টেনিস

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২১:১৩, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

টেনিস  আচ্ছাদিত বা খোলা, শক্ত ও সমতল মাঠে দুই কিংবা চার জন খেলোয়াড় নিয়ে পরিচালিত খেলা। খেলোয়াড় সংখ্যা দুইজন হলে মাঠের দৈর্ঘ্য ৭৮ ফুট ও প্রস্থ ২৭ ফুট আর চারজন হলে দৈর্ঘ্য ৭৮ ফুট ও প্রস্থ ৩৬ ফুট হয়ে থাকে। প্রাচীন গ্রিস, ইতালি, মিশর, পারস্য এবং আরব দেশে একটি ঘরের মাঝ বরাবর দড়ি টাঙিয়ে এক ধরনের হ্যান্ডবল খেলা থেকে টেনিসের উৎপত্তি। ১৬শ শতকে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশে খেলাটির অনুষঙ্গ ও সরঞ্জামে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগে। ১৮৭৩ সালে আধুনিক লন টেনিসের উদ্ভাবন করেন ইংল্যান্ডের মেজর ওয়াল্টার উইংফিল্ড। তখন এটি ছিল ১৫ পয়েন্টের খেলা এবং কেবল সার্ভারই স্কোর করতে পারত। ১৮৮১ সালে খেলাটির নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন প্রবর্তনের জন্য ইউনাইটেড স্টেটস টেনিস অ্যাসোসিয়েশন (ইউএসটিএ) গঠিত হয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে মর্যাদাবান ও ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টসমূহের মধ্যে রয়েছে উইম্বলডন, ইউএস ওপেন, ফ্রেঞ্চ ও অস্ট্রেলিয়ান একক চ্যাম্পিয়নশিপ প্রভৃতি। বর্তমান বিশ্বে অন্যতম আকর্ষণীয় টুর্নামেন্ট হলো ১৯০০ সালে প্রবর্তিত ডেভিস কাপ।

বাংলাদেশে বড় শহরগুলিতে নিয়মিতভাবে লন টেনিস চর্চা হয় এবং প্রতিযোগিতামূলক খেলাও বিভিন্ন সময় অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। লন টেনিসকে অধিকতর জনপ্রিয় করে তোলার জন্য ১৯৭২ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন। পরবর্তীকালে  ১৯৭৭ সালে এটি জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে পরিণত হয়। বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন ১৯৮৫ সালে লন্ডনে অবস্থিত আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের সদস্যপদ লাভ করে।

বাংলাদেশ প্রায় নিয়মিতভাবে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে। ১৯৮৯ সালে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ডেভিস কাপে বাংলাদেশ সেমি-ফাইনালে ওঠার যোগ্যতা অর্জন করে। ১৯৯৮ সালে ঢাকায় বাংলাদেশ, বাহরাইন, ইরাক, প্যাসিফিক ওশেনিয়া ও ব্রুনাইসহ ৮টি দেশ ডেভিস কাপে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ গ্রুপ পর্যায়ে রানার-আপ হয়। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত যে সমস্ত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে তার মধ্যে রয়েছে ডেভিস কাপ, ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ফেডারেশন জুনিয়র টুর্নামেন্ট, স্যাটেলাইট সার্কিট ম্যানস ফিউচার টুর্নামেন্ট প্রভৃতি। জাতীয় পর্যায়ে পুরুষ ও মহিলাদের ৬টি টুর্নামেন্ট এবং জুনিয়রদেরও ৬টি টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এসব টুর্নামেন্টের নাম স্পন্সরদের নামানুসারে হয়ে থাকে। সাধারণ বীমা, আইএফআইসি ব্যাংক লি , ঢাকা ব্যাংক লি, ব্র্যাক ব্যাংক লি, বিএনপি প্যারিবাসসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থা জাতীয় পর্যায়ের টুর্নামেন্ট স্পন্সর করে থাকে।

বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন কর্তৃক এফিলিয়েটেড ক্লাব ও সংস্থাসমূহের মধ্যে রয়েছে রাজশাহী টেনিস কমপ্লেক্স, ইঞ্জিনিয়ার্স টেনিস ক্লাব, কুমিল্লা টেনিস ক্লাব, ময়মনসিংহ টেনিস ক্লাব, বরিশাল টেনিস ক্লাব, পটুয়াখালী টেনিস ক্লাব, সিলেট টেনিস ক্লাব, নওগাঁ টেনিস ক্লাব,  বিকেএসপি ইত্যাদি। [গোফরান ফারুকী]