তাজপুর দুর্গ

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৬:১২, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

তাজপুর দুর্গ  স্থানীয়ভাবে কিল্লা তাজপুর নামে পরিচিত। বোকাইনগর দুর্গ থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এটি অবস্থিত। স্থানীয় জনশ্রুতি অনুসারে, সুলতান দ্বিতীয় সাইফুদ্দীন ফিরুজ শাহের (১৪৮৬-১৪৮৯) এক সেনাপতি মজলিস খান হুমায়ুন তার কামরূপ অভিযান কালে এ দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। ষোল শতকের শেষ দিকে বারো ভূঁইয়াদের উত্থানকালে এ দুর্গ বোকাইনগর দুর্গের অধিপতি উসমান খানের মিত্র নাসির খান ও দরিয়া খানের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ১৬১১ খ্রিস্টাব্দে নাসির খান ও দরিয়া খান মুগলদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। কিছুদিন দুর্গটির কর্তৃত্ব নিয়ন্ত্রণ করার পর উসমান খানও পলায়ন করেন এবং মুগলদের হাতে দুর্গটির পতন ঘটে। এর পর এটি মুগলদের স্থানীয় প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছিল।

বর্তমানে দুর্গটির কাঠামোগত কোনো অস্তিত্ব নেই। সমস্ত এলাকাটিই এখন ধানক্ষেতে পরিণত হয়েছে। তবে দুর্গের দেওয়ালের একটি অংশ এবং তার আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ইট ও ভাঙা মৃৎপাত্রের টুকরা এখনও দেখতে পাওয়া যায়। ব্রহ্মপুত্রের একটি শাখানদীর প্লাবনে দুর্গপ্রাচীরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণা ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে আকস্মিকভাবে দুর্গের একটি ইটের কাঠামো দৃষ্টিগোচর হয়। উন্মোচিত কাঠামোটি প্রায় ৪.৫৭ মিটার উঁচু, ভিত্তিতে এর প্রশস্ততা প্রায় ৯.১৪ মিটার এবং উপরের দিকে এটি ক্রমশ সরু হয়ে গেছে।  [শাহনাজ হুসনে জাহান]