ঢাকা মুসলমান সুহূদ সম্মিলনী

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২১:২১, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

ঢাকা মুসলমান সুহূদ সম্মিলনী  বঙ্গীয় মুসলমানদের উন্নয়নমূলক একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। ঢাকা কলেজের মুসলিম ছাত্রদের উদ্যোগে ১৮৮৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সম্মিলনীর প্রথম বর্ষের পরিচালনা পরিষদে ছিলেন হিম্মত আলী (সভাপতি), আবদুল আজিজ (সম্পাদক), হেমায়েতউদ্দীন আহমদ ও জোহাদুর রহিম জাহেদ সুহ্রাওয়ার্দী (সহকারী সম্পাদক) এবং মকবুল আহমদ (কোষাধ্যক্ষ)। এঁরা সকলেই ছিলেন ঢাকা কলেজের বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্র এবং ওবায়দুল্লাহ আল ওবায়দী সোহরাওয়ার্দীর শিষ্য। সংগঠনটি ভাষাভেদে ‘আঞ্জুমান-ই-আহবাব-ই-ইসলামিয়া’ ও ‘Dacca Muhammadan Friends’ Union’ নামে পরিচিত ছিল।

সুহূদ সম্মিলনীর প্রধান লক্ষ্য ছিল বঙ্গীয় মুসলমানদের সর্ব প্রকার উন্নতি সাধন করা। মুসলমান পরিবারে নারীশিক্ষা বিস্তারের ব্যাপারে এটি ছিল বিশেষভাবে যত্নবান। এ উদ্দেশ্যে সুহূদ সম্মিলনী ১ম থেকে ৫ম  শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তক নির্বাচন করে ‘উন্মুক্ত বিদ্যালয়’ পদ্ধতিতে বাংলা ও উর্দুতে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে সফলও হয়। প্রতিষ্ঠার বছর থেকে সুহূদ সম্মিলনী নিয়মিত মাসিক ও বার্ষিক সভার আয়োজন করে এবং বার্ষিক সভার কার্যবিবরণীও প্রকাশ করে। ১৮৮৮-৮৯ সালের বার্ষিক কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, ওই বছর কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ছিলেন ঢাকা মাদ্রাসার সুপারিনটেন্ডেন্ট আবুল খায়ের মোহাম্মদ সিদ্দিক, সহ-সভাপতি জমিদার কাজী রজিউদ্দীন ও সাব-রেজিস্ট্রার সৈয়দ আওলাদ হোসেন, সম্পাদক জজকোর্টের উকিল আবদুল মজিদ এবং সহকারী সম্পাদক ঢাকা মাদ্রাসার শিক্ষক অলিওর রহমান। ছয় বছরের মাথায় সংগঠনটির পরিচালনার দায়িত্ব কলেজের ছাত্রদের পরিবর্তে শহরের বিদ্বজ্জনের ওপর ন্যস্ত হয়।

মাত্র এক দশক পরেই সুহূদ সম্মিলনীর কার্যক্রমে ভাটা পড়ে। ১৯০৪ সালের ২৫ জানুয়ারি মোসলেম ক্রনিকেল-এ প্রকাশিত একটি পত্র থেকে জানা যায়, বলিয়াদির জমিদার কাজেমুদ্দীন আহমদ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুহূদ সম্মিলনীর এক সভায় ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। ১৯০৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গভঙ্গের দিন ঢাকায় ‘মহামেডান প্রভিন্সিয়াল ইউনিয়ন’ স্থাপিত হলে ঢাকা মুসলমান সুহূদ সম্মিলনী বিলুপ্ত হয়ে যায়।  [ওয়াকিল আহমদ]