বদ্বীপ গবেষণা কেন্দ্র

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:১৯, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

বদ্বীপ গবেষণা কেন্দ্র (Delta Study Centre)  বঙ্গীয় বদ্বীপ অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি প্রণালীবদ্ধভাবে ও সমন্বিত পদ্ধতিতে পর্যবেক্ষণের জন্য এই কেন্দ্রটি ১৯৯১ সালে স্থাপিত হয়। স্বাধীন ও অলাভজনক এই গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি মুখ্যত এ অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক ও বদ্বীপ সংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক সমস্যাবলীর ব্যাপারে গবেষণায় নিয়োজিত। এটির ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বাধীন একটি বোর্ড অফ গভর্নরস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্র্ধান ছাড়াও মৃওিকা,পানি ও পরিবেশ,উদ্ভিদবিজ্ঞান ও প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের প্র্ধান এবং বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বোর্ড অফ গভর্ণরস এর সদস্য।তাছাড়া ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক মনোনীত দুজন শিক্ষকও এ বোর্ডের সদস্য। আর্থিক অনুদান ও ভূতত্ত্ব বিভাগের জায়গা ব্যবহারের সুবিধা লাভের মাধ্যমে এ কেন্দ্রটি ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের সাহায্যপুষ্ট। এই কেন্দ্রের সদস্যপদ বাংলাদেশ ও বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানসমূহ, গবেষণামূলক ও বিভিন্ন পেশাগত সংগঠনসমূহসহ অন্যান্য সগোত্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য উন্মুক্ত।

এ কেন্দ্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে- বঙ্গীয় বদ্বীপ এলাকায় পলি সঞ্চয়ন, ভূমি পুনরুদ্ধার, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নৌ-চলাচল, নদীসমূহের প্রবাহ পরিবর্তনের অবস্থা এ অঞ্চলে নব-শিলা গঠন প্রক্রিয়া এবং বদ্বীপ এলাকায় প্রাপ্য ও সম্ভাব্য হাইড্রোকার্বন ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কিত বিষয়াদি ও সমস্যাবলীর ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালু, প্রসার, সাহায্য ও সংগঠিত করণ; এ ধরনের গবেষণার ফলাফল প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া; অবক্ষেপ-বিদ্যা ও জল-ভূতাত্ত্বিক কাজের জন্য জনশক্তির প্রশিক্ষণ, দেশের পানি সম্পদ সংক্রান্ত পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা; এবং এ অঞ্চলে জ্বালানি শক্তি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সন্ধানের জন্য প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার প্রবর্তন।  [মোঃ সাজ্জাদ হোসেন]