মহানন্দা নদী

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:৪০, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

মহানন্দা নদী  বাংলাদেশে গঙ্গার একমাত্র উপনদী। নেপালের দক্ষিণ-পশ্চিমস্থ হিমালয় থেকে উদ্ভূত হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে কার্সিয়াং ও শিলিগুড়ি অতিক্রম করে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ণিয়া ও মালদহ জেলার মধ্য দিয়ে দক্ষিণপূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে ভোলাহাটের কাছে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ সীমায় প্রবেশের পর নবাবগঞ্জ (চাঁপাই নবাবগঞ্জ) শহরকে বাম তীরে রেখে গোদাগাড়ীতে গিয়ে গঙ্গায় পতিত হয়েছে। বাংলাদেশে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৬ কিমি। উইলিয়ম উইলসন হান্টারের জরিপ (১৮৭৬) থেকে জানা যায়, মহানন্দা একসময় একটি প্রশস্ত এবং গভীর নদী ছিল, যার বুকে চলাচল করত বড় বড় ৫০০ মণ মালবাহী নৌকা। চলার পথে এই নদী কোন উপনদী গ্রহণ করেনি কিংবা এর থেকে কোন শাখাও বেরিয়ে যায়নি।

মহানন্দা একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তঃসীমান্ত নদী। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমানার মাত্র ৩ কিমি উত্তরে শিলিগুড়ির কাছে নদীর উপর ব্যারেজ নির্মাণ করেছে, যা আন্তর্জাতিক নদী আইনের আওতায় পড়ে না এবং যা মহানন্দার স্বাভাবিক গতিপ্রবাহকে ব্যাহত করছে।   [সুলতানা নাসরিন বেবী]