বাংলাদেশ রাইফেল্স

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:২৫, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

বাংলাদেশ রাইফেল্স (বিডিআর)  ইস্ট পাকিস্তান রাইফেল্সের (ইপিআর) স্থলাভিষিক্ত বাহিনী। ইপিআর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৭ সালে। এই বাহিনী ছিল ১৯২০ সালে গঠিত ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেল্সের উত্তরসূরি। ১৯২০ সালের পূর্বে সীমান্ত পাহারার দায়িত্ব ছিল বেঙ্গল সামরিক পুলিশের হাতে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পরেই বাংলাদেশ রাইফেল্স সর্ববৃহৎ বাহিনী। এর ওপর দেশকে অভ্যন্তরীণ আপদ ও বহিরাক্রমণের বিপদ থেকে রক্ষা করার পবিত্র দায়িত্ব অর্পিত। বিডিআর মূলত অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের প্রতিহত করার কাজে সীমান্তে নিয়োজিত প্রহরাবাহিনী। এটি আধা-সামরিক বাহিনী হলেও দেশের নিয়মিত সামরিক বাহিনীর চেয়ে এর গুরুত্ব কোন অংশেই কম নয়। সীমান্ত প্রহরা ছাড়াও এই বাহিনীর অন্যান্য দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা, চোরাচালান দমন, বেআইনি কর্মকান্ড প্রতিরোধ এবং প্রয়োজনে দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে শান্তি-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে সরকারকে সহযোগিতা করা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেল্সের বাঙালি সদস্যরা প্রাথমিক প্রতিরোধ সৃষ্টি করেন এবং এরপর মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ রাইফেল্সের নতুন নামকরণ হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।  [সৈয়দ মোহাম্মদ সালেহ্ উদ্দিন]