বৃক্ষবিদ্যা

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:৩১, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

বৃক্ষবিদ্যা (Arboriculture)  কেনো স্থানের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বৃক্ষ, গুল্ম ও লতার চাষ। এটি ‘arbor’ বা নিকুঞ্জ শব্দ থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ বৃক্ষছায়ায় ঘাস আচ্ছাদিত স্থান। নিকুঞ্জ সাধারণত কেনো একটি কাঠামো, বিশেষ করে জাফরির কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। বর্তমান সময়ের পরিভাষায় প্রাকৃতিক ভূ-দৃশ্য স্থাপত্যবিদ্যা (landscape architecture) বা প্রাকৃতিক ভূ-দৃশ্য উদ্যানতত্ত্বকে (landscape horticulture) বৃক্ষবিদ্যার সমার্থক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। অধিকাংশ উন্নত দেশে স্থাপত্যবিদ্যা ও উদ্যানতত্ত্বের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃক্ষবিদ্যা শিক্ষা দেওয়া হয়। বাংলাদেশে বৃক্ষবিদ্যা বিজ্ঞান হিসেবে এখনও সুষ্ঠুভাবে বিকাশ লাভ করে নি, যদিও এটি কিছুটা প্রয়োগ করা হয়। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যার স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রাকৃতিক ভূ-দৃশ্য স্থাপত্যবিদ্যার দুটি কোর্স পড়ানো হয়। বনবিদ্যার শিক্ষার্থীদেরকেও এ বিষয়ে একটি সাধারণ ধারণা দেওয়া হয়। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়াধীন সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং পূর্ত মন্ত্রণালয়াধীন গণপূর্ত বিভাগের সঙ্গে সংযুক্ত বৃক্ষবিদ্যা ইউনিট রয়েছে। রোপণের জন্য চারা উৎপাদনের লক্ষ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নার্সারি রয়েছে। গণপূর্ত বিভাগের নিজস্ব ব্যবস্থাপনাধীন কয়েকটি পার্কও রয়েছে।  [মামুন-অর রশিদ]