দুর্ভিক্ষ

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৬:২৬, ১৪ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

দুর্ভিক্ষ  খাদ্য সরবরাহে ঘাটতির কারণে কোনো এলাকার মানুষের অনাহারজনিত চরম অবস্থা। সাধারণত কোনো এলাকায় ফসলহানি ঘটলে এবং সেখানে প্রয়োজন মেটানোর মতো খাদ্য সরবরাহ না থাকলে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। খরা, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, অতিবৃষ্টি ইত্যাদি ভূপ্রাকৃতিক বৈরিতা, গবাদিপশুর মড়ক বা রোপিত ফসলের রোগ, পঙ্গপাল ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ বা ইঁদুররাও অনেক সময় দুর্ভিক্ষের জন্য দায়ী হতে পারে। ত্রুটিপূর্ণ পরিবহণ ও দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং চালু বাণিজ্যপ্রবাহের বাইরে থাকার কারণে অনেক জনপদের দুর্ভিক্ষে পতিত হবার দৃষ্টান্ত রয়েছে।

শিল্প, কৃষি, বাণিজ্য ও পরিবহণ ক্ষেত্রে আধুনিক বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির প্রভাব দুর্ভিক্ষের প্রকৃতি ও ধারণা উভয়কে আমূল পাল্টে দিয়েছে। অধুনা একথা স্বীকার্য যে মানুষকে অন্নের অধিকার প্রদানে ব্যর্থতার মধ্যেই দুর্ভিক্ষের কারণ নিহিত। অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মতে, খাদ্য থাকাটাই খাদ্য-সরবরাহের একমাত্র পূর্বশর্ত নয়, এক্ষেত্রে বহুবিধ মধ্যবর্তী শক্তির প্রভাব নির্দিষ্ট পরিবারবর্গের ক্রয়ক্ষমতাকে বিপন্ন করে। তাই সামাজিক শ্রেণিবর্গকেই অন্নের ওপর তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে খাদ্য, কার্যত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অধিকারের বিষয়ে পর্যবসিত হয়েছে।

প্রত্যক্ষ অধিকারের অর্থ হচ্ছে, কৃষকের হাতে তাদের উৎপাদিত ফসল আছে, আর পরোক্ষ ব্যাপারটি নির্দেশ করে যে, কৃষক পরিবারবর্গের বিনিময়-ক্ষমতা আছে বলেই নিত্যব্যবহার্য দ্রব্য ক্রয়ের জন্য তারাও ফসল বিক্রয় করবে। এতেই রয়েছে ফসলের ওপর বাণিজ্যিক বা বাজারি কর্তৃত্বের সুযোগ। এ সঙ্গে বাজার-বহির্ভূত কতগুলি মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠান যেমন সামাজিক-রাজনৈতিক ক্ষমতা, রাষ্ট্রের ভূমিকা, আইন ব্যবস্থা এবং গণমাধ্যমগুলির ভূমিকা ঐ পরোক্ষ অধিকারে হস্তক্ষেপ ঘটায়। ফলে খাদ্য উৎপাদনে এবং মাথাপ্রতি হিসেবে খাদ্যের অভাব না থাকলেও দুর্ভিক্ষ বিরাজ করতে পারে। এভাবে, উৎপাদনে ব্যর্থতা নয়, বণ্টনের ব্যর্থতাই দুর্ভিক্ষের কারণ হিসেবে পরিগণিত হয়।

খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে মহাস্থানগড়ের শিলালিপিতে বঙ্গীয় অঞ্চলের সর্বপ্রাচীন দুর্ভিক্ষের সংবাদ পাওয়া যায়। এ লিপিতে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অধস্তন কর্মকর্তাদের প্রতি, ধান মাড়াইয়ের মৌসুমে, বিপন্ন এলাকায় ধান সরবরাহের এবং তা মুদ্রায় পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী কয়েক শতাব্দী ব্যাপী দুর্ভিক্ষের প্রামাণ্য তথ্য পাওয়া যায় নি। তবু বলা যায়, এ কালপর্বে যদিও দেশের দ্রব্যসামগ্রী ছিল সস্তা, তবু সাধারণ মানুষ প্রায়শ দুর্ভিক্ষতুল্য শোচনীয় দারিদ্রে্যর মধ্যে বাস করত।

আজকের বাংলাদেশ ভূখন্ডে বিগত ৩০০ বছরে এ দেশের মানুষ যে অনেকবারই চরম দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হয়েছে তাতে সন্দেহ নেই।

ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামক দুর্ভিক্ষ ঘটেছিল বাংলা সন ১১৭৬-এ (১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে)। তখন ছিল আঠারো শতকের চরম অর্থনৈতিক মন্দার বছর। সে বছর অত্যধিক বৃষ্টিপাত ও বন্যার গ্রাস থেকে কৃষক ফসল ঘরে তুলতে পারে নি। তদুপরি ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা এবং খাদ্যবাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যের ফলে অবস্থার চরম অবনতি ঘটে। অথচ ব্রিটিশরাজের কোম্পানি শাসকরা পুরো বিষয়টিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে দাবি করে। কিন্তু ভিন্ন সাক্ষ্য থেকে জানা যায় যে, ১৭৬৮ সনে আদায়কৃত রাজস্ব ১৫.২১ মিলিয়ন রুপির চেয়ে ১৭৭১ সনের আদায়কৃত রাজস্বের পরিমাণ ৫,২২,০০০ রুপি বেশি ছিল, অথচ এর আগের বছরেই ঘটে যায় দুর্ভিক্ষ। এভাবে, কোম্পানি শাসনের সহযোগিতায়, খাদ্যশস্যের বাজার থেকে মুনাফা লুট এবং অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার কারণে জনমানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে। পরিণতিতে মারাত্মক দুর্ভিক্ষপীড়িত এলাকাগুলি হয়ে পড়ে জনশূন্য। জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ, প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষ দুর্ভিক্ষে মারা যায়। কৃষি উৎপাদন আর রাজস্ব আদায় অনুরূপহারে কমে যায়।

১৭৮৩ থেকে ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ব্রিটিশ-ভারতে অনেকগুলি দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সৌভাগ্যবশত বাংলা সেই চরম দুর্দশা থেকে মুক্ত ছিল। বোম্বে, মাদ্রাজ, মহীশূর, পাঞ্জাব এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকা মারাত্মক দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে।

দুর্ভিক্ষ ১৮৮৬  সময়ে বাংলার কিছু এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তবে প্রধান ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল ছিল উড়িষ্যা। দুর্ভিক্ষপীড়িত অঞ্চলগুলিতে কৃষিশ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি অত্যন্ত হ্রাস পায়। এ প্রথমবারের মতো দুর্ভিক্ষের কারণ খতিয়ে দেখা এবং সমাধানসূচক পরামর্শের জন্য বর্ধিত ক্ষমতাসহ ফেমিন কমিশন নামে একটি কমিশন গঠন করা হয়।

দুর্ভিক্ষ ১৮৯৬-৯৮  সময়ে আক্রান্ত হয় বাংলাসহ বিহার, বোম্বে, অযোধ্যা, মধ্যপ্রদেশ ও পাঞ্জাব। বাংলায় এর প্রাথমিক কারণ ছিল অনাবৃষ্টি। বাজারে খাদ্যের সরবরাহ থাকলে তা ছিল সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে, কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষেরই কোনো ক্রয়-ক্ষমতা ছিল না। খাদ্যশস্যের মূল্য বহুগুণ বেড়ে গেলেও, সরকারের দিক থেকে তা নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ ছিল না। ১৮৯৭ সনের ডিসেম্বরে স্যার জে.বি লায়াল-এর নেতৃত্বে একটি ফেমিন কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের পর্যবেক্ষণে জানা যায় যে বিগত ২০ বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়লেও কৃষি-শ্রমিক পেশাজীবীদের মজুরি সেই অনুপাতে বাড়ে নি।

দুর্ভিক্ষ ১৯৪৩  সময়ে বাংলা আরেকটি বড় দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে। ১৯৩৮ সন থেকে একনাগাড়ে ফসলহানির সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও অনুষঙ্গী আরও কিছু ধ্বংসাত্মক ঘটনা বাংলাকে দুর্ভিক্ষের মধ্যে নিক্ষেপ করে। জাপানিদের হাতে বার্মার পতন ঘটার পর সেখান থেকে খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ এবং পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধাবস্থার কারণে খাদ্যশস্যের বাণিজ্য ও চলাচলে বিঘ্ন, প্রাদেশিক এবং জেলাভিত্তিক কর্ডন-প্রথার কারণে খাদ্যশস্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের চলাচল বন্ধ, সেনাবাহিনীর জন্য খাদ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়া ও শরণার্থী-আগমন ১৯৪৩-এর দুর্ভিক্ষকে ত্বরান্বিত করে। যুদ্ধের শুরুতে মনুষ্যসৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় প্রশাসনের দূরদৃষ্টিহীনতা দুর্ভিক্ষকে আরও ভয়াবহ করে তোলে।

খাদ্যশস্যের মূল্যবৃদ্ধি একইসঙ্গে দুর্ভিক্ষের কারণ ও প্রতিফল। অন্নাভাবের আশঙ্কা, মজুতদারি ও মুনাফা লোটার প্রবণতা খাদ্যশস্যের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির কারণ। এক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা শুধু ব্যর্থ হয়েছে তাই নয়, বস্ত্তত মূল্যবৃদ্ধিতে সহযোগিতা এবং পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতেও সহায়তা করেছে।

এই দুর্ভিক্ষে বিপুলসংখ্যক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ধরা হয় ৩.৫ মিলিয়ন। প্রায় সমগ্র বাংলাদেশেই এ দুর্ভিক্ষ আঘাত হেনেছিল। কিন্তু লক্ষণীয়, এক বিরাট সংখ্যক নিরাশ্রয় মানুষ যারা অনাহারে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করে, তাদের মধ্যে একজনও কলকাতাবাসী ছিল না। খাদ্যের সন্ধানে গ্রামগঞ্জ থেকে ছুটে আসা অনাহারী মানুষই, নগরে এসে প্রাণত্যাগ করেছিল। এতে প্রমাণিত হয় গ্রামীণ জনপদ অধিক মর্মন্তুদ দুর্বিপাকে পড়েছিল।

দুর্ভিক্ষ ১৯৭৪  সত্তরের দশকের শুরুতে সারা বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। তবে বাংলাদেশে অন্যান্য দেশের মতো খাদ্য ঘাটতি মুখ্য ছিল না, তখন দেশটি স্বাধীনতা লাভের ঐতিহাসিক রূপান্তর পর্যায় অতিক্রম করছিল। উক্ত দুর্ভিক্ষের মুখ্য কারণ মারাত্মক বন্যার মুখোমুখি দুর্বল খাদ্য-বণ্টন ব্যবস্থাপনা। ১৯৭১ সনের পর, প্রধানত মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিধ্বস্ত অর্থনীতি ও সামাজিক বিপর্যয়ের কারণে, দেশের ব্যাপক সংখ্যক মানুষের জীবনযাত্রার মান নিচে নেমে যায়। জাতিসংঘের তথ্যমতে কৃষি, অন্যান্য স্থাবর সম্পদ (বিশেষত পরিবহণ খাত), পুনর্বাসনের হিসাবসহ বস্ত্তগত ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১.২ বিলিয়ন ডলার। ভারত থেকে প্রত্যাগত শরণার্থী এবং অন্যান্য ভাসমান মানুষদের ইতোমধ্যে পুনর্বাসিত করা হলেও, সাধারণ আর্থনীতিক কর্মকান্ড পিছিয়ে পড়ে। প্রকৃত আয় এবং কর্মসংস্থানের অধোগতি অব্যাহত থাকে। এ চরম অবস্থার শিকার হয়েছিল শিল্প শ্রমিক, ক্ষুদ্র কৃষক, কৃষি শ্রমিক এবং নিম্ন বেতনভুক মানুষ।

মাথাপিছু আয়ের অনুক্রম হচ্ছে: ১৯৬৯–’৭০ সনে ১০০ ডলার, ১৯৭২-’৭৩ সনে ৮৭ ডলার। একই সময়পর্বে শিল্প ও কৃষি উৎপাদনের অনুক্রমে লক্ষ্য করা যায় নিম্নগতি- যথাক্রমে ৮৪ থেকে ৬৬ ডলার। এ সময় অস্বাভাবিকভাবে টাকার সরবরাহও বেড়ে যায়। একদিকে উৎপাদনে ঘাটতি, সেসঙ্গে টাকার সরবরাহের আধিক্য অর্থনীতিতে মারাত্মক মুদ্রাস্ফীতিজনিত চাপ সৃষ্টি করে। শিল্প শ্রমিকদের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পায় ১০০%-এর বেশি, কৃষি শ্রমিকদের ক্ষেত্রে যা ছিল প্রায় ১৫০%।

১৯৭০ এবং ১৯৭৩-এ কৃষি ও শিল্প শ্রমিকদের মজুরি/বেতন যথাক্রমে ২৪% এবং ৪৮% কমে যায়। প্রকৃতপক্ষে ১৯৭৩-এর শেষ নাগাদ, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জীবনযাত্রার মান বিপজ্জনকভাবে নিম্নমাত্রায় পৌঁছে।

দুর্ভিক্ষের শিকার

১৯৭০ দশকের প্রথম দিকে বাংলাদেশকে ঘূর্ণিঝড়, খরা ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্বল প্রশাসনিক ও আর্থনীতিক ব্যবস্থাপনা, আন্তর্জাতিক মুদ্রাস্ফীতি এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য, সার ও তেল সংকটের মোকাবেলা করতে হয়। এসব কারণ আর্থসামাজিক বৈষম্যের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দুর্ভিক্ষকে প্রবল করে। এ সময়ে দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণেও দুর্ভিক্ষ মারাত্মক রূপ নেয়। জানুয়ারি ১৯৭৪-এ দেখা দেয় অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা। বছরের মধ্যভাগে কিছু লঙ্গরখানা চালু করে অন্নহীন মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। এ বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ অবস্থা চরমে পৌঁছে। রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলা সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উল্লেখ্য যে, ১৯৪৩-এর দুর্ভিক্ষেও উক্ত জেলাগুলিই মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছিল। ১৯৭৪-এর জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত স্থায়ী এ দুর্ভিক্ষের চিত্র ছিল ১৮৬৬, ১৯৪৩ ও ১৯৭০-এর দুর্ভিক্ষের মতোই ভয়াবহ। খাদ্যের সন্ধানে গ্রামের মানুষজন শহরে ভিড় জমায়, বহু পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং গ্রাম থেকে মূলোৎপাটিত হয়। ব্যাপক সংখ্যক মানুষ তাদের ভিটেমাটি ও সর্বস্ব বিক্রয় করতে বাধ্য হয়। বিপদগ্রস্ত মানুষের জমি বিক্রয় ছিল নৈমিত্তিক ঘটনা।

এ দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় সরকারি ব্যবস্থাপনা তেমন কার্যকর ছিল না। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিও এক্ষেত্রে সাহায্য প্রদানে বিলম্ব করে। ১৯৭৩-এর তেল সংকটের কারণে বৈদেশিক মুদ্রায় ঘটতি দেখা দেওয়ায় সরকারের পক্ষে খাদ্য আমদানি দুষ্কর হয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক বাজারে চালের অস্বাভাবিক উচ্চমূল্য, স্বল্পমেয়াদি ঋণ সংগ্রহে সমস্যা এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের অসহযোগিতা, এ দুর্ভিক্ষ মোকাবেলার কাজ আরও জটিল করে তোলে। [আতিউর রহমান]

গ্রন্থপঞ্জি ভাটিয়া, বি.এম, 'ফেমিনস ইন ইন্ডিয়া: এ স্টাডি ইন সাম আসপেক্টস অব দি ইকোনমিক হিস্টরি অব ইন্ডিয়া (১৮৬০-১৯৫৪),' এশিয়া পাবলিশিং হাউস, নিউ দিল্লি, ইন্ডিয়া, ১৯৬৩; মহিউদ্দিন আলমগীর, 'ফেমিন ইন সাউথ এশিয়া, ও জি অ্যান্ড এইচ,' কেমব্রিজ, ম্যাসাচুসেটস, ইউএসএ।