বিনিয়োগ ব্যাংকিং

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:২৯, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

বিনিয়োগ ব্যাংকিং  মার্চেন্ট ব্যাংকিং-এর প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহূত বিনিয়োগ ব্যাংকিং বলতে যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা বোঝায় তার কাজ হচ্ছে একীভূতকরণ (merger) বা অধিগ্রহণ (acquisition) সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ প্রদান এবং কর্পোরেশন জাতীয় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনে বিনিয়োগকারীদের নিকট তুলনামূলকভাবে ছোট ছোট লটে বিক্রয়ের মাধ্যমে অর্থসংস্থানের ব্যবস্থা করা। ১৮২২ সালে প্রতিষ্ঠিত দ্য সোসাইটি জেনারেল দে বেলজিক-কে বিশ্বের প্রথম বিনিয়োগ কোম্পানি হিসেবে ধরা হয়। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিভিন্ন শ্রেণির জনগোষ্ঠীর আর্থিক আয় আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেলে তখনই এদের বিকাশের জন্য অধিকতর উপযোগী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে বিনিয়োগ ব্যাংকে রূপান্তরিত হওয়া এসব বিনিয়োগ কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধনের যোগান দেয়। ঐ সময় বা তার কিছু পরেও যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের সিকিউরিটি বিক্রয়ের কোন অনুমতি ছিল না এবং সে কারণে ইউরোপীয় ধাঁচের বিনিয়োগ কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিনিয়োগে সক্ষম বিকল্প কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে থাকে। তবে ততদিনে বিনিয়োগ ব্যাংক বৈদেশিক বাণিজ্যে অর্থসংস্থান, বিল অব এক্সচেঞ্জের স্বীকৃতিদান এবং বিল-স্বীকৃতি অফিস (accepting house) হিসেবে কার্যপরিচালনা এরূপ বেশকিছু ব্যাপকতর কাজের দায়িত্ব নেয়। পরবর্তীকালে বিনিয়োগ ব্যাংকের কাজ আরও বিস্তৃতি পেয়েছে, যেমন ইজারা ও ভাড়ায় ক্রয় অর্থসংস্থান, দীর্ঘমেয়াদি ঋণ মঞ্জুরিকরণ, শিল্প প্রতিষ্ঠায় (venture) মূলধনের যোগানদান, শেয়ার ছাড়করণের ক্ষেত্রে অবলিখন, বিনিয়োগ পত্রকোষ ও ইউনিট ট্রাস্ট ব্যবস্থাপনা। কোন কোন বিনিয়োগ ব্যাংক ব্যাপক পরিমাণে স্বাভাবিক বাণিজ্যিক ব্যাংকিং সেবাও দিয়ে থাকে। মূলধন সংগ্রহে বিনিয়োগ ব্যাংকসমূহের বিশেষায়িত সেবা মূলত অভ্যন্তরীণ বাজারভিত্তিক এবং অধিকাংশ বিনিয়োগ ব্যাংকই দেশের ভেতরের পুঁজি ব্যবহারকারীদের জন্য শেয়ার ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে। সম্প্রতি বিনিয়োগ ব্যাংকসমূহ বিভিন্ন কোম্পানিকে তাদের পুঁজি পুনর্গঠন, পত্রকোষ ব্যবস্থাপনা ও পেনশন তহবিল ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করে থাকে। যুক্তরাজ্যে মার্চেন্ট ব্যাংকিং বণিকগোষ্ঠীকেই সেবা দেয়, খুচরা আমানতকারীকে ব্যাংকিং সেবা দেয় না। যুক্তরাষ্ট্র যেসব বিনিয়োগ ব্যাংক গড়ে উঠেছে সেগুলির প্রধান কাজ হচ্ছে লগ্নিপত্রাদি অবলিখন ও বিলিবণ্টন এবং মাধ্যমিক পুঁজি বাজারে কর্মতৎপরতা চালানো। সেখানে বিনিয়োগ ব্যাংকিংকে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে আলাদা করে দেওয়ার জন্য ১৯৩৩ সালে গ্লাস স্টিগেল অ্যাক্ট পাস করা হয়। এই আইন পাস হওয়ার আগে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ লগ্নিপত্রের ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারত।

বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মার্চেন্ট ব্যাংকিং হচ্ছে বিনিয়োগ ব্যাংকিং এবং উন্নয়ন ব্যাংকিং-এ নিয়োজিত সকল প্রতিষ্ঠান ও তাদের কার্যক্রমের সমাহার। ১৯৯৬ সালের ২৪ এপ্রিল তারিখের ৫৯ নং বিশেষ আদেশ ধারা এবং ১৯৯৭ সালের ১৭ আগস্ট গৃহীত এক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) মার্চেন্ট ব্যাংকিং-এ নিবন্ধনের জন্য ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে আগ্রহপত্র সংগ্রহ করে। অবশ্য এর আগেই অন্য ৭টি প্রতিষ্ঠান মার্চেন্ট ব্যাংকিং-এর জন্য আগ্রহপত্র জমা দিয়ে রেখেছিল এবং এসইসি শেষ পর্যন্ত মোট ১৯টিকে মার্চেন্ট ব্যাংকিং-এর অনুমোদন দেয়।

বাংলাদেশের বিনিয়োগ কোম্পানিগুলি দুই ধরনের। এক ধরনের বিনিয়োগ কোম্পানি মিউচুয়াল ফান্ড হিসেবে কাজ করে এবং বাজারে পাওয়া গেলে যে কোন পরিমাণ শেয়ার কিনতে পারে। দ্বিতীয় ধরনের বিনিয়োগ কোম্পনিসমূহ শুধু কতিপয় নির্ধারিত কোম্পানির শেয়ার বিক্রয়ের ব্যবসা করে। এ জাতীয় কোম্পানি থেকে শেয়ার কিনতে হলে একজন বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রয় করতে চায় এমন অন্য কাউকে খুঁজে বের করে। এসব শেয়ার আবার বিনিয়োগ ব্যাংক কোম্পানির নিজেরই, তবে কোম্পানি সরাসরি এসব শেয়ার কেনা-বেচায় অংশ নেয় না, অন্যরা তার সম-মূলধন শেয়ার ক্রয় বা বিক্রয় করে। এছাড়া এ জাতীয় বিনিয়োগ কোম্পানি মূলধন সংগ্রহের লক্ষ্যে অগ্রাধিকার শেয়ার, সাধারণ ও রূপান্তরযোগ্য বন্ড এবং শেয়ার ওয়ারেন্টও বিক্রয় করে থাকে।

বিনিয়োগ ব্যাংক লগ্নিপত্র ইস্যুকারী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মধ্যস্থ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে। ইস্যুকারী বিনিয়োগ ব্যাংকের নিকট লগ্নিপত্র বিক্রয় করে আর বিনিয়োগ ব্যাংক সেগুলি বিক্রয় করে বিনিয়োগকারীর নিকট। পুনঃবিক্রয় হওয়ার আগে লগ্নিপত্রসমূহ বিনিয়োগ ব্যাংকের মালিকানায় থাকে। আবার যেসব কোম্পানি মূলধন সংগ্রহ করতে চায় তাদের জন্য বিনিয়োগ ব্যাংক অবলিখন, লগ্নিপত্র বিপণন, কর্পোরেট অর্থসংস্থান, দালালি, পরিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, গবেষণা ইত্যাদির মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করে। অবলিখনের সময় বিনিয়োগ ব্যাংক সিন্ডিকেট গঠন করে ঝুঁকি কমাতে পারে এবং এক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে কোন একটি বিনিয়োগ ব্যাংক ব্যবস্থাপনা অবলিখনকারীর ভূমিকা নিয়ে সিন্ডিকেটের সকল সদস্য ব্যাংকের অবলিখন কার্যাবলি তত্ত্বাবধান করে। লগ্নিপত্র বিক্রয়ের প্রক্রিয়ায় সাধারণত সেগুলি অবলখিন সিন্ডিকেটের বিক্রয় বিভাগসমূহের সমন্বয়ে গঠিত বিপণন গ্রুপ এবং কতিপয় নির্বাচিত খুচরা ব্রোকারেজ হাউজের সাহায্য নেওয়া হয়। কোন কোন সময় সিন্ডিকেট ছাড়াও শেয়ার বিপণন হতে পারে, এক্ষেত্রে ইস্যুকৃত সকল শেয়ার কয়েকটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হয় এবং এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি পৃথক পৃথক খুচরা বিনিয়োগকারী হিসেবে কাজ করে।

বিনিয়োগ ব্যাংকিং-এর মূল কাজসমূহের একটি হচ্ছে কর্পোরেট অর্থসংস্থান। এই কাজে বিনিয়োগ ব্যাংক মক্কেল প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রকল্প প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের সঙ্গে যোগাযোগ, একীভূতকরণ ও অধিগ্রহণ এবং মূলধন কাঠামো গঠনে সাহায্য করে। লগ্নিপত্র বিক্রয় ও দালালিতে বিনিয়োগ ব্যাংকের প্রধান কাজ হচ্ছে মাধ্যমিক বাজারের মাধ্যমে স্থানীয় (দেশি) এবং বিদেশি উভয় প্রকার ক্রেতার জন্য পূর্ণাঙ্গ মধ্যস্থতাকরণ। পরিসম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ব্যাংকের কাজ হচ্ছে মূলত অর্থের ব্যবস্থাপনা এবং এই প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগ ব্যাংক প্রতিটি মক্কেল প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, তাদের ঝুঁকিধারণ ক্ষমতা এবং আইনগত সুবিধা-অসুবিধা বিশ্লেষণ করে তার জন্য সবচেয়ে লাভজনক কোষপত্র (portfolio) তৈরি করে দেয়। এর জন্য বিনিয়োগ ব্যাংককে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের একটি ভিত্তি সময়ের তথ্য ধরে তার কার্যাবলির পরিমাপ ও মূল্যায়ন করতে হয়। বাংলাদেশের কোন কোন বিনিয়োগ ব্যাংকের নিজস্ব গবেষণা বিভাগ আছে। তারা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক লগ্নিপত্রাদি সম্পর্কে খুচরা এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ দিয়ে থাকে। এমন একটি বিনিয়োগ ব্যাংক ইউনিয়ন ক্যাপিটাল দেশের প্রধান প্রধান ইংরেজি ও বাংলা সংবাদপত্রে নিয়মিত ইউনিয়ন ক্যাপিটাল সূচক ছাপায়। এই সূচক ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নির্বাচিত সংখ্যক দামি শেয়ারের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করে।

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিনিয়োগ ব্যাংক বাংলাদেশ বিনিয়োগ সংস্থা (আইসিবি) দেশে মূলধন বাজার উন্নয়নে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রেখেছে। আইসিবির প্রধান কাজ হচ্ছে লগ্নিপত্র বাজারজাতকরণ এবং ইউনিট ও মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবস্থাপনা। আইসিবি-র একটি বিনিয়োগকারী হিসাব স্কিম আছে। এই স্কিম ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাবদ্ধ লগ্নিপত্রসমূহ ক্রয়ের জন্য ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ঋণ সুবিধা দেয়। এছাড়া এই স্কিম শেয়ার কেনা-বেচায় তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দেয় এবং ভাল লগ্নিপত্র থেকে তারা যাতে যুক্তিযুক্ত পরিমাণ মুনাফা পেতে পারে তার ব্যবস্থা করে। এ স্কিমের মাধ্যমে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা আইসিবি-তে হিসাব খুলে তা থেকে লগ্নিপত্র কেনার জন্য ১:১ অনুপাতে ঋণ নিতে পারে। এই ঋণের জন্য বছরে ১৩.৫% হারে সুদ দিতে হয়। একটি হিসাবে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যায়। যারা হিসাব খোলেন, আইসিবি তাদের পক্ষে লগ্নিপত্র কেনাবেচা করে তাদের জন্য আলাদা আলাদাভাবে লাভ-লোকসান হিসাব রাখে। যিনি হিসাব খোলেন তিনি ঋণ নেওয়া বা না নেওয়ার বিষয়ে স্বাধীনতা ভোগ করেন এবং তিনি যদি কোন ঋণ না নেন, তাহলে তার হিসাবে মার্জিন রেখে বাকি টাকা প্রয়োজনে তুলে নিতে পারেন। ঋণ নিলেও একজন হিসাবধারক তার অব্যবহূত উদ্বৃত্ত তুলে নিতে পারেন। এছাড়া হিসাবধারী যদি আইসিবি-র নিকট দেনাদার না থাকেন তাহলে তার হিসাবে জমা লগ্নিপত্রসমূহও তুলে নিতে পারেন। এই স্কিমে আইসিবি হিসাবধারীর নামে থাকা লগ্নিপত্রসমূহ নিরাপদ আমানতে রাখে এবং তার জন্য নির্ধারিত বরাদ্দপত্র, শেয়ার সার্টিফিকেট ও লভ্যাংশ সংগ্রহ করে দেয়।

আইসিবি ১৯৮১ সালের ১০ এপ্রিল ইউনিট ফান্ড স্কিম চালু করে। এটি এক ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড যেখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগকারী বছরের যে কোন সময় তার সঞ্চিত অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে। এই ফান্ডের মোট টাকা অনেকগুলি সমমানের ইউনিটে বিভক্ত এবং এসব ইউনিট জনগণের নিকট বিক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত। বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশিরাও এই ইউনিটগুলি কিনতে পারে। ইউনিটের ক্রেতারা আইসিবি ফান্ডের মালিক, পক্ষান্তরে আইসিবি এই তহবিল ব্যবস্থাপনা করে এবং তাদের পক্ষে লগ্নিপত্র কেনাবেচা পরিচালনা করে।

১৯৮০ সালে প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড ছাড়ার পর থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত আইসিবি মোট আটটি মিউচুয়াল ফান্ড ছেড়েছে। এসব মিউচুয়াল ফান্ডের মোট পরিশোধিত মূলধন ১৭.৫ কোটি টাকা। ২০০০ সালে আইসিবি ১০ কোটি মূল্যের ৯ম মিউচুয়াল ফান্ড ছাড়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।

আইসিবি ছাড়া বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক বিনিয়োগ ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইস্যু ব্যবস্থাপক হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি পেতে হলে একটি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের অন্তত ২৫ লক্ষ টাকা পরিশোধিত মূলধন থাকতে হয়। এসইসি-র বিধান অনুযায়ী কোন প্রতিষ্ঠান অবলিখনকারী বা পত্রকোষ ব্যবস্থাপক হিসেবে অনুমতি পেতে চাইলে তার পরিশোধিত মূলধন হতে হবে অন্তত ১ কোটি টাকা। ইস্যু ব্যবস্থাপক, অবলিখনকারী এবং পত্রকোষ ব্যবস্থাপকদের জন্য আইসিবি-র একটি আচরণবিধি আছে এবং এই আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আইসিবি যে কোন প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া নিবন্ধন সনদপত্র স্থগিত বা বাতিল করতে পারে।  [জামাল উদ্দিন আহমেদ]