নওগাঁ জিলা স্কুল

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২১:৫১, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

নওগাঁ জিলা স্কুল  বৃহত্তর নওগাঁ জেলার প্রাচীনতম স্কুল। ১৯১৭ সালে করোনেশন স্কুল নামে নওগাঁ জেলা সদরে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১১ সালে রাজা পঞ্চম জর্জের করোনেশন উপলক্ষে নওগাঁয় একটি বড় উৎসব হয়। উক্ত উৎসব উপলক্ষে সংগৃহীত অর্থ দ্বারা স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সূচনালগ্নে এটি একটি পাঠশালা ছিল। সুরেন্দ্রনাথ তলাপাত্র করোনেশন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক। ১৯৪২ সালে এটি ‘হাই ইংলিশ স্কুলে’ রূপান্তরিত হয়।

১৯৬১ সালে নওগাঁর তদানিন্তন মহকুমা প্রশাসক আব্দুর রব চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএমসি কলেজের মাদ্রাসা শাখা (প্রথমে প্যারালাল হাইস্কুল এবং পরবর্তীকালে নওগাঁ হাইস্কুল) নওগাঁ করোনেশন হাইস্কুলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এর নাম হয় ইউনাইটেড হাইস্কুল। ১৯৮৫ সালে এটি সরকারি স্কুলে রূপান্তরিত হয় এবং নামকরণ হয় নওগাঁ জিলা স্কুল।

১.৭৬ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়টিতে সকাল ১০:০০ টা থেকে বিকাল ৪:০০ টা পর্যন্ত ছাত্রদের পাঠদান চলে। বিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা মোট ২২। করনিক সহ অন্যান্য কর্মচারীর সংখ্যা ৪। ২০০৭ সালে এসএসসি পরীক্ষার পাশের হার ১০০%।

এই স্কুলের গ্রন্থাগারটি বেশ পুরোনো। এখানে অনেক দুঃপ্রাপ্য গ্রন্থ আছে। পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা বিতর্ক, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান চর্চা, স্কাউট, রেডক্রিসেন্ট কার্যক্রম, দরিদ্র তহবিল বিভাগ, খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমসহ নানা রকম সৃজনশীল কাজের সঙ্গে জড়িত। ছাত্ররা টিভি বিতর্ক প্রতিযোগিতা, জাতীয় বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সপ্তাহ সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে জাতীয়ভাবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ছাত্রদের দ্বারা নিয়মিতভাবে ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়।

কাঠামোগতভাবে স্কুলটিতে ৩টি ভবন রয়েছে। স্কুলটি ত্রিতলা বিশিষ্ট। এর মধ্যে ১টি ছাত্রাবাস, ১টি প্রশাসনিক ভবন এবং ১টি একাডেমিক ভবন রয়েছে। বিজ্ঞান ছাত্রদের জন্য রয়েছে বিজ্ঞানাগার। এছাড়া সকল শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে খেলার মাঠ, নামায ঘর, অডিটরিয়াম, সাইকেল গ্যারেজ ও ২০টি শ্রেণি কক্ষ।

ম্যানেজিং কমিটির দ্বারা স্কুলটি পরিচালিত। পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক। সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন প্রধান শিক্ষক, সিভিল সার্জন, নির্বাহী প্রকৌশলী ও জেলা শিক্ষা অফিসার।

এই স্কুলের অনেক ছাত্র দেশে-বিদেশে বিভিন্ন অঙ্গনে কৃতিত্বের ছাপ রেখেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কলকাতার বরেণ্য কবি এবং সাহিত্যিক সুভাষ মূখোপাধ্যায়, বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. মোজাম্মেল হক, পুলিশ বিভাগের সাবেক আইজিপি আলমগীর কবির।  [নাসরীণ বানু]