর্তন করেছে তেমনি সাথে সাথে তার নামও কয়েকবার পরিবর্তিত হয়েছে। প্রথমে শিবরামপুর মাইনর স্কুল হতে মাগুরা উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়, এরপর ১৯৬০-এর দশকে নামকরণ হয় মাগুরা মডেল হাইস্কুল এবং সর্বশেষ ১৯৭০ সালে বিদ্যালয়টির নামকরণ হয় মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের বহু কৃতী ছাত্র দেশে-বিদেশে নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। বিদ্যালয়টির এস.এস.সি পরীক্ষার পাসের হার সবসময়ই ভাল। খেলাধুলা বিশেষত ফুটবল, দাবা, বিতর্ক, বিজ্ঞান মেলা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, রেডক্রিসেন্ট, স্কাউট, বিএনসিসি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে স্কুলটি সুনাম অর্জন করেছে। এছাড়া সৃজনী নামে একটি নিয়মিত সাহিত্য বার্ষিকী প্রকাশ করে থাকে।

বর্তমান বিদ্যালয়টি প্রায় ১৩ একর জমির উপর অবস্থিত। বিদ্যালয়টিতে বৃহৎ ‘এল’ আকৃতির দ্বিতল ভবনসহ প্রধান শিক্ষকের বাসভবন রয়েছে। মোট শ্রেণিকক্ষ রয়েছে ১৬, অফিস কক্ষ ৩, গবেষণাগার ২, লাইব্রেরি ১, মসজিদ ১, খেলার মাঠ ১, পুকুর ১টি। বর্তমানে (২০১০) স্কুলে ছাত্রসংখ্যা প্রায় একহাজার এবং শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ৫২। পঞ্চম থেকে দশম পর্যন্ত মোট ৬টি শ্রেণিতে শাখা রয়েছে ১১টি। নবম ও দশম শ্রেণিতে চালু আছে বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগ।  [বেনজীন খান]