বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:২২, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন (Bagladesh Astronomical Association)  ১৯৮৮ সালের ৫ মে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চায় উৎসাহী একদল তরুণের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানে সবাইকে আগ্রহী করে তোলার উদ্দেশ্যে সংগঠনটি নিয়মিত উন্মুক্ত পর্যবেক্ষণ এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প স্থাপন করে থাকে। এছাড়া বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন প্রতি দুবছর অন্তর ‘ঢাকা মহাকাশ উৎসব’ নামে ব্যাপক আকারে জ্যোতির্বিজ্ঞান উৎসবের আয়োজন করে।

জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চায় আগ্রহীদের জন্য বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন নিয়মিত প্রাথমিক জ্যোতির্বিজ্ঞান কর্মশালা পরিচালনা করে থাকে। অধিকতর আগ্রহীদের জন্য রয়েছে ‘উচ্চতর জ্যোতির্বিজ্ঞান কর্মশালা’। বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন নিয়মিত মহাকাশ-বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা মহাকাশ বার্তা প্রকাশ করে। সংগঠনটি নিজস্ব অর্থায়নে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে স্থানান্তরযোগ্য ক্লাশরুম প্লানেটরিয়াম, যেটি এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরি করা হচ্ছে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন ১৯৯০ সাল থেকে প্রবর্তন করেছে ‘ব্রুনো পদক’। এসোসিয়েশনের সদস্যদের ব্যবহারের জন্য রয়েছে ‘মেঘনাদ সাহা বিজ্ঞান তথ্যকেন্দ্র ও গ্রন্থাগার’। বাংলাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক গবেষণার জন্য এসোসিয়েশনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমি, অ্যাস্ট্রোফিজিক্স অ্যান্ড প্লাজমাফিজিক্স এবং ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক জার্নাল The Bangladesh Journal of Astronomical Research।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত, তবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এটির শাখা রয়েছে। সদস্যদের বাৎসরিক চাঁদা এবং শুভানুধ্যায়ীদের অনুদান এসোসিয়েশনের আয়ের উৎস। বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন-এর ভবিষ্যত পরিকল্পনা হলো ‘ঢাকা স্পেস সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করা।  [মোঃ মাহবুব মোর্শেদ]