বসু, সুনির্মল

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৭:৫৩, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

বসু, সুনির্মল (১৯০২-১৯৫৭)  কবি, শিশুসাহিত্যিক। ১৯০২ সালের ২০ জুলাই বিহারের গিরিডি নামক স্থানে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের মালখানগর। সাহিত্যিক ও সাংবাদিক  গিরিশচন্দ্র বসু ছিলেন তাঁর পিতামহ এবং প্রখ্যাত বিপ্লবী ও সাহিত্যিক মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতা ছিলেন তাঁর মাতামহ। সুনির্মল পিতার কর্মস্থল পাটনার গিরিডি স্কুল থেকে ম্যাট্রিক (১৯২০) পাস করে কলকাতার সেন্ট পলস কলেজে ভর্তি হন, কিন্তু গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনে (১৯২১) যোগ দিয়ে কলেজ ত্যাগ করেন।

কিশোর বয়স থেকে কবিতা লেখা ও ছবি অাঁকার প্রতি সুনির্মলের ঝোঁক  ছিল। তিনি কিছুদিন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আর্ট কলেজে ছবি অাঁকা শেখেন।  প্রবাসী পত্রিকায় তাঁর প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। তিনি কবিতা, ছড়া, গল্প,  উপন্যাসরূপকথা, ভ্রমণকাহিনী, কৌতুক নাটক ইত্যাদি মাধ্যমে শিশু-কিশোর উপযোগী সাহিত্য রচনা করেন। তাঁর কয়েকখানি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো: হাওয়ার দোলা (১৯২৭), ছানাবড়া, বেড়ে মজা, হৈ চৈ, হুলুস্থূল, কথাশেখা, পাততাড়ি, ছন্দের টুংটাং (১৯৩০), আনন্দ নাড়ু, শহুরে মামা, কিপটে ঠাকুরদা (১৯৩৩), টুনটুনির গান, গুজবের জন্ম, বীর শিকারী, লালন ফকিরের ভিটে, পাতাবাহার, ইন্তিবিন্তির আসর (১৯৫০), পাহাড়ে জঙ্গলে ইত্যাদি। ছোটদের চয়নিকা ও ছোটদের গল্প সঞ্চয়ন তাঁর সম্পাদিত দুটি উল্লেখযোগ্য শিশুতোষ গ্রন্থ। তাঁর রচিত আত্মজীবনী জীবন খাতার কয়েক পাতার প্রথম খন্ড প্রকাশিত হয়েছে।

সুনির্মল সমকালের একমাত্র শিশুতোষ পাক্ষিক পত্রিকা কিশোর এশিয়ার পরিচালক ছিলেন। তিনি দিল্লীতে অনুষ্ঠিত প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের শিশু-সাহিত্য শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘ভুবনেশ্বরী’ পদক লাভ করেন। পরের বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর জীবনাবসান ঘটে।  [সুশান্ত সরকার]