বেসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষ

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:৩২, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

বেসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষ  বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। বিমান বন্দর, রানওয়ে ও বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, ট্যাক্সিওয়ে, টার্মিনাল ভবন, গুদাম ঘর, নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার, পরিচালন ও প্রশাসনিক ভবন, গাড়ি পার্কিং, বিমান চলাচল এবং বেতার যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ এই সংস্থার দায়িত্বে রয়েছে। এই সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবস্থিত।

পাকিস্তান আমলের বিমান বন্দর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে পুনর্গঠিত করে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সৃষ্টি করা হয়। সংস্থাটি এখন যাত্রীবাহী বিমান চলাচলের জন্য অপারেটিং লাইসেন্স এবং তাদের উড্ডয়ন ও ভূমিতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অনুমতিপত্র প্রদান করে থাকে, কোন বিমান আকাশে উড্ডয়নের উপযুক্ত কি-না তা পরিদর্শন, বিমানে কর্মরত ব্যক্তিদের মান ও প্রশিক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করা এবং বিমান বন্দরের প্রয়োজনীয় মান বজায় রাখে। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিগত বিমান চালক  লাইসেন্স (private pilot license-PPL), বাণিজ্যিক বিমান চালক লাইসেন্স (commercial pilot license-CPL) ও পরিবহণ বিমান চালক লাইসেন্স (airlines transport pilot license-ATPL) ইস্যু করে থাকে। এছাড়া এই কর্তৃপক্ষ এয়ারফ্রেম (এ), ইঞ্জিন (সি), ইলেক্ট্রিক্যাল (ই), ইনস্ট্রুমেন্ট (আই) এবং রাডার/রেডিও (আর) প্রভৃতি শ্রেণির লাইসেন্সও ইস্যু করে থাকে। এই সংস্থা বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি, এয়ার পারাবত ফ্লাইং একাডেমি, বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স ট্রেনিং সেন্টার এবং এভিয়েশন ইনস্টিটিউট অব এরোনটিক্স এর ছাত্রদের জন্য পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করে থাকে। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বেসরকারি বিমান চলাচল সংস্থার নির্দেশাবলি অনুসরণ করে কার্যাবলি পরিচালনা করে এবং কেন্দ্রীয় বিমান চলাচল প্রশাসন ও ফেডারেল বিমান চলাচল প্রশাসন-এর মান অক্ষুন্ন রাখে।

চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সংস্থাটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ সব কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রয়েছেন ৩৯২ জন কর্মকর্তা ও ৩৩৭৭জন কর্মচারী।  [সৈয়দ মুহাম্মদ সালেহ উদ্দীন]