তরজা

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৫:৪৭, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

তরজা প্রচলিত পল্লিসঙ্গীত। প্রশ্নোত্তরমূলক একপ্রকার লোকগীতি। পরিবেশনার পদ্ধতি কবিগানের অনুরূপ। তবে এর বিষয় ও ব্যাপ্তি কবিগানের চেয়ে সহজ ও সংক্ষিপ্ত। বাংলায় তরজা গানের প্রচলন ছিল প্রাচীনকাল থেকেই, তবে উনিশ শতকের প্রথমার্ধে মধু ঠাকুর ও তারক পাল নামে দুই কবিয়াল এ গানকে জনপ্রিয় করে তোলেন।

আরবি ‘তরজিবন্দ’ (অর্থ কবিতার চরণ যা কবিতায় ঘুরে ঘুরে আসে) শব্দ থেকে তরজা শব্দের উৎপত্তি বলে মনে করা হয়; কেউ কেউ অবশ্য একে তর্জের দেশিয় রূপ বলে মনে করেন। এ গানে দুটি দল থাকে এবং দুটি দলে থাকে দুজন কবিয়াল ও তাদের সহকারিবৃন্দ। গানের প্রথমে থাকে দেবস্ত্ততি, তারপর সরস্বতী বন্দনা এবং শেষে আসর বা সভা বন্দনা। চাপান ও উতোর নামে এ গানের দুটি অংশ। সভা বন্দনার পর কবিয়ালদ্বয় গানের মাধ্যমে প্রশ্নোত্তর আকারে পরস্পরের সঙ্গে তর্ক করে। চাপান অংশে একজন প্রশ্ন করে এবং উতোর অংশে অন্যজন তার উত্তর দেয়। তরজা গানের সঙ্গে অনুষঙ্গ বাদ্যযন্ত্র হিসেবে ঢোল ও কাঁসর বাজানো হয়।  [মোবারক হোসেন খান]