ছুটিখানী মহাভারত

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২০:৫৩, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

ছুটিখানী মহাভারত  শ্রীকর নন্দী রচিত বাংলা  মহাভারত। এর রচনাকাল ১৫১৮-১৫২০ খ্রিস্টাব্দ। শ্রীকর মূলত ছুটিখানের নির্দেশে  সংস্কৃত মহাভারতের অশ্বমেধপর্বটি বিস্তৃত আকারে রচনা করেন। তাই সাধারণভাবে এটি ছুটিখানী মহাভারত নামে পরিচিত।

সে সময়কার রাজা-বাদশাহরা মহাভারতের কাহিনী, বিশেষত যুদ্ধ ও রাজনৈতিক কাহিনীর প্রতি সমধিক আগ্রহী ছিলেন। সংস্কৃত মহাভারতের  অশ্বমেধপর্বে যুদ্ধ, যুদ্ধের কলাকৌশল ও রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ বিস্তৃতভাবে বর্ণিত হয়েছে। চট্টগ্রামের তৎকালীন শাসনকর্তা ছুটিখান এ অশ্বমেধপর্বের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে শ্রীকর নন্দীকে বাংলা ভাষায় বিস্তৃত আকারে অশ্বমেধপর্ব রচনা করার নির্দেশ দেন। কবি সে নির্দেশ অনুযায়ী শুধু অশ্বমেধপর্বই রচনা করেন।

শ্রীকর নন্দীর অশ্বমেধপর্ব মূল মহাভারতের আঠারো পর্বের একটিমাত্র হলেও এটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ  কাব্য, কারণ পূর্বাপর কাহিনীর সঙ্গে এর সামঞ্জস্য রক্ষিত হয়েছে। মহাভারতের সম্পূর্ণ কাব্যিক বৈশিষ্ট্য এতে বিদ্যমান। এর মূল বিষয় হলো অশ্বমেধযজ্ঞের অনুষ্ঠান নিমিত্ত অর্জুনের দিগ্বিজয় যাত্রা এবং সমস্ত দেশ জয় শেষে যজ্ঞ সমাপন। কবি বিভিন্ন দেশের রাজাদের সঙ্গে অর্জুনের যুদ্ধ, যুদ্ধের কলাকৌশল, যুদ্ধে তাঁর বিজয় প্রভৃতি বিষয় চমৎকারভাবে বর্ণনা করেছেন। কাব্যটি পয়ার ও ত্রিপদী ছন্দে রচিত। মধ্যযুগের প্রথম পর্যায়ের কাব্য হিসেবে ছুটিখানী মহাভারত পাঠকসমাজে খুবই সমাদৃত হয়।  [কল্পনা ভৌমিক]