পরগাছা

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১০:৩০, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)
পরগাছা

পরগাছা (Mistletoe)  আংশিক পরজীবী Loranthaceae গোত্রের সপুষ্পক গুল্ম, যা পোষক উদ্ভিদের উপর পরিবর্তিত মূলের সাহায্যে জন্মে। পরগাছা উদ্ভিদ পোষকদের নানা ক্ষতি করে, যেমন পোষক গাছের সতেজতা ও বৃদ্ধির হার কমে যায়, দুর্বল ফল ও বীজ উৎপন্ন হয়, আগা শুকিয়ে ওঠে, বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয় ও অনেক সময় অকালে মারা যায়। পাখিরা এদের বীজের অঙ্কুরোদ্গমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য পরগাছার মধ্যে রয়েছে- Dendrophthoe falcata (=Loranthus longiflorus), D. pentandra (=L. pentandrus), Helixanthera cylindrica (=L. heteranthus), H. ligustrina (=L. ligustrinus), H. parasitica (=L. pentapetalous), Macrosolen cochinchinensis (=L. ampullaceus), Scurulla gracilifolia (=L. scurulla var. gracilifolia), S. parasitica (=L. scurulla), S. pulverulenta (=L. pulverulentus), Taxillus thelocarpa (=L. thelocarpus), T. umbellifer (=L. umbellifer), Tolypanthus involucratus (=L. involucratus), Viscum articulatum, V. monoicum এবং V. orientale।

কাঁঠাল, আম ইত্যাদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফলের গাছ এবং শাল, সেগুন, গামারি ইত্যাদি বনজ গাছ পরগাছার আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদের আক্রমণ প্রতিরোধের দুটি উপায় আছে, ভৌত অপসারণ ও রাসায়নিক প্রয়োগ। ভৌত অপসারণ পদ্ধতিতে আক্রান্ত ডালপালা কাটা এবং পরজীবীতে ফল ধরার আগেই এগুলি সরিয়ে ফেলা। চোষকমূল নিশ্চিতভাবে দূর করতে পোষক উদ্ভিদে যেখানে পরজীবীটি সংযুক্ত সেখান থেকে কমপক্ষে ৫০ সেমি নিচ পর্যন্ত ডালপালা কেটে ফেলা উচিত।

রাসায়নিক নিয়ন্ত্রকের মধ্যে রয়েছে ২, ৪-D প্রয়োগ। মিশ্র-বনায়ন ও মিশ্র চাষের মাধ্যমেও পরগাছা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। [মোঃ খায়রুল আলম]