নবকুমার ইনস্টিটিউট

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২১:৫৪, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

নবকুমার ইনস্টিটিউট পুরানো ঢাকার বকশিবাজারে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯১৬ সালে জমিদার নবকুমারের স্মরণে এটি স্থাপিত হয়। পুরানো ঢাকার ৭নং বকশীবাজার রোডে এ প্রতিষ্ঠানের মূলভবন অবস্থিত। নবকুমার ইনস্টিটিউটের উত্তর দিকে বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, পশ্চিমে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড অবস্থিত। ১৯৭৩ সালে নবকুমার ইনস্টিটিউটে কলেজ শাখা স্থাপিত হয়। পরবর্তীকালে এ প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখা ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ কলেজ নামে একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানে উন্নীত হয়। বর্তমানে মিরপুর অবস্থিত সরকারি বাঙলা কলেজের ক্লাস প্রথমে অনুষ্ঠিত হতো এ নবকুমার ইনস্টিটিউটে। ডক্টর  মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ বাঙলা কলেজে অধ্যাপনা করতেন। এখন নবকুমার ইনস্টিটিউট ও ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কলেজ একই স্থানে অবস্থিত। উভয় প্রতিষ্ঠান একই প্রশাসন এবং পরিচালনা পরিষদ দ্বারা পরিচালিত। এ প্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রেণি থেকে ডিগ্রি শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা স্কুল পর্যায়ে দুই হাজার এবং কলেজ পর্যায়ে চার শত। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ৬১ (স্কুল পর্যায়ে ৪০ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ২১ জন) এবং কর্মকর্তাকর্মচারীর সংখ্যা ১৮। প্রতিষ্ঠানের ৪,৪৪৪ গ্রন্থসম্বলিত একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার রয়েছে। এটির দুটি ভবন আছে একটি ৪ তলা এবং অন্যটি ৬ তলা।

জাতীয় গণতান্ত্রিক ও শিক্ষা আন্দোলনে নবকুমার ইনস্টিটিউটের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থানে এ প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান মানিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। ১৯৯৮ সালে সরকার মতিউর রহমান স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ করে। নবকুমার ইনস্টিটিউটের পরিচালনা পরিষদ শহীদ মতিউর রহমান স্মৃতি পাঠাগার ও শহীদ মতিউর রহমান জাদুঘর স্থাপন করেছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। খেলাধুলাতেও এ প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা জাতীয় পর্যায়ে সুনাম অর্জন করেছে।  [সাদাত উল্লাহ খান]