ট্রাস্ট আইন, ১৮৮২

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৬:৫৬, ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

ট্রাস্ট আইন, ১৮৮২ (১৮৮২ সালের ১১নং আইন) ব্যক্তিগত ট্রাস্ট সম্পর্কিত আইনের সংজ্ঞাদান ও সংশোধনের উদ্দেশ্যে বিধিবদ্ধ আইন। এ আইন ওয়াকফ বিষয়ক মুসলিম আইন বা একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এ আইনে ট্রাস্টকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে ‘সম্পত্তির মালিকানার সঙ্গে সম্পর্কিত দায়িত্ব এবং মালিক কর্তৃক গৃহীত ও ঘোষিত আস্থা থেকে উদ্ভূত বা অন্য ব্যক্তি কিংবা নিজের সুবিধার্থে এতদ্বারা ঘোষিত ও গৃহীত একটি বাধ্যবাধকতা।’ যে ব্যক্তি এ দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা বা সৃষ্টি করেন তাকে বলা হয় ট্রাস্টের দাতা; যিনি দায়দায়িত্ব গ্রহণ করেন তাকে বলা হয় ট্রাস্টি; যে ব্যক্তির অনুকূলে ট্রাস্ট সম্পাদিত হয় তাকে বলা হয় গ্রহীতা; আর ট্রাস্টভুক্ত সম্পত্তিকে বলা হয় ট্রাস্ট সম্পত্তি।

যেকোন আইনসম্মত উদ্দেশ্যে ট্রাস্ট গঠিত হতে পারে। স্থাবর সম্পত্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ট্রাস্টকে দাতা কর্তৃক লিখিত ও স্বাক্ষরিত দলিলে ঘোষণার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হয় এবং ১৯০৮ সালের  রেজিস্ট্রেশন আইন অনুসারে নিবন্ধন করতে হয়। অস্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার পর ট্রাস্টির কাছে সম্পত্তি হস্তান্তরের পর তা বৈধ হয়।

বৈধ ট্রাস্টের অপরিহার্য উৎপাদন হলো: (ক) ট্রাস্ট গঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে মৌখিকভাবে বা কাজের মাধ্যমে সুস্পষ্ট ঘোষণা দান; (খ) ট্রাস্টের উদ্দেশ্য, গ্রহীতা ও ট্রাস্ট সম্পত্তির শনাক্তকরণ, এবং (গ) ট্রাস্টির নিকট ট্রাস্ট সম্পত্তি হস্তান্তর। নাবালক কর্তৃক বা তার পক্ষ থেকে ট্রাস্ট গঠনের আগে জেলা জজের অনুমতি আবশ্যক।

ট্রাস্ট দলিলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হলে এবং দলিলের নির্দেশনা অনুযায়ী ট্রাস্টি নিলামের মাধ্যমে বা ব্যক্তিগতভাবে ট্রাস্টের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারেন। ট্রাস্টি তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির জন্য জেলা জজের কাছে আবেদন করতে পারেন। জেলা জজ কর্তৃক কোনো ট্রাস্টিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলে অথবা জেলা জজ কর্তৃক তিনি ট্রাস্টি হিসাবে দায়িত্ব পালনের অযোগ্য বিবেচিত বা ব্যক্তিগতভাবে অসমর্থ হলে পূর্ববর্তী ট্রাস্টির স্থলে একজন নতুন ট্রাস্টি নিয়োগ করা যেতে পারে। ট্রাস্ট আইন একটি সাধারণ আইন এবং এ আইনের আওতায় পক্ষগুলোর কোনো কাজ সম্পর্কে বিরোধ দেখা দিলে তা কেবল দেওয়ানি আদালতেই নিষ্পত্তি হতে পারে।  [আমিনুল হক]